পৃথিবীর প্রথম বন্দুক আবিষ্কার

গোলাম মোর্শেদ সীমান্ত: প্রথম বন্দুক আবিষ্কার করেন চীনের মানুষেরা। সেটাও আজ থেকে ১০০০ বছর পূর্বে। হিরাম স্টিভেনস ম্যাক্সিম ছিলেন একজন ব্রিটিশ বংশোদ্ভূত আমেরিকার বিজ্ঞানী। পৃথিবীতে প্রথম বহনযোগ্য সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় মেশিনগান তৈরি হয় তার হাতে।

প্রথম বন্দুক আবিষ্কার ও গানপাউডার
অত্যাধুনিক বন্দুক একদিনে তৈরি হয়নি। প্রায় ১০০০ বছরের পুরনো ইতিহাস রয়েছে। চাইনিজ ফায়ার ল্যান্স হচ্ছে পৃথিবীর প্রথম বন্দুক। এটা মূলত একটি বাঁশের নল যা চালানোর জন্য বারুদ ব্যবহার করা হতো। ১১০০ সালে তৈরি বন্দুকটিকে ইতিহাসবিদরা প্রথম বন্দুক হিসেবে আখ্যায়িত করেন। ইতিহাসে এমন কিছু আবিষ্কার আছে যা মানব জীবনে গভীর প্রভাব ফেলেছিল। এমন একটি আবিষ্কার হল গানপাউডার। চীনে আবিষ্কার হওয়া এই বস্তুটি ছিল একটি দুর্ঘটনার ফসল। ৮৫০ খ্রিস্টাব্দের কোন এক সময় রাজবংশের এক উদ্যোগী আলকেমিস্ট ৭৫ ভাগ লবণের সাথে ১৫ ভাগ কাঠকয়লা এবং ১০ ভাগ সালফার মিশ্রিত করে একটি নতুন বস্তু আবিষ্কার করেন। কিন্তু পরীক্ষার এক পর্যায়ে এই মিশ্রণটিতে কোনোভাবে আগুনের শিখার সংস্পর্শে আসার পরে এটি বিস্ফোরিত হয়েছিল। যা পরবর্তীতে গান পাউডার হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। চীনারা এই আবিষ্কারটি কেবল আতশবাজি হিসেবে ব্যবহারের জন্যই তৈরি করেছিল, তবে এটি সত্য নয়। সাং রাজবংশের সামরিক বাহিনী ৯০৪ সালে তাদের শত্রুর বিরুদ্ধে গানপাউডার প্রথম ব্যবহার করেছিল। ইতিহাসে এ অস্ত্রকে ‘উড়ন্ত ফায়ার’ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। এক ধরনের তীরের মাথায় গানপাউডার বেঁধে তাতে আগুন ধরিয়ে শত্রু উপর নিক্ষেপ করা হতো। সে সময় এটির ব্যাবহার শত্রুপক্ষকে ভীত সন্ত্রস্ত করে তোলে। ১৩০০ সালে গানপাউডার ইউরোপে প্রবেশ করেছিল, সম্ভবত মধ্য এশিয়ার মধ্য দিয়ে সিল্ক রোড বাণিজ্য পথ ধরে। ১৩৫০ সাল নাগাদ, ইংরেজ ও ফরাসি সামরিক বাহিনীতে গানপাউডার কামানের ব্যবহার ছিল।

