শিল্পী সমিতির নির্বাচন নিয়ে নিপুণ অভিযোগে করে বলেছেন, ‘ওইখানে আমাদের দুই নারী প্রার্থী ছিলেন, তারা এখানে নেই। ভোটের দিন সকাল বেলা পীরজাদা হারুন ভাই আমার কাছে দুই গালে দুইটা কিস চাচ্ছেন। ওই গালের মধ্যে চড় দেওয়া উচিত ছিল। যখন আমাকে কথাটা বলেছিলেন; আমাদের নারী প্রার্থী শাহনুর ও জেসমিন সেখানে ছিল। আমার উচিত ছিল ওই সময় চড় দিয়ে ভোট বর্জন করা।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি আবার শিল্পী সমিতির নির্বাচনে শুধু সাধারণ সম্পাদকের ভোট চাই। অন্যপদের নির্বাচন চাচ্ছিনা। আমি সবকিছুর জন্য উচ্চ আদালতে যাবো। আমাদের শিল্পী সমিতির নির্বাচনে এই নিয়ম আছে শুধু এক পদের ভোট হওয়া।’
রোববার (৩০ জানুয়ারি) বিকালে প্রেসক্লাবে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এসব কথা বলেন এ চিত্রনায়িকা। সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত আছেন ইলিয়াস কাঞ্চন, রিয়াজ, আফজাল শরীফ সাইমন, জেসমিনসহ অনেকেই। তার আগে এফডিসিতে চলচ্চিত্রের ১৮টি সংগঠন এফডিসিতে অবাঞ্চিত ঘোষণা করে পীরজাদা হারুণকে।
নিপুণ দাবি করেন, পীরজাদা হারুনকে যেন কোন নাটক-সিনেমায় অভিনয় করতে না নেয়া হয়। তার পাশাপাশি নাটক ও চলচ্চিত্রে তাকে না নেয়ার ব্যাপারেও নিজেদের এবং অভিনয় শিল্পী সংঘের সিদ্ধান্তের কথা জানান। চলচ্চিত্রের ১৮ সংগঠন ও কাঞ্চন-নিপুণ প্যানেল নির্বাচনটিকে একপেশে করার ক্ষেত্রে পীরজাদা হারুনকেই দায়ী করে আসছেন।
এ সময় ভোটারদের তাকে ভোট প্রদানের জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন নিপুণ। তিনি বলেন, জায়েদ খানের সঙ্গে আমার যে পার্থক্যটা ছিল, আমি জানি না কেন ভোটাররা আমাকে এত ভোট দিল। অনেক ভোট নিয়ে আমি উনার কাছাকাছি এসে পারিনি।
নিপুণ আরও বলেন, ‘এখানে জায়েদ খান, এফডিসির এমডি, আর নির্বাচন কমিশনার পীরজাদা হারুন একটা চক্র। তারা সবাই মিলে জায়েদ খানকে জিতিয়ে দিয়েছে। তারা টাকা দিয়ে ভোট কিনেছে ভিডিওতে সেটা দেখা গেছে।’
বার্তা২৪