নাটকের আইকন: সুবর্ণা মুস্তাফা

মাসুম আওয়াল

অভিনয় জগতের এক উজ্জ্বল নক্ষত্রের নাম সুবর্ণা মুস্তাফা। তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে তিনি অভিনয়ে মুগ্ধতা ছড়িয়ে যাচ্ছেন। বাংলাদেশের নাট্যজগতে তাকে আইকন মানেন অনেকেই। আশির দশকে তিনি ছিলেন দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় টিভি অভিনেত্রী। তার নাটক-চলচ্চিত্র ক্যারিয়ারের পাশাপাশি জীবনের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে আরও নানা পালক। একাদশ জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনে আওয়ামী লীগের ব্যানারে মনোনীত হন এই নন্দিত অভিনেত্রী। বর্তমানে সেই দায়িত্ব পালন করছেন দক্ষতার সঙ্গে। ২ ডিসেম্বর এই গুণী অভিনেত্রীর শুভ জন্মদিন। রঙবেরঙ এর পক্ষ থেকে রইলো জন্মদিনের শুভেচ্ছা।

নামের মতো রূপ

সুবর্ণা নামের অর্থ হলো সোনার রঙ। সুবর্ণা শব্দটির সবচেয়ে জনপ্রিয় অর্থ হলো অপরূপ সৌন্দর্য। যার অনেক সৌন্দর্য এবং গায়ের রঙ সোনার মতো তাকেই সুবর্ণা বলা হয়। নন্দিত অভিনেত্রী সুবর্ণা দেখতে তার নামের মতোই। অভিনেত্রী হিসেবেও আছেন জনপ্রিয়তার চূড়ায়। অন্যদিকে মুস্তাফা শব্দটির অর্থ নির্বাচিত, পছন্দসই, প্রিয়, শ্রেষ্ঠ। নামের সঙ্গে সুবর্ণা মুস্তাফার এই মিল কাকতালীয় নয়। ছোটবেলা থেকে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে নিজের নামের মান রেখে চলেছেন। হয়ে উঠেছেন অসংখ্য মানুষের আইডল। গণমাধ্যমে প্রকাশিত সূত্রমতে সুবর্ণা মুস্তাফা ১৯৬০ সালের ২ ডিসেম্বর ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পৈত্রিক নিবাস ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলার দপদপিয়া ইউনিয়নে। মাত্র একবার এই গ্রামে গিয়েছিলেন সুবর্ণা মুস্তাফা। ২০০৩ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি না ফেরার দেশে চলে যান গোলাম মুস্তাফা। তার মুত্যুর ১৪ বছরের মাথায় মেয়ে সুবর্ণা বাবার ভিটেতে যান। স্বামী বদরুল আনাম সৌদের ‘গহীন বালুচর’ সিনেমার শুটিংয়ের সুবাদেই বাবার জন্মভিটায় প্রথমবারের মতো পা রাখেন এই অভিনেত্রী। ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলার দপদপিয়া ইউনিয়নে অনুদানের এই সিনেমার শুটিং হয়। শুটিংয়ের অবসরে বাবার জন্মভিটা ঘুরে আসেন সুবর্ণা মুস্তাফা। পৈতৃক বাড়ি ও এর আশে পাশে দাঁড়িয়ে বেশ কিছু ছবি তোলেন অভিনেত্রী। বাবার স্মৃতি বিজড়িত বাড়ির এসব ছবি সুবর্ণা তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ারও করেন। ক্যাপশনে লিখেছিলেন, ‘আমার বাবার জন্মস্থান দপদপিয়ায় প্রথমবারের মতো ঘুরছি।’

ঢাকাতেই বেড়ে ওঠা

সুবর্ণা মুস্তাফার পিতা গোলাম মুস্তাফা ছিলেন একজন প্রখ্যাত অভিনেতা ও আবৃত্তিকার। অনেক সুপারহিট সিনেমার অভিনেতা ছিলেন তিনি। অন্যদিকে সুবর্ণা মুস্তাফার মা হোসনে আরা পাকিস্তান রেডিওতে প্রযোজনার দায়িত্বে ছিলেন। মা-বাবা দুজনে শিল্প-সংস্কৃতির মানুষ হওয়ায় দারুন এক পরিবেশে বড় হয়েছেন এ অভিনেত্রী। মাত্র ৫/৬ বছর বয়সে বেতার নাটকে কাজ করেন। বাবা-মায়ের আদর স্নেহে সুবর্ণার বেড়ে ওঠা ঢাকাতেই। শৈশব থেকেই বাবার অনুপ্রেরণায়ই সংস্কৃতির প্রতি ঝোঁক তৈরি হয় সুবর্ণার। শুরু করেন মডেলিং আর অভিনয়। সম্মোহনী চাহনি আর অসাধারণ বাচনভঙিতে সুবর্ণা নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন চমৎকার ব্যক্তিত্বের এক অভিনেত্রী হিসেবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ছাত্রী ছিলেন তিনি।

