ডিমের কেবল সাদা অংশ খেলে ডিমের কুসুমে থাকা স্বাস্থ্যকর চর্বি, ভিটামিন এ, ডি, ই, কে এবং ভিটামিন বি’র ছয়টি প্রকার বাদ পড়ে যায়। এমনকি ডিমের কুসুম ভালো চর্বি সমৃদ্ধ।
গরুর কলিজার পরে, একটা সিদ্ধ ডিম পুষ্টির দ্বিতীয় ভালো উৎস। এছাড়াও ডিমের কুসুম খনিজ, লৌহ ও জিঙ্কের ভালো উৎস।
ডিমের কুসুম প্রয়োজনীয় পুষ্টি ‘কোলিন’ সমৃদ্ধ যা প্রাকৃতিকভাবেই বিভিন্ন খাবার যেমন- মুরগি, মাছ, আলু ও ভাতেও পাওয়া যায়।
বাড়তি কোলেস্টেরলের সমস্যা থাকায় অনেকেই ডিমের কুসুম এড়িয়ে চলেন। ‘ইউ.এস. ডিপার্টমেন্ট অফ এগ্রিকালচার (ইউএসডিএ)’য়ের তথ্যানুসারে, একটা বড় ডিমের কুসুমে ১৮৭ মিলি গ্রাম বা দৈনিক চাহিদার ৬২ শতাংশ কোলেস্টেরল পাওয়া যায়।
বর্তমান সময়ে স্বাস্থ্যকর চর্বি খাওয়ার জন্য উৎসাহ দেওয়া হয়। সামুদ্রিক মাছ, বাদাম, ডিমের কুসুম ভালো চর্বি সমৃদ্ধ। এসব খাবার পেট ভরা রাখে এবং পরে অতিরিক্ত খাওয়ার পরিমাণ কমায়।
পুষ্টিবিষয়ক ওয়েবসাইট ‘ইট দিস ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়, বর্তমানে পুষ্টিবিশেষজ্ঞরা স্বাস্থ্যকর চর্বি সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণে উৎসাহ দিয়ে থাকেন। কারণ এগুলো পুষ্টি উপাদান সমৃদ্ধ।
আধা কাপ পূর্ণ চর্বিযুক্ত দই এবং সঙ্গে বেরি বা বাদাম খাওয়া, আধা কাপ চর্বিহীন দই খাওয়ার চেয়ে ভালো। কারণ চর্বিহীন দই দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখে না। ফলে বাড়তি শর্করা যোগ করার অনুভূতি জাগায়।
বিডিনিউজ