
অনুর্ধ ১৯ এশিয়া কাপ ক্রিকেটে পাকিস্তান আদৌ ফেভারিট দল ছিল না। তরুণদের এশিয়া কাপে পর পর দুবার জয়ী বাংলাদেশের সঙ্গে ফেভারিট ধরা হয়েছিল ভারতকে। কিন্তু দুর্দান্ত খেলে সেই পাকিস্তানী তরুণরা এশিয়া কাপ জিতে নিয়েছে সেমি ফাইনালে বাংলাদেশ আর ফাইনালে ক্রিকেট সৌজন্যের সঙ্গে বেমানান ভারত দলকে দাপটের সঙ্গে হারিয়ে।
দুবাইতে অনুষ্ঠিত কালকের ফাইনালে প্রথমে ব্যাটিং করা পাকিস্তান ভারতের বোলিং তুলোধুনা করে রানের পাহাড় গড়েছিল। পাকিস্তানের সংগৃহীত ৩৪৭/৮ রান পাহাড়ে পিষ্ট হয়ে ভারত ইনিংস গুটিয়ে যায় মাত্র ১৫৬ রানে। ১৯১ রানের বিশাল ব্যাবধানে পরাজিত করে ভারতীয় তরুণদের বিপর্যস্ত করে।
এভাবে নাস্তানাবুদ হবে ভারত সেটি ছিল সবার কল্পনার বাইরে। এমনকি গ্রূপ পর্যায়ের ম্যাচেও হেসে খেলে জয় পেয়েছিলো ভারতীয় তরুণ দল। দুবারই ভারত দলের অধিনায়ক খেলার আগে বা ভারতীয় দল খেলার শেষে প্রতিপক্ষের সঙ্গে হাত মেলায়নি। আইসিসির নির্দেশ আমলে নেয়নি। এই পরাজয় ভারত অনেক দিন মনে রাখবে।
টস হেরে ব্যাটিং করে শুরু থেকেই দাপুটে ক্রিকেট খেলে পাকিস্তান। বিশেষ করে সামির মিনহাজ ব্যাট হাতে ছিল বিধ্বংসী। ওর বেপরোয়া ব্যাটিং (১৭ চার আর ৯ ছয়ে ১১৩ বলে সংগৃহীত ১৭২) পাকিস্তান দলের সংগ্রহ পাহাড় চূড়ায় নিয়ে যায়। দলের হয়ে আহমেদ হোসেন ৫৬, উসমান খান ৩৫ রান করে। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ভারতীয় বোলিং আক্রমণকে বিপর্যস্ত করে পাকিস্তানী তরুণরা ৩৪৭/৮ রান পাহাড় গড়ে তুলে।
এই রান তাড়া করে জয়ী হওয়া ছিল বিশাল চ্যালেঞ্জ। পাকিস্তানী বোলাররা পরিকল্পনা মাফিক বোলিং করে চেপে ধরে ভারতের তরুণদের। নিখুঁত বোলিং এবং তুখোড় ফিল্ডিং ভারত দলকে কাল আদৌ ডানা মেলতে দেয়নি। মাত্র ২৬.২ ওভারে ১৫৬ রানে গুটিয়ে যায় ভারতের ইনিংস। পরাজয় ১৯১ রানের বিশাল ব্যাবধানে।
অনুর্ধ ১৯ এশিয়া কাপ ফাইনাল ২০২৫
পাকিস্তান ৩৪৭/৮ (সামীর মিনহাজ ১৭২, আহমেদ হোসাইন ৫৬, উসমান খান ৩৫, দীপেশ দেবেন্দ্রান ৩/৮৩, খিলান প্যাটেল ২/৪৪, হেনিল প্যাটেল ২/৬২)
ভারত ১৫৬ অল আউট (দীপেশ দেবেন্দ্রান ৩৬, ভৈবব সূর্যবংশী ২৬. আলী রেজা ৪/৪২ , হুজাইফা আহসান ২/১২, আবু সুবহান ২/২৯, মুহাম্মদ সাইয়াম ২/৩৮)
পাকিস্তান ১৯১ রানে জয়ী
ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় সামির মিনহাজ