মঞ্চের সুবর্ণা

সুবর্ণা মুস্তাফা মঞ্চ নাটকেও তিনি খ্যাতি কুড়িয়েছেন। ‘শকুন্তলা’ তার অন্যতম জনপ্রিয় মঞ্চ নাটক। ১৯৭০-এর দশকে সুবর্ণা ঢাকা থিয়েটারে সেলিম আল দীনের নাটক ‘জন্ডিস’ ও ‘বিবিধ বেলুন’-এ অভিনয় করেন। ‘কেরামত মঙ্গল’, ‘মুনতাসীর ফ্যান্টাসি’, ‘কীর্তনখোলা’ নাটকে তার অভিনয় স্মরণীয় হয়ে আছে মঞ্চপ্রেমীদের কাছে। ২০১৮ সালে সুবর্ণা মুস্তাফা কানাডায় ‘কাল্পনিক সত্যি কাহিনী’ শিরোনামের মঞ্চ নাটকে অভিনয় করেছিলেন। নাটকটির নির্দেশনা দিয়েছিলেন বদরুল আনাম সৌদ। এটি ছিল মঞ্চে সুবর্ণার সর্বশেষ অভিনয়।

টেলিভিশন নাটকে সুবর্ণা মুস্তাফা

নবম শ্রেণিতে পড়াকালীন প্রথম টেলিভিশন নাটকে অভিনয় করেন সুবর্ণা মুস্তাফা। ১৯৭১ সালের পূর্ব পর্যন্ত তিনি শিশুশিল্পী হিসেবে নিয়মিত টেলিভিশনে কাজ করেছেন। আশির দশকে ছিলেন দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় টিভি অভিনেত্রী। আফজাল হোসেন, হুমায়ুন ফরীদি ও আসাদুজ্জামান নূরের সাথে তার জুটি ব্যাপক দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছিল আশি-নব্বই দশকে। অভিনেত্রীদের মধ্যে একটি প্রজন্মের প্রতিনিধিত্ব করেছেন সুবর্ণা। এদেশে টেলিভিশন নাটকে জুটি প্রথা গড়ে উঠেছিল সুবর্ণা মুস্তাফা ও আফজাল হোসেনকে দিয়ে। ‘রক্তে আঙুর লতা’, ‘পারলে না রুমকি’সহ বেশকিছু নাটকে দুজনে জুটি হয়ে অভিনয় করেছিলেন। বিটিভির প্রথম প্যাকেজ ধারাবাহিক নাটক ‘শিল্পী’র গুরুত্বপূর্ণ একটি চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন সুবর্ণা। নাটকটির পরিচালক ছিলেন মামুনুর রশীদ। সেই সাথে হুমায়ূন আহমেদের নাটক ও চলচ্চিত্রে দারুণ সব চরিত্রে কাজ করে সুবর্ণা পৌঁছে গিয়েছিলেন সব শ্রেণির মানুষের কাছে।

