এশিয়া কাপ রাইজিং স্টার্স টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের শিরোপা জিততে পারল না বাংলাদেশ ‘এ’ দল। গতরাতে অনুষ্ঠিত টুর্নামেন্টের ফাইনালে পাকিস্তান শাহিনসের কাছে সুপার ওভারে হেরে শিরোপা জয়ের সুযোগ হাতছাড়া করে বাংলাদেশ। খবর বাসস
প্রথমে ব্যাট করে বাংলাদেশ বোলারদের তোপে ২০ ওভারে ১২৫ রান অলআউট হয় পাকিস্তান শাহিনস। জবাবে ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১২৫ রান করে বাংলাদেশও। ফলে ম্যাচটি সুপার ওভারে গড়ায়। সুপার ওভারে ৩ বল খেলে ২ উইকেট হারিয়ে মাত্র ৬ রান তুলে বাংলাদেশ। ৭ রানের লক্ষ্য ৪ বল খেলেই স্পর্শ করে ফেলে পাকিস্তান শাহিনস।
দোহায় টস জিতে পাকিস্তান শাহিনসকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠায় বাংলাদেশ ‘এ’। পেসার রিপন মন্ডল ও স্পিনার রাকিবুল হাসানের দারুণ বোলিং নৈপুন্যে প্রথমে ব্যাট করার সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি পাকিস্তান শাহিনস।
৬৪ রানে ৫ উইকেট পতনে বড় সংগ্রহের আশা শেষ হয়ে যায় পাকিস্তানের। তবে সাত নম্বরে নামা সাদ মাসুদের ২৬ বলে ৩টি করে চার-ছক্কায় সাজানো ৩৮ রানের সুবাদে সম্মানজনক সংগ্রহ পায় পাকিস্তান।
ইনিংসের শেষ বলে গুটিয়ে যাবার আগে ১২৫ রান করে তারা। দলের পক্ষে মাত্র তিনজন ব্যাটার তিন অংকে পা রেখেছেন। মাসুদ ছাড়াও মাজ সাদাকাত ২৩ ও আরাফাত মিনহাস ২৫ রান করেন।
রিপন ২৫ রানে ৩ উইকেট নেন। ইনিংসের ১৯তম ওভারে সবগুলো উইকেট শিকার করেন তিনি। এছাড়া রাকিবুল ১৬ রানে ২টি, এসএম মেহরব-জিশান আলম ও আব্দুল গাফফার সাকলাইন ১টি করে উইকেট নেন।
১২৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ২২ রানের সূচনার পর ৫৩ রানে সপ্তম উইকেট হারায় বাংলাদেশ ‘এ’। এসময় হাবিবুর রহমান সোহান ২৬, জিশান আলম ৬, মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন শূন্য, অধিনায়ক আকবর আলি ২, ইয়াসির আলি ৮, মাহফুজুর রহমান রাব্বি ৩ ও মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরি শূন্য হাতে সাজঘরে ফিরেন।
এরপর মেহরবের ১৯ ও রাকিবুলের ২৪ রানের সুবাদে নব্বইয়ের ঘরে পৌঁছায় বাংলাদেশের রান। কিন্তু ৬ রানের ব্যবধানে দু’জনের বিদায়ে ৯৬ রানে নবম উইকেট পতনে, বাংলাদেশের হার সময়ের ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। কারন ১ উইকেট হাতে রেখে শেষ ১৬ বলে জয়ের জন্য ৩০ রান দরকার ছিল বাংলাদেশের।
শেষ উইকেটে দুর্দান্ত এক জুটিতে বাংলাদেশের জয়ের আশা বাঁচিয়ে রাখেন সাকলাইন ও রিপন। ১৯তম ওভারে৩ ছক্কায় ২০ রান তুলেন তারা। এতে শেষ ওভারে ৭ রানের সমীকরণ পায় তারা। শেষ ওভারের প্রথম পাঁচ বল থেকে ৫ রান তুলেন সাকলাইন ও রিপন। শেষ বলে ১ রানের বেশি নিতে পারেননি সাকলাইন। ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১২৫ রান করে বাংলাদেশ। এতে স্কোর টাই হলে ম্যাচটি সুপার ওভারে গড়ায়।
সুপার ওভারে প্রথমে ব্যাট করে ৩ বল খেলে সাকলাইন ও জিশানকে হারিয়ে মাত্র ৬ রান তুলে বাংলাদেশ। চার বল খরচ করে ৭ রানের লক্ষ্য স্পর্শ করে শিরোপার আনন্দে মেতে উঠে পাকিস্তান।সেমিফাইনালে ভারতকে সুপার ওভারে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছিল বাংলাদেশ।