দারুন জয়ের পরেও অনিশ্চিত পাকিস্তান

সালেক সুফী
কাল সিডনি ক্রিকেট ক্রিকেট মাঠে উড়তে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকাকে টেনে নামিয়েছে পাকিস্তান। বৃষ্টি বিঘ্নিত খেলায় ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে ৩৩ রানে জয়ী হয়ে পাকিস্তানের সুযোগ হয়েছে সেমী ফাইনালে ওঠার।  কিন্তু  দুই ম্যাচে পাকিস্তান আর জিম্বাবোয়ের কাছে চুলচেরা ব্যাবধানে হেরে যাওয়ায় ওদের কাজটি অনেক কঠিন।  জিততে হবে শেষ খেলায় বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বড় জয়ের এবং শেষ ম্যাচ গুলোতে ভারত এবং দক্ষিণ আফ্রিকার হেরে যাওয়ার।
কাল কিন্তু জয় ছাড়া পাকিস্তানের বিকল্প ছিল না। তবে টস জয় করে ব্যাটিং করা পাকিস্তান কিন্তু শুরুতেই দুই ব্যাটিং স্তম্ব বাবর আজম, রিজওয়ানকে হারিয়ে বিপাকে পড়েছিল। হারিস আর শান মাসুদ ফায়ার গিয়েছিলো ৪৩ রান হতেই। ৪/৪৩ দেয়ালে পিঠ রেখে দারুন ঘুরে দাঁড়ালো পাকিস্তান। প্রথমে ইফতিখার, মোহাম্মদ নেওয়াজকে সঙ্গী করে এবং পরে ইফতিখার ( ৫১) -সাদাব (৫২) মারকুটে ব্যাটিং করে পাকিস্তানের স্কোর (১৮৫/৯) ধরা ছোয়ার বাইরে নিয়ে যায়. পাকিস্তান বাটটিংয়ের মূল সমস্যা দুর্বল মিডল অর্ডার কাল জ্বলে ওঠায় দলের রসায়ন পাল্টে যায়। লুঙ্গি এনজিডি (৪/৪১) ছাড়া অন্য কেউ কাল সুবিধা করতে পারেনি পাকিস্তানিদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে।
আকাশ মেঘে ঢাকা থাকায় পাকিস্তান বোলিং কিন্তু শুরু থেকেই স্বরূপ খুঁজে পায়।  শাহীন আফ্রিদি অবশেষে ছন্দ খুঁজে পেলে বাভুমা (৩৬) ছাড়া কেউ দাঁড়াতেই পারে নি। ৯ ওভার খেলার পর এক পশলা বৃষ্টি নামলে ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে দক্ষনি আফ্রিকার জয়ের মাত্রা নির্ধারিত হয় ১৪ ওভারে ১৪১। পাকিস্তানী তোপের মুখে প্রোটিয়ানরা ১০৮/৯ পৌঁছাতে পারে। হেরে যায় ৩৩ রানের বিশাল ব্যাবধানে। দক্ষিণ আফ্রিকা শেষ ম্যাচ খেলবে নেদারল্যান্ডসের সাথে।  যদি অঘটন না ঘটে তাহলে দক্ষিণ আফ্রিকা অবশ্যি চলে যাবে সেমী ফাইনালে। অন্যদিকে জিম্বাবোয়ে ভারতকে হারালে সেই ক্ষেত্রে ভারত এবং পাকিস্তান অথবা বাংলাদেশের একটি দল খেলবে সেমী ফাইনাল। শেষ রাউন্ডের ম্যাচগুলোয় তাই থাকবে অনেক সমীকরণ।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

twenty − 14 =