‘ন্যাচার ইনসাইটস’ গ্লোবাল ম্যাগাজিনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন

প্রাকৃতিক অধিকারিভত্তিক বৈশ্বিক শাসনব্যবস্থা প্রাণ ও প্রকৃতির রক্ষাকবচ

বঙ্গোপসাগেরর তীরে মারেমইড বিচ রিসোর্টে রবিবার বিকালের দাবদাহে “ন্যাচার ইনসাইটস’ ম্যাগাজিনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন সম্পন্ন হয়েছে। উদ্ভোধনী  অনুষ্ঠানের উপস্থিত ছিলেন চেঞ্জ ইনিশিয়েটিভ এর প্রধান নির্বাহী এবং ন্যাচার ইনসাইটস এর প্রধান সম্পাদক এম. জাকির হোসেন খান এবং ন্যাচার ইনসাইটস ও চেঞ্জ ইনিশিয়েটিভ এর সকল সদস্যরা। পরিবেশ ও প্রকৃতির পুনরুদ্ধার ও টেকসই ভবিষ্যৎ গড়ার স্বপ্ন নিয়ে যাত্রা শুরু করা এই ম্যাগাজিন কেবল একটি প্রকাশনা নয়, বরং এটি একটি চিন্তার উদ্রেক – যা প্রাকৃতিক অধিকারেক বিশ্বব্যাপী প্রাকৃতিক অধিকার সুরক্ষা ভিত্তিক শাসনব্যবস্থার মূল ভিত্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠার বিষয়ে বিজ্ঞানিভত্তিক, স্থানিক জ্ঞান এবং কমিউিনটি দিশা দেখাবে।

চেঞ্জ ইিনিশেয়টিভ ও আইএসটিআর-এর যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত “ন্যাচার ইনসাইটস’ এ রেয়েছ, নদী, বন, বিভিন্ন প্রজাতিসহ প্রকৃতির প্রতিটি উপাদানেক যদি ‘জড় পদার্থ’ হিসেবে তুচ্ছ না কের ‘অধিকারধারী সত্তা’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়, তাহেল বৈশ্বিক ব্যবস্থাপনায় কীভাবি আমূল পরিবর্তন আসেত পারে। দ্রুত বদলাতে থাকা বিশ্বে প্রাকৃতিক অধিকারের স্বীকৃতি মানব সমাজেক আরও ন্যায়িভত্তিক, দায়বদ্ধ ও টেকসই কের তুলেব।

ম্যাগাজিনের উদ্বোধনী সংখ্যার সম্পাদকীয়েত প্রধান সম্পাদক এম. জাকির হোসেন খান লিখেছেন “প্রকৃতিকে কেবল শোষেণর উৎস হিসেবে দেখার দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতেই এই ম্যাগাজিনের যাত্রা। প্রকৃতিকে আমাদের সহযোগী হিসেবে বিবেচনা করতে হবে। প্রকৃতির অধিকারকে সম্মান করেলই কেবল সত্যিকারের ন্যায়িবচার নিশ্চিত করা সম্ভব।”

তিনি আরও লিখেছেন, ‘প্রাকৃতিক অধিকারভত্তিক শাসনব্যবস্থা’ কোনো প্রতীকী ধারণা নয়, বরং এটি মানবসৃষ্ট আইনেক বাস্তুতান্ত্রিক সীমারেখার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কের তোলার বাস্তবমুখী বিবর্তন।

বৈজ্ঞানিক গবেষণা , নীতি বিশ্লেষণ, সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপট, মাঠপর্যায়ের প্রতিবেদন, কল্পকাহিনী, কার্টুনসহ নানান ফিচারে সমৃদ্ধ ন্যাচার ইনসাইটস। উল্লেখযোগ্য বিষয়বস্তুর মধ্যে আছে আর্কটিকের বরফ গলার প্রভাব, আফ্রিকার বন সংরক্ষেণর সংগ্রাম, সাজেকের গল্প,পরিবেশ রক্ষাকারী কর্মীদের সাক্ষাৎকার, বাস্তুসংস্থানিভত্তিক কল্পকাহিনী ও হাস্যরসাত্মক কার্টুন।

“ন্যাচার ইনসাইটস হতাশার গল্প বলে না, বরং আশা, দায়বদ্ধতা ও বাস্তবসম্মত সমাধানের কথা শোনায়,” বলেন প্রধান সম্পাদক এম. জাকির হোসেন খান।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

four × three =