সুবর্ণা আলোচনায় আসেন ১৯৯০ সালে বিটিভিতে প্রচার হওয়া হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাস অবলম্বনে বরকত উল্লাহর পরিচালনায় ‘কোথাও কেউ নেই’ নাটকের মাধ্যমে। সে নাটকে আসাদুজ্জামান নূরের করা কালজয়ী চরিত্র বাকের ভাইয়ের প্রেমিকা মুনা চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন সুবর্ণা। তারপর নিয়মিতভাবেই তাকে হুমায়ূন আহমেদের নাটকে কাজ করতে দেখা যায়। এর মধ্যে দারুণ জনপ্রিয়তা পায় ‘আজ রবিবার’ নাটকটিও। আজাদ আবুল কালাম রচিত ও আফসানা মিমি এবং বদরুল আনাম সৌদ পরিচালিত ‘ডলস হাউজ’ টেলিভিশন ধারাবাহিকে অভিনয় করেন। এটি ছিলো সৌদ পরিচালিত ও সুবর্ণা অভিনীত প্রথম ধারাবাহিক। পরবর্তীতে তিনি সৌদের পরিচালনায় ‘সীমান্ত’, ‘উপসংহার’, ‘গহীনে’, ‘গ্রন্থিকগণ কহে’, ‘এলেবেলে’, ‘কোমল বিবির অতিথিশালা ও কানা সিরাজউদ্দৌলা’, ‘পিঞ্জর’, ‘ঘোড়ার চাল আড়াই ঘর’, ‘অন্তর্যাত্রা’ টেলিভিশন ধারাবাহিকে অভিনয় করেন। ২০১৮ সালে বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে বিটিভির বিশেষ অনুষ্ঠান ‘আনে মুক্তি আলো আনে’ উপস্থাপনা করেন এবং চয়নিকা চৌধুরীর পরিচালনায় বিশেষ টেলিভিশন নাটক ‘অপেক্ষা’য় অভিনয় করেন।

চলচ্চিত্রে সুবর্ণা

চলচ্চিত্রে সুবর্ণার অভিষেক ঘটে ১৯৮০ সালে সৈয়দ সালাউদ্দিন জাকী পরিচালিত ‘ঘুড্ডি’র মাধ্যমে। বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সুবর্ণা মুস্তাফা এই সিনেমাটিকে ‘সময়ের আগে নির্মিত একটি ছবি, অ্যাহেড অব ইটস টাইম’ বলে উল্লেখ করেন। সুবর্ণা কখনই গড়পড়তা চলচ্চিত্রে অভিনয় করেননি। জীবনঘনিষ্ঠ বেশ কিছু চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। আবার মূলধারার কিছু সিনেমাতেও তার উপস্থিতি লক্ষ্যণীয়। ‘নয়নের আলো’ সিনেমায় তার অভিনয় সব শ্রেণির দর্শককে নাড়া দিয়েছিল। ১৯৮৩ সালে ‘নতুন বউ’ চলচ্চিত্রটিও সবার মন জয় করে নেয়। ১৯৯২ সালে মুক্তি পাওয়া হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত মুস্তাফিজুর রহমানের ‘শঙ্খনীল কারাগার’ ছবি দিয়েও দর্শকদের মনে দোলা দিয়েছিলেন তিনি। সেখানে আসাদুজ্জামান নূর ও ডলি জহুরের ছোট বোনের চরিত্রে অভিনয় করেন সুবর্ণা।

তার অভিনীত অন্যান্য সিনেমার মধ্যে রয়েছে ‘লাল সবুজের পালা’, ‘পালাবি কোথায়’, ‘সুরুজ মিয়া’, ‘অপহরণ’, ‘দূরত্ব’, ‘হেডমাস্টার’, ‘কমান্ডার’, ‘খণ্ড গল্প ৭১’ ‘আঁখি ও তার বন্ধুরা’ এবং ‘গহীন বালুচর’। এখন অভিনয়ে কম দেখা যায় সুবর্ণা মুস্তাফাকে। তবে মাঝে মাঝেই দারুণ সব চরিত্র নিয়ে হাজির হন তিনি। সর্বশেষ তিনি দর্শক মাতিয়েছেন ‘গণ্ডি’ সিনেমা দিয়ে। এ সিনেমায় তাকে দেখা গেছে কলকাতার জনপ্রিয় অভিনেতা ‘ফেলুদা’খ্যাত সব্যসাচী চক্রবর্তীর বিপরীতে। এছাড়া শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের পল্লীসমাজ উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিতব্য ‘লীলাবতী’ চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন।

প্রযোজক সুবর্ণা মুস্তাফা

সুবর্ণা মুস্তাফা সম্প্রতি প্রযোজনা করেন ‘শ্যামাকাব্য’ নামের একটি সিনেমা। বদরুল আনাম সৌদ পরিচালিত সিনেমাটি একঝাঁক তারকাশিল্পী নিয়ে তৈরি হয়েছে। এই সিনেমাটি নিয়ে সুবর্ণা মুস্তাফা বলেন, ‘বদরুল আনাম সৌদের প্রতি আমার আস্থা আছে। নির্মাতা হিসেবে তার নিজস্ব একটা বৈশিষ্ট্য আছে।’ চলচ্চিত্র প্রযোজকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘ভালো চলচ্চিত্রের পৃষ্ঠপোষকতা করবেন। এটা খুব প্রয়োজন। তাহলেই নান্দনিক ও ভালো সিনেমা আসবে।’

