তারকা থেকে রাজনীতিতে

ছিলেন ছোট-বড় পর্দার জনপ্রিয় তারকা; পরবর্তীতে হয়েছেন রাজনৈতিক নেতা। সফল অভিনেতা-অভিনেত্রী হওয়ার পাশাপাশি রাজনীতিতেও সফল হয়েছেন অনেকেই। হলিউড, বলিউড, ঢালিউড কিংবা টালিউডের দিকে তাকালে এমন অনেক তারকার দেখা মেলে। বিশ্বের অনেক বড় বড় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব আছেন যারা রাজনীতির মাঠে এসে এতটাই সফল হয়েছেন যে তাদের তারকা জীবনের গল্প ফিকে হয়ে গেছে। আবার অনেকে সমান জনপ্রিয় হয়ে আছেন শিল্পী ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে। তারকা থেকে রাজনীতির পথে আসা এমন কিছু মানুষের সঙ্গে পরিচিত হওয়া যেতেই পারে। মৌ সন্ধ্যার প্রতিবেদন

আসাদুজ্জামান নূর

নব্বই দশকে নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ রচিত ‘কোথাও কেউ নেই’ নাটকে ‘বাকের ভাই’ চরিত্রে অভিনয় করে দেশব্যাপী তুমুল জনপ্রিয়তা লাভ করেন আসাদুজ্জামান নূর। ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতি করতেন তিনি। ১৯৬৩ সালে ছাত্র ইউনিয়নে যোগ দেন আসাদুজ্জামান নূর। ১৯৬৫ সালে নীলফামারী কলেজ ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন তিনি। দেশ স্বাধীনের পর কমিউনিস্ট পার্টিতে যোগদান করেন। মাঝে রাজনীতি থেকে দূরে ছিলেন কিছুদিন। ১৯৯৮ সালে পুনরায় প্রত্যক্ষ রাজনীতিতে যুক্ত হন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে যোগদান করেন। ২০০২ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদকের দায়িত্ব পান। ২০০৯ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদকের দায়িত্ব পান নূর। নীলফামারী-২ আসন থেকে ২০০১, ২০০৮ ও ২০১৪ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ৯ম জাতীয় সংসদের বিভিন্ন সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৩ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৮ সালে একাদশ নির্বাচনে একই আসন থেকে পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এই বরেণ্য অভিনেতা। তিনি ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে পঞ্চমবারের মতো নির্বাচন করে বিজয়ী হয়েছেন।

সারাহ বেগম কবরী

চিত্রনায়িকা সারাহ বেগম কবরীর শৈশব ও কৈশোর কেটেছে চট্টগ্রাম নগরীতে। তার আসল নাম মিনা পাল। ১৯৬৩ সালে মাত্র ১৩ বছর বয়সে নৃত্যশিল্পী হিসেবে মঞ্চে আবির্ভাব কবরীর। ১৯৬৪ সালে সুভাষ দত্ত পরিচালিত ‘সুতরাং’ সিনেমার নায়িকা হিসেবে অভিনয় জীবন শুরু করেন। এরপর ধীরে ধীরে সিনেমা জগতে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখেন তিনি। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়ি চলে যান কবরী। সেখান থেকে ভারতে পাড়ি জমান। কলকাতায় গিয়ে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত সৃষ্টি করতে সভা-সমিতি, অনুষ্ঠানে এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন তিনি। ২০০৯ সালে তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়নে নারায়ণগঞ্জ থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। কবরী আমাদের মাঝে নেই। কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়ে ২০২১ সালের ১৭ এপ্রিল মারা যান তিনি।

তারানা হালিম

১৯৬৬ সালের ১৬ আগস্ট টাঙ্গাইলে জন্মগ্রহণ করেন অভিনেত্রী তারানা হালিম। ৫ বছর বয়সে ‘ঘুঘু ও শিকারী’ নামে একটি নাটকে ‘পিঁপড়া’ চরিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে হাতেখড়ি তার। কলেজে পড়াকালীন ‘ঢাকায় থাকি’ নামে টিভি নাটকে অভিনয় করেন তিনি। অন্যদিকে কৈশোর বয়স থেকেই রাজনীতির প্রতি ঝোঁক ছিল তারানা হালিমের। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তৃতীয় বর্ষে অধ্যয়নকালে যুবলীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পান। পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০০৯ ও ২০১৪ সালে জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তারানা হালিম। ২০১৫ সালে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান এই অভিনেত্রী।

