পদ্মা টেস্ট সিরিজে এখনো সুযোগ আছে ঘুরে দাঁড়াবার

সালেক সুফী: আমি নদী পারের মানুষ।  প্রতি বর্ষায় ভাঙা-গড়া দেখেছি নিয়মিত শিশুকাল আর কৈশোরে।  বাংলাদেশের অহংকারের একাত্তরে নিবিড়ভাবে সম্পৃক্ত থেকেছি।  বাংলাদেশের বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনে বিশেষত বিশ্ব ক্রিকেট অঙ্গনে আবির্ভাব, হামাগুড়ি দেওয়া শৈশব দেখেছি কাছে থেকেই। প্রায়শই হতাশ হই, অভিমান করি। কিন্তু নদীপাড়ের বানভাসি মানুষের মতোই স্বপ্ন দেখি।

বাংলাদেশের ছেলেরা এখন দেয়ালে পিঠ রেখে লড়াই করছে সুদূর ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে।  প্রথম ইনিংসে ক্যারিবীয় টাইফুন ভাসিয়ে নিলেও কাল দিনশেষে দারুন ভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। আমি ঝরা পালকের ধংসস্তূপে নীড় বাধা মানুষ।  ছাই উড়িয়ে রতন খুঁজি।

তাই আমি মনে করি এন্টিগা টেস্টে বাংলাদেশের ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ আছে। এখনো ১১২ রানে পিছিয়ে থাকা অবস্থান থেকে যদি তরুণ জয় আর শান্ত কোমর কষে লড়াই করে সমতা আনতে পারে। আজ লাঞ্চ বিরতির আশেপাশে, মোমিনুল, সাকিব, লিটনে ভর করে ২০০-২২০ লিড পাবে বাংলাদেশ।  বাংলাদেশকে যেভাবে বোলিং করতে দেখেছি চতুর্থ ইনিংসে সাকিব, মিরাজ, মুস্তাফিজ, এবাদত, খালেদ স্বাগতিকদের চেপে ধরতে পারবে।

বাংলাদেশ যেভাৱে বোলিং করেছে ফিল্ডিংটা জুৎসই হলে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২০০ রানে আটকে রাখা যেত। দ্বিতীয় ইনিংসে তামিমের ওই বলটি ছেড়ে দিলে কি হতো? তামিম দলের অবস্থান, নিজের উইকেটের মূল্য দিতে ভুল করেছে। আমি মনে করি জয় মাটি কামড়ে এক প্রান্ত সামাল দিবে। শান্ত, মমিনুলকে এই ইনিংসে ভালো খেলা ছাড়া বিকল্প নেই।

লিটন, সাকিব  উইকেটে আসার আগে ঘাটতি মিটে গেলে ওরা  চাপমুক্ত হয়ে খেলতে পারবে। উইকেট এখন ব্যাটিং উপযোগী।  যুদ্ধ করার আজ সেরা সময়। সারা বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা বাংলাদেশের মানুষ স্বপ্ন দেখছে। তারা যখন যুদ্ধে যায়, যুদ্ধ জয় করে ফিরে।  জানি আমার ক্রিকেট অভিজ্ঞতায় জিনিসটার অনেক চ্যালেঞ্জ আছে। তাবু কেন জানি মন বলছে পারবে আজ বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়াতে।  যুদ্ধ করে হেরে যাক কষ্ট পাবো না। কিন্তু বিনা যুদ্ধে যেন গুটিয়ে না যায় বাংলাদেশ।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

eleven − nine =