সুবর্ণার রাজনৈতিক জীবন

২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে একাদশ জাতীয় সংসদে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সংরক্ষিত মহিলা আসন ৪ (৩০৪), ঢাকা ২২ থেকে সুবর্ণা মুস্তফাকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত করা হয়। বর্তমানে তিনি দায়িত্ব পালন করছেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসেবে।

প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি

এক জীবনে প্রচুর দর্শকের ভালোবাসা পেয়েছেন সুবর্ণা মুস্তাফা। পেয়েছেন রাষ্ট্রীয় সম্মানও। ১৯৮৩ সালে ‘নতুন বউ’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন সুবর্ণা মুস্তাফা। অভিনয়ের স্বীকৃতি হিসেবে ২০১৯ সালে বাংলাদেশ সরকার তাকে একুশে পদকে ভূষিত করে।

সুবর্ণা মুস্তাফার ব্যক্তিজীবন

সুবর্ণা মুস্তাফা ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন প্রয়াত অভিনেতা হুমায়ূন ফরীদিকে। দীর্ঘ ২২ বছর সংসার করার পর ২০০৮ সালে ফরীদির সাথে তার বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। পরবর্তীতে তিনি নির্মাতা ও চিত্রনাট্যকার বদরুল আনাম সৌদকে বিয়ে করেন।

সুবর্ণা-সৌদের ১৫

তারকা দম্পতি সুবর্ণা মুস্তাফা ও বদরুল আনাম সৌদের ১৫তম বিয়েবার্ষিকী ছিল ২০২৩ সালের ৭ জুলাই। দিনটি উপলক্ষ্যে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন সুবর্ণা মুস্তাফা। স্বামীর সঙ্গে কয়েকটি ছবি শেয়ার করে এই অভিনেত্রী লেখেন, ‘শুভ বিয়েবার্ষিকী প্রিয় সৌদ। আমাদের একসঙ্গে ১৫ বছরের এই সময়টাতে আমরা অনেক উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে গিয়েছি। সেখানে ভালো সময় যেমন ছিল, তেমনি ছিল খারাপ সময়। কিন্তু আমরা সবসময়ই ওই খারাপ সময়গুলো পার করে গিয়েছি। আমরা একজন আরেকজনকে ভালোবাসা এবং শ্রদ্ধার মাধ্যমে উভয়েই শক্তি খুঁজে পেয়েছি। তোমাকে সব সময় ভালোবাসি।’ আফসানা মিমির সোপ অপেরা ‘ডলস হাউস’ সহপরিচালনার সময় সুবর্ণা মুস্তাফার সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান সৌদ। পরে পারিবারিক আয়োজনে বিয়ে করেন তারা।

তরুণদের সুবর্ণার পরামর্শ

তরুণদের ফেসবুক ফলোয়ারের দিকে না ছুটে নিজের কাজের প্রতি মনযোগী হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন সুবর্ণা মুস্তাফা। সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে এই অভিনেত্রী বলেন, ‘ফেসবুক ফলোয়ার দিয়ে শিল্পী হবে না, ইউটিউব কনটেন্ট দিয়ে অভিনেতার জন্ম হয় না। ভয়ানকভাবে ঝরে যাবে।’ বর্তমান সময়ের তারকাদের উদ্দেশ্যে এই অভিনেত্রী বলেন, ‘একজন রাজ্জাক সাহেব, আলমগীর, আসাদুজ্জামান নূর, হুমায়ুন ফরীদি বা আমার তো কোনো ফলোয়ার নেই। ফলোয়ারের ওপর ভিত্তি করে এসব নাম হয়নি বাংলাদেশে। একজন শাবানা আপা কিংবা একজন ববিতা, মৌসুমী, শাবনূর পর্যন্ত; এদের দেখে জানা প্রয়োজন ফলোয়ার দিয়ে শিল্পী তৈরি হয় না।’

লেখাটির পিডিএফ দেখতে চাইলে ক্লিক করুন: শুভেচ্ছা

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

5 − 1 =