নায়ক ফারুক

চিত্রনায়ক ফারুকের জন্ম পুরান ঢাকায়। তার বেড়ে ওঠা সেখানেই। পৈত্রিক নিবাস গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জে। ছাত্রজীবনে রাজনীতির সঙ্গে জড়িত হন ফারুক। ১৯৬৬ সালের ছয় দফা আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। এজন্য তার নামে মামলা হয়েছিল। হুলিয়া মাথায় নিয়েই মিছিলে গিয়েছিলেন। ফারুক ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। ‘জলছবি’ সিনেমার মাধ্যমে বড় পর্দায় পা রাখেন ফারুক। তারপর অভিনয় করেন বিখ্যাত পরিচালক খান আতার ‘আবার তোরা মানুষ হ’ সিনেমায়। এভাবেই সাফল্য পেতে থাকেন, যা তাকে ঢাকাই সিনেমায় দিয়েছে এক অনন্য আসন। জীবনের অনেকগুলো বছর পেরিয়ে যাওয়ার পর ঢাকা-১৭ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন তিনি। তিনি আর আমাদের মাঝে নেই। সংসদ সদস্যের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই ২০২৩ সালের ১৫ মে না ফেরার দেশে চলে গেছেন তিনি।

সুবর্ণা মুস্তাফা

বরেণ্য অভিনেত্রী সুবর্ণা মুস্তাফা। তার পৈত্রিক নিবাস ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলার দপদপিয়া ইউনিয়নে। তার বাবা গোলাম মুস্তাফা ছিলেন প্রখ্যাত অভিনেতা ও আবৃত্তিশিল্পী। তার মা হোসনে আরা পাকিস্তান রেডিওতে প্রযোজনার দায়িত্বে ছিলেন। ১৯৭১ সালের পূর্ব পর্যন্ত শিশুশিল্পী হিসেবে নিয়মিত টেলিভিশনে কাজ করেছেন এই অভিনেত্রী। সত্তরের দশকে ঢাকা থিয়েটারে নাট্যকার সেলিম আল দীনের ‘জন্ডিস ও বিবিধ বেলুন’ নাটকে অভিনয় করেন সুবর্ণা মুস্তাফা। ১৯৮০ সালে সৈয়দ সালাউদ্দিন জাকী পরিচালিত ‘ঘুড্ডি’ সিনেমার মাধ্যমে চলচ্চিত্র জগতে পা রাখেন। ১৯৮৩ সালে ‘নতুন বউ’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। ‘নয়নের আলো’ সিনেমায় অভিনয় করে সব শ্রেণির দর্শককে নাড়া দেন সুবর্ণা মুস্তাফা। বরেণ্য এই অভিনেত্রী রাজনীতিতে নাম লিখিয়েছেন। ২০১৯ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সংরক্ষিত মহিলা আসন-৪ (৩০৪), ঢাকা-২২ থেকে সুবর্ণা মুস্তাফা সংসদ সদস্য হন।

মমতাজ

সংগীতশিল্পী মমতাজ বেগম দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে তৃতীয়বারের মতো সংসদ সদস্য হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হয়েছেন। তিনি নবম জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত মহিলা আসনে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর ২০১৪ ও ২০১৮ সালে মানিকগঞ্জ-২ আসনে টানা দুইবারের নির্বাচিত সঙসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। বাংলাদেশের অন্যতম বিখ্যাত লোকশিল্পী মমতাজ বেগম।

ফেরদৌস

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১০ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ। ঢাকাই চলচ্চিত্রের এই নায়ক এবারই প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেন। ফেরদৌস কখনোই চলচ্চিত্রে অভিনয় করতে চাননি। মা-বাবাও চাইতেন না তাদের ছেলে সিনেমায় কাজ করুক। ফেরদৌসের স্বপ্ন ছিল বৈমানিক হবেন। স্বপ্নপূরণের জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতিও নেওয়া শুরু করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতা বিভাগে পড়ার সময়েই ভর্তি হন ফ্লাইং ক্লাবে। কিন্তু একটা সময় পড়াশোনা শেষ করে নাম লেখান ঢাকাই চলচ্চিত্রে। প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি ‘হঠাৎ বৃষ্টি’র কল্যাণে দারুণ জনপ্রিয়তা পেয়ে যান ফেরদৌস। এরপর অভিনয় করেছেন দুই বাংলার অনেক জনপ্রিয় চলচ্চিত্রে।

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ক্রিকেট ও ফুটবল তারকা

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীদের তালিকায় জায়গা পেয়েছেন বেশ কয়েকজন তারকা খেলোয়াড়। মাশরাফি বিন মুর্তজা, সাকিব আল হাসান এবং আবদুস সালাম মুর্শেদী রাজনীতির বাইরে তাদের স্ব স্ব ক্ষেত্রে বিখ্যাত। ২০১৮ সালের নির্বাচনে নড়াইল-২ আসন থেকে নির্বাচিত হন সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মুর্তজা। তিনি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য। এই নির্বাচন সাকিব আল হাসানের জন্য প্রথম। আবদুস সালাম মুর্শেদী দেশের শ্রেষ্ঠ ফুটবল তারকাদের তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন। অবসর গ্রহণের পর থেকে তিনি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) ও তৈরি পোশাক শিল্পখাতের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব এবং বিজিএমইএর সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি একটি বেসরকারি ব্যাংকের পরিচালকের দায়িত্বেও রয়েছেন। ২০১৮ সালে তিনি খুলনা-৪ আসন থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ক্রিকেট মাঠ থেকে তারকাখ্যাতি পাওয়া নাঈমুর রহমান দুর্জয় ২০১৪ ও ২০১৮ সালে দুই মেয়াদে সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

বলিউডে অভিনেতা থেকে নেতা যারা

বলিউড তারকাদের একটি বড় অংশ এসেছেন রাজনীতিতে। পৃথ্বীরাজ থেকে অমিতাভ বচ্চন, ধর্মেন্দ্র, গোবিন্দ, হেমা মালিনী-জয়া বচ্চন বিটাউনের অনেক তারকারাই হেঁটেছেন রাজনীতির মাঠে। পৃথ্বীরাজ কাপুরের হাতে ধরেই শুরু বলিউড তারকাদের রাজনীতির মাঠে যাত্রা। ১৯৫২ থেকে ১৯৬০ টানা আট বছর রাজ্যসভায় নমিনেশন পান তিনি। ১৯৮৪ সালে বন্ধু রাজিব গান্ধীকে সমর্থন করতে রাজনীতিতে প্রবেশ করেন অমিতাভ বচ্চন। সে সময়ই ৬৮ দশমিক ২ শতাংশ ভোট পেয়ে লোকসভা নির্বাচনে উত্তর প্রদেশ থেকে নির্বাচিত হন অমিতাভ। একই বছর সুনীল দত্তও কংগ্রেসের সদস্য হন। এরপর থেকে ১৯৮৪, ১৯৮৯, ১৯৯১, ১৯৯৯ ও ২০০৪ সালে উত্তর পশ্চিম মুম্বাইয়ের এমপি পদে থাকেন। স্বামীর মতো জয়া বচ্চনও হেঁটেছেন রাজনীতির মাঠে। সমাজবাদী পার্টি থেকে সেরা নারী সংসদ সদস্য হিসেবে পুরস্কার পেয়েছেন। ১৯৯৪ সালে তেলেগু দেশাম পার্টিতে যোগ দেন জয়া প্রদা। পাঞ্জাবের গুরদাসপুরের এমপি ছিলেন বিনোদ খান্না। তার প্রচার কাজ থেকে হেমা মালিনী শুরু করেন রাজনীতি। স্ত্রীর পথ ধরে ধর্মেন্দ্রও যোগ দেন বিজেপিতে। নির্বাচিত হন সংসদ সদস্য। বিটাউনের জয়প্রিয় খলনায়ক শত্রুঘ্ন সিনহা দূরে ছিলেন না রাজনীতি থেকে। পিছিয়ে ছিলেন না রাজেশ খান্নাও। ২০০৪ সালে গোবিন্দ যোগ দেন লোকসভা নির্বাচনে। এছাড়াও রাজ বাব্বর, পরেশ রাওয়াল, শাবানা আজমি, মিঠুন চক্রবর্তী চলচ্চিত্রের সাথে সাথে যুক্ত হয়েছেন রাজনীতিতে।

টালিউড তারকাদের রাজনীতি

পশ্চিমবঙ্গে ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হন একঝাঁক তারকা। এদের মধ্যে আছেন জনপ্রিয় অভিনেতা চিরঞ্জিত চক্রবর্তী। এর আগে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে দুইবার বারাসাত আসন থেকে বিধানসভা নির্বাচনে বিজয়ী হন। ২০২১ সালের নির্বাচনেও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। বিজেপি প্রার্থী শংকর চট্টোপাধ্যায়কে হারিয়ে জয় লাভ করেন চিরঞ্জিত। বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন চিত্রনায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়। খড়গপুর সদর আসনে তৃণমূলকে হারিয়ে বিজয়ী হন হিরণ। টালিউড অভিনেত্রী জুন মালিয়া রাজনীতিতে নাম লিখিয়ে মেদেনিপুর আসন থেকে নির্বাচনে অংশ নিয়ে বিজয়ী হন। এতে তার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিজেপির সমিত কুমার দাস। এছাড়া টেলিভিশন অভিনেত্রী লাভলী মৈত্র সোনারপুর দক্ষিণ আসন থেকে বিজয়ী হন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিজেপির অঞ্জনা বসু। কাঞ্চন মল্লিক প্রথমবার রাজনীতিতে এসে তৃণমূল থেকে উত্তরপাড়ার টিকিট পেয়ে যান। সর্বশেষ বিজেপি প্রার্থী প্রবাল ঘোষলকে হারিয়ে বিজয়ী হন এই অভিনেতা। অন্যদিকে ব্যারাকপুর আসন থেকে তৃণমূলের হয়ে জয় লাভ করেন পরিচালক রাজ চক্রবর্তী। চণ্ডীপুর আসনে তৃণমূলের হয়ে জয়ী হন অভিনেতা সোহম চক্রবর্তী।

রিয়েলিটি টিভি তারকা ডোনাল্ড ট্রাম্প

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তারকা থেকে নেতা হওয়ার নজির নেহায়েত কম নয়। রিপাবলিকান দলের হয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করার আগে ডোনাল্ড ট্রাম্প একজন রিয়েলিটি টিভি তারকা হিসেবেই বিখ্যাত ছিলেন। তিনি ২০১৭ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত দেশটির প্রেসিডেন্ট ছিলেন তিনি এবং এখনো আমেরিকান রাজনীতিতে সবচেয়ে প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হয়ে রয়েছেন। আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তার আবারও প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

রোনাল্ড রিগান ছিলেন হলিউড অভিনেতা

শুধু ট্রাম্প নয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়া তারকাদের মধ্যে রয়েছেন রোনাল্ড রিগানও। তিনি তরুণ বয়সে হলিউডের বেশকিছু সিনেমায় অভিনয় করেছেন। তিনি ৫০টিরও বেশি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। টার্মিনেটর সিনেমায় অভিনয়ের জন্য বিখ্যাত আর্নল্ড শোয়ার্জনেগার যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর ছিলেন এবং দুই মেয়াদে তিনি এই দায়িত্ব পালন করেছেন।

তারকাদের রাজনীতিকে আসার ইতিহাস দীর্ঘ। উঠে আসলো তার একটি অংশ। কোনো একজন প্রতিনিধি তারকা হোক কিংবা না হোক মানুষ হিসেবে মানুষের পাশে থাকুক সকলেই। এই প্রত্যাশায় আজ এ পর্যন্তই।

লেখাটির পিডিএফ দেখতে চাইলে ক্লিক করুন: রাজনীতির মাঠ

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

thirteen + 3 =