নানা ঘটনায় এশিয়া কাপ ২০২৫ প্রতিদ্বন্দ্বিতা এখন তুঙ্গে

গ্রূপ অফ ফোরের তিন ম্যাচ শেষে সমীকরণ এমন দাঁড়িয়েছে যে চার দলের যে কোন দুই দল ফাইনাল খেলতে পারে। দুই ম্যাচ খেলে দুটিতেই হেরেছে শ্রীলংকা, দুটি ম্যাচ খেলে এক জয় এক পরাজয়ে সম্ভাবনা আছে পাকিস্তানের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে জয়ী হয়ে ফাইনাল খেলার। এক ম্যাচ খেলে একটিতে জয়ী হয়ে ভারত এবং বাংলাদেশ অপেক্ষাকৃত ভালো অবস্থানে। আজ পরস্পরের মুখোমুখি যে দল জয়ী হবে তাদের ফাইনাল খেলা নিশ্চিত হয়ে যাবে। তরুণ এবং অপেক্ষাকৃত কম অভিজ্ঞ বাংলাদেশ আজ দুবাইতে মুখোমুখি হবে তুখোড় ভারত দলের বিরুদ্ধে।

স্বাভাবিক ভাবে দারুন ফর্মে থাকা শক্তিশালী ভারত দল টুর্নামেন্ট জয়ের জন্য শক্তিশালী অবস্থানে। গ্রূপ পর্বের খেলা এবং সুপার ফোরে  উড়িয়ে দিয়েছে প্রতিদ্বন্দ্বী  পাকিস্তানকে। একমাত্র ওমান কিছুটা পরীক্ষা নিয়েছিল ভারতের। ওপর দিকে প্রথম বারের মত সাম্প্রতিক সময়ের সেরা খেলোয়াড় যারা আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট খেলতে আশা বাংলাদেশ গ্রূপ পর্যায়ে আফগানিস্তান এবং গ্রূপ ফোরে শ্রীলংকার বিরুদ্ধে ভালো খেলে জয়ী হয়েছে। গ্রূপ পর্যায়ের খেলায় একমাত্র শ্রীলংকার সঙ্গে হোঁচট খেলেও নিজেদের গুছিয়ে নিয়ে অনেক আত্মবিশ্বাসী।  আজ টুর্নামেন্ট ফেভারিট ভারতের বিরুদ্ধে নিজেদের উজাড় করে খেলতে পারলে অঘটন ঘটালেও অবাক হব না।

ভারত কিন্তু উঁচুমানের ব্যাটসম্যান (অভিষেক শর্মা, শুভমান গিল, সূর্য কুমার যাদব, তিলক ভার্মা, হার্দিক পান্ডিয়া, সানজু সাম্পসন) এবং উইকেট টেকিং তুখোড় বোলারদের (জাসপ্রিত বুমরা, আরসদীপ সিং, ভারুন চক্রবর্তী, কুলদীপ যাদব, আক্সার  প্যাটেল) সমন্বয়ে কাগজে কলমে অনেক আগুয়ান। বাংলাদেশ নিঃসন্দেহে আন্ডার ডগ। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে মুখোমুখি লড়াইয়ে বাংলাদেশ ভারত খেলায় তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেখা গেছে। আম্পায়ারিং সিদ্ধান্ত খেলাটিকে বিতর্কিত না করলে আজও বাংলাদেশ লড়াই করবে বলা যেতেই পারে। হারানোর কিছুই নেই বাংলাদেশের।

বাংলাদেশকে বুমরাহ, কুলদীপ এবং ভারুনকে সতর্কতার সঙ্গে খেলতে হবে। প্রথমে ব্যাটিং করার সুযোগ পেলে পরিকল্পনা করে ১৬০-১৭০ রান করার সামর্থ বাংলাদেশের আছে। ওপেনিং যুগল তানজিদ তামিম, সাইফ হাসান ভালো সূচনা করে শক্ত ভীত রচনা করলে অধিনায়ক লিটন কুমার দাস আর তাওহীদ হৃদয় ইনিংসে গতিশীলতা আনতে পারবে। আমি সোহানকে একটু উপরে শামীম এবং যাকেরের আগে বাটটিংয়ের সুযোগ দেওয়ার পরামর্শ দিবো। তবে মনে রাখতে হবে দুবাই উইকেটে বেপরোয়া ব্যাটিং করার সুযোগ নাই। বিশেষ করে ভারুন আর কুলদীপ অত্যন্ত বিচক্ষণ বলার। ভালো ব্যাটিং করে ১৬০-১৭০ রান করলে বাংলাদেশ লড়াই করতে পারবে।

বাংলাদেশ বোলিংয়ের মূল শক্তি মুস্তাফিজ, মাহেদী হাসান এবং নাসুম আহমেদ।আজ আমি তানজিদ তামিমকে খেলাতে পরামর্শ দিবো। অভিষেক শর্মা এবং শুভমান গিলকে ডানা মেলতে না দেয়া হলে ভারত  ইনিংস থমকে দাঁড়াবে। শ্রীলংকার বিরুদ্ধে নতুন বলে অযথা খাটো লেংথে বল করে মার খেয়েছে শরিফুল, তাসকিন।

আজ পেস বোলারদের সঠিক লাইন লেংথে ধারাবাহিকভাবে বোলিং করতে হবে, পেস ভ্যারিয়েশন করতে হবে মুস্তাফিজের মত। বাংলাদেশ কিন্তু প্রতি ম্যাচে বেশ কিছু ক্যাচ ফেলছে। গ্রাউন্ড ফিল্ডিং ভালো হচ্ছে না। আতংকিত না হয়ে নিজেদের স্বাভাবিক খেলা খেলতে পারলে বাংলাদেশকে হারানো সহজ হবে না বাংলাদেশের। আজ জয়ী হতে না পারলেও পরাজয়ের ব্যাবধান সীমিত রাখতে হবে। তাহলে আগামী  পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খেলাটি হবে মূলত সেমি ফাইনাল। আমি তরুণ বাংলাদেশকে নিয়ে বরাবরের মত আশাবাদী।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

five × 5 =