বিশ্বে প্রথম স্বয়ংক্রিয় বন্দুক তৈরি
১৮৪০ সালের ৪ নভেম্বর আমেরিকার মেইনের স্যাঙ্গার্সভিলে এক কৃষক পরিবারে ম্যাক্সিমের জন্ম। তিনি ছিলেন পরিবারের বড় ছেলে। বিভিন্ন ধরনের যন্ত্র সারাইয়ের জন্য স্থানীয়দের মধ্যে ম্যাক্সিমের বাবার বিশেষ নাম ছিল। স্থানীয় একটি স্কুলে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছিলেন ম্যাক্সিম। মাত্র ১৪ বছর বয়সে ম্যাক্সিম একটি কারখানায় শিক্ষানবিশ হিসেবে যোগ দেন। সেই কারখানায় ঘুরে বেড়াত প্রচুর ইঁদুর। ইঁদুরের দৌরাত্ম্যে নাজেহাল অবস্থা হয়েছিল কর্মীদের। ইঁদুরদের জন্য বিস্তর জিনিসপত্রও নষ্ট হচ্ছিল। ইঁদুরের হাত থেকে কারখানার কর্মীদের মুক্তি দেওয়ার দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন ম্যাক্সিম। কিছু দিনের মধ্যে তিনি ইঁদুর ধরার জন্য এক যন্ত্র তৈরি করে তাক লাগিয়ে দেন। কারখানা জুড়ে শুরু হয় তার জয়জয়কার। কয়েক বছরের মধ্যে ম্যাক্সিম আরও বেশ কয়েকটি গ্যাসের যন্ত্রপাতি এবং বৈদ্যুতিক বাতি আবিষ্কার করেন। ১৮৮১ সালে প্যারিসে একটি বৈদ্যুতিক যন্ত্রের প্রদর্শনীতে গিয়েছিলেন ম্যাক্সিম। তিনি পরে জানিয়েছিলেন সেই প্রদর্শনীতে তাকে এক ব্যক্তি বলেন, ‘যদি প্রচুর অর্থ উপার্জন করতে চান তা হলে এমন কিছু আবিষ্কার করুন, যা দিয়ে ইউরোপীয়রা একে অপরকে মারতে উদ্যত হবে।’ ওই বছরই ম্যাক্সিম ইংল্যান্ড চলে যান। ব্রিটেনে থাকাকালীন ম্যাক্সিম ঠিক করেন, তিনি এমন কিছু আবিষ্কার করবেন যা সারা বিশ্বের সামরিক ইতিহাস বদলে দেবে। এরপর স্বয়ংক্রিয় মেশিনগান তৈরির কাজে হাত লাগান ম্যাক্সিম। কয়েক বছর ধরে চলে পরীক্ষা-নিরীক্ষা। ১৮৮৫ সালে ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর হাতে বিশ্বের প্রথম স্বয়ংক্রিয় এবং বহনযোগ্য মেশিনগান তুলে দেন তিনি। ম্যাক্সিম দেখেছিলেন বন্দুক থেকে গুলি ছোড়ার পর কার্তুজের খোল ছিটকে বেরিয়ে যায়। একে বলে ‘রিকয়েল’। এই শক্তিকে কাজে লাগিয়েই মেশিনগান তৈরি করেছিলেন ম্যাক্সিম।

ওই শক্তিকে তিনি এমন ভাবে কাজে লাগান, যাতে একটি কার্তুজের খোল বাইরে বেরিয়ে আসার পর পরবর্তী কার্তুজ নিজে থেকেই বন্দুকে ঢুকে যায়। এর জন্য তিনি কার্তুজের বেল্টও তৈরি করেন। ম্যাক্সিমের তৈরি মেশিনগান হাতে পেয়ে ব্রিটিশ সেনাবাহিনী হাতে যেন স্বর্গ পেয়ে গিয়েছিল। রাইফেল ব্যবহার করে যেখানে মিনিটে পাঁচ রাউন্ড গুলি ছোড়া যেত, সেখানে মেশিনগানের গুলি ছোড়ার ক্ষমতা মিনিটে ৫০০ রাউন্ড। অর্থাৎ ১০০ গুণ! ব্রিটিশ সেনাবাহিনী ম্যাক্সিমকে ওই মেশিনগান আরও আধুনিক করার নির্দেশ দেয়। ১৮৮৯ সালে সেই অত্যাধুনিক মেশিনগান ব্রিটিশ বাহিনীকে দিয়েছিলেন ম্যাক্সিম। বিশ্ব জুড়ে ম্যাক্সিমের বানানো মেশিনগান নিয়ে হইচই পড়ে যায়। ১৯৯০-এ অস্ট্রিয়া, জার্মান, ইটালি, সুইডেন এবং রাশিয়ার সেনাবাহিনীও ম্যাক্সিমের তৈরি স্বয়ংক্রিয় মেশিনগানের স্বত্ব কিনে নেয়। ১৮৯৩-৯৪ সালে ‘মাতাবেলে যুদ্ধে’ ব্রিটেনের ঔপনিবেশিক বাহিনী প্রথম এই মেশিনগান ব্যবহার করেছিল। ব্রিটেনের মাত্র ৫০ জনের সেনাদল ম্যাক্সিমের বানানো মাত্র চারটি মেশিনগান দিয়ে ৫ হাজার মাতাবেলে যোদ্ধাদের হারিয়ে দিয়েছিল।

মেশিনগান তৈরির জন্য ক্রেফোর্ডে একটি অস্ত্রের কারখানা তৈরি করেন ম্যাক্সিম। ১৮৯৬ সালে ম্যাক্সিমের এই কারখানা কিনে নেয় ‘ভিকার্স কর্পোরেশন’ নামে এক সংস্থা। ১৯০১ সালে যুগান্তকারী আবিষ্কারের জন্য ম্যাক্সিমকে নাইট উপাধি দেয় ব্রিটেন। ১৯১৬ সালে ২৪ নভেম্বর লন্ডনের স্ট্রেথামে ম্যাক্সিমের মৃত্যু হয়। মৃত্যুর সময় তার বয়স হয়েছিল ৭৬। মৃত্যুর আগে বন্দুকের সাইলেন্সার, ধোঁয়াবিহীন বারুদ এবং কার্বন ফিলামেন্ট আবিষ্কার করেন ম্যাক্সিম। নিজে দীর্ঘদিন ব্রঙ্কাইটিসে ভুগেছিলেন। তাই প্রতিকার হিসেবে ইনহেলারও আবিষ্কার করেন তিনি।
ম্যাক্সিমের ছেলের নাম পার্সি ম্যাক্সিম। বাবার শ্রবণশক্তি হারিয়ে যাওয়ায় গভীর ব্যথা পেয়েছিলেন ছেলে পার্সি ম্যাক্সিম। মূলত মেশিনগানের জন্য শ্রবণশক্তি হারিয়েছিলেন তার বাবা। তাই পার্সি ঠিক করেন এমন বন্দুক তৈরি করবেন, যা চালালেও কোনও আওয়াজ হবে না। বাবার তৈরি সাইলেন্সার ব্যবহার করে একটি ‘নিঃশব্দ’ বন্দুক আবিষ্কার করেন তিনি। ম্যাক্সিমের মতো না হলেও এই বন্দুক তৈরি করে বিপুল খ্যাতি পেয়েছিলেন পার্সিও।

আধুনিক হ্যান্ডগান
পিস্তল হচ্ছে এক ধরনের হ্যান্ডগান। ১৫শ শতাব্দীর আগে বন্দুক ফায়ার করা ছিল ভীষণ কষ্টসাধ্য কাজ। বন্দুকের গান পাউডার জ্বালানোর জন্য দুই হাত এবং একটি জ্বলন্ত বাতি ব্যবহার করতে হতো। পিস্তল উদ্ভব হয় ১৬ শতকের দিকে, যখন হ্যান্ডগান ইউরোপে তৈরি হতে থাকে। ইংরেজিতে ‘পিস্তল’ শব্দটি আসে ১৫৭০ সালের দিকে ফরাসী শব্দ ‘পিস্তলেত’ থেকে। ফরাসী শব্দ ‘পিস্তলেত’র ব্যুৎপত্তি বিতর্কিত। এটি প্রথমদিকের হ্যান্ডগানের চেক শব্দ ‘পিস্তলা’ বা ইতালীয় ‘পিস্তলেস’ থেকে এসেছে। পরবর্তীতে ‘পিস্তইয়া’, রেনেসাঁর যুগের একটি শহর যেটি বন্দুক নির্মাতাদের জন্য বিখ্যাত ছিল। যেখানে ঘোড়ার পিঠ থেকে গুলি করার জন্য বন্দুক প্রথম উৎপাদিত হয় ১৫৪০সালের দিকে। পিস্তলে ‘লক’ একটি ফায়ারিং প্রক্রিয়া যা শুটিংকে আরও দক্ষ, সহজ এবং নিরাপদ করে তুলেছে। প্রথমদিকে ম্যাচলক ছিল পরে তা উন্নত করা হয়েছে। ম্যাচলক ব্যবহার করা হয় এমন প্রথম বন্দুকটি ছিল ফ্রেঞ্চ আরকিউবাস। একটি ছোট ব্যারেলমুক্ত লম্বা বন্দুক রাইফেল যা কাঁধে ধারণ যায় এবং একজনে চালানোর মতো যথেষ্ট ছোট। যদিও এটি ছিল জটিল অস্ত্র। যা দিয়ে প্রতি মিনিটে একবার গুলি করা যেত। বন্দুক ধীরে ধীরে পুরোনো অস্ত্রকে সরিয়ে দিয়েছিল। এর যেমন ছিল অর্থনৈতিক সুবিধা তেমন ছিল প্রাণ নেওয়ার বেশি সক্ষমতা। একজন দক্ষ এবং উচ্চ বেতনের তলোয়ারধারী বা তীরন্দাজ হওয়ার জন্য সারাজীবন সাধনার প্রয়োজন। কিন্তু কয়েক সপ্তাহ বা মাসের প্রশিক্ষণ একজন সৈনিককে দক্ষ বন্দুকধারীতে পরিণত করতে পারে।

নকল বন্দুক
সিনেমায় নকল বন্দুক ব্যবহার করা হয়। আসল বুলেটের জায়গায় ভোঁতা বুলেট ব্যবহার হয়। এগুলোকে ‘ব্ল্যাঙ্ক’ বা ফাঁকা গুলি বলা হয়। ফাঁকা গুলি করলেও একটি বাস্তব চিত্র পাওয়া যায়। ১৯৯৩ সালে ‘দ্য ক্রো’ সিনেমার শুটিং চলাকালে নকল বন্দুকের গুলিতে ব্রুস লির ছেলে অভিনেতা ব্র্যান্ডন লি নিহত হন। গুলি লাগার পরেও শুটিংয়ের ক্যামেরা চলছিল। দৃশ্যের শেষেও যখন তিনি উঠেননি, তখন তার মৃত্যুর বিষয়ে নিশ্চিত হন সেটে থাকা ক্রু। তারও আগে, ১৯৮৪ সালে ‘কভার আপ: গোল্ডেন অপরচুনিটি’ সিরিজের সেটে বন্দুক নাড়াচাড়ার সময় দুর্ঘটনাবশত ট্রিগার টেনে ঘটনাস্থলে নিহত হন অভিনেতা জন-এরিক হেক্সাম। মাথায় গুলি লেগেছিল তার।

পৃথিবীর ভয়ংকর কিছু বন্দুক
দিনে দিনে অত্যাধুনিক বন্দুক আবিষ্কৃত হয়েছে। দূরপাল্লার ও এখন পর্যন্ত সবথেকে নিখুঁত নিশানায় আঘাত হানতে সক্ষম ‘ডিএসআর প্রিসিসন ডিএসআর স্নাইপার রাইফেল’ জার্মানিতে তৈরি হয়। এই বন্দুকটিতে বাড়তি বুলেট ও ম্যাগাজিনের জন্য আলাদা একটি হোল্ডার রয়েছে। একবার গুলি চালানো হয়ে গেলেও পরের বার রিলোড করতে বেশি সময় লাগে না। বিশ্বের সবথেকে খতরনাক এই বন্দুকের ক্যালিবার সাইজ ৭.৬২ী৫১ এমএম ও ৬৬০ এমএম। বিশ্বের তাবড় গোয়েন্দা সংস্থাদের ‘কিলার’ ও জঙ্গিদের হাতে ‘থম্পসন এম ১৯২১ সাব-মেশিনগান’ দেখা যায়। এই বন্দুকের টার্গেটে নিখুঁত ও রক্ষণাবেক্ষণ খরচ কম বলে এটি বিশ্বজুড়ে অত্যন্ত জনপ্রিয়। মার্কিন সেনাদের ব্যবহৃত এই ‘এক্স এম ৩০৭ এসিডব্লিউ অ্যাডভান্সড হেভি মেশিনগান’ বন্দুকটি আক্ষরিক অর্থেই ‘হেভি’। একজনের পক্ষে এটি চালানো অসম্ভব। ‘ট্রিগার’ করতে দুজন লোক লাগে। এক মিনিটে ২৬০ রাউন্ড গুলি চালানো যায়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ‘এমজি৩ মেশিনগান’ সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়েছিল। এই আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করার সুবিধা হলো, গুলি ভরার চেম্বার খালি হয়ে গেলে খুব তাড়াতাড়ি ‘রিলোড’ করা যায়। জনপ্রিয় সিনেমা র‌্যাম্বো-য় স্ট্যালনকে এই বন্দুক হাতেই বেশি দেখা যেত পর্দায়। বেলজিয়াম সংস্থা এফ এন হার্সট্যালের তৈরি ‘এফ২০০ অ্যাসল্ট রাইফেল’ বন্দুকের যত প্রশংসা করা যায় ততই নাকি কম বলা হয়। ২০০১ সালে আবুধাবিতে এর মারণ-ক্ষমতা পরীক্ষা করে দেখা হয়, এর নিশানা কখনও বিফল হয় না। ন্যাটো এই আগ্নেয়াস্ত্র বেশি ব্যবহার করে। মার্কিন সেনাবাহিনীও ব্যবহার করে। মাত্র ১