তায়েব-অনন্তর ‘দোস্ত দুশমন’ বর্ষা হবেন পুলিশ কর্মকর্তা

‘দোস্ত দুশমন’ নামে একটি সিনেমা তৈরি করেছিলেন দেওয়ান নজরুল। বলিউডের বিখ্যাত ‘শোলে’ সিনেমার এই বাংলা রিমেক মুক্তি পেয়েছিল ১৯৭৭ সালে। দুই বন্ধুর চরিত্রে ছিলেন ওয়াসিম ও সোহেল রানা। বন্ধু থেকে তাঁদের শত্রু হয়ে যাওয়ার এ গল্পটি তখন দারুণ জনপ্রিয় হয়েছিল। ৪৬ বছর পর ঢালিউডে একই নামে তৈরি হচ্ছে আরেকটি সিনেমা। অভিনয় করছেন অনন্ত জলিল ও ডি এ তায়েব। এটিও দুই বন্ধুর গল্প। দোস্ত থেকে তাদের দুশমন হয়ে যাওয়ার গল্প। তবে ডি এ তায়েব জানালেন, আগের দোস্ত দুশমনের সঙ্গে এর কোনো মিল নেই। এটি সম্পূর্ণ আলাদা গল্প।

নতুন ‘দোস্ত দুশমন’-এ অনন্ত ও তায়েবকে ঢাকা শহরের দুই ক্যাডার হিসেবে দেখা যাবে। একজন শহরের উত্তর অংশ নিয়ন্ত্রণ করে, আরেকজন দক্ষিণ অংশ। কেউ কাউকে সহ্য করতে পারে না। সীমানা নিয়ে, চাঁদা নিয়ে তাদের মধ্যে সারাক্ষণ মারামারি লেগেই থাকে। তাদের দেখে বোঝার উপায়ই নেই, একসময় তারা ছিল খুবই ভালো বন্ধু। বিশ্ববিদ্যালয়ে একসঙ্গে রাজনীতি করত। ভার্সিটিতে ভর্তির সময় একটি মেয়েকে ওরা নানাভাবে সহযোগিতা করে। ইয়ার লস দিতে দিতে একসময় তারা মেয়েটির ক্লাসমেট হয়ে যায়। এ মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করবেন চিত্রনায়িকা বর্ষা।

অভিনেতা ডি এ তায়েব বলেন, ‘নায়িকার প্রতি দুজনই দুর্বল। কিন্তু নায়িকা কাউকেই ভালোবাসে না। নিজেদের মধ্যে সন্দেহ তীব্র হতে হতে ওদের মধ্যে দূরত্ব বাড়ে। মারামারি করে। জেল হয়। পাঁচ বছর পর জেল থেকে বেরিয়ে ওরা অপরাধজগতের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে। দুজন পৃথক দুই দলের হয়ে নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়।’

গত সোমবার রাতে অ্যাকশন রোমান্টিক ঘরানার ‘দোস্ত দুশমন’ সিনেমার ঘোষণা দিয়েছেন ডি এ তায়েব। তিনি জানান, এ সিনেমায় দুই গডফাদারের চরিত্রে অভিনয় করবেন মিশা সওদাগর ও মাহমুদুল ইসলাম মিঠু। গল্পে অনন্ত ও তায়েব মূলত তাদের হয়েই কাজ করেন। আর বর্ষাকে দেখা যাবে পুলিশ কর্মকর্তার চরিত্রে। ডি এ তায়েব বলেন, ‘এখন চিত্রনাট্যের কাজ চলছে। এরপর শুটিংয়ের তারিখ ঠিক করা হবে। তবে সিনেমাটি কে পরিচালনা করছেন, সেটা এখনই জানাচ্ছি না। এটা নিয়ে মিটিং চলছে। কয়েক দিন পর সবাইকে বিস্তারিত জানাব।’

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

four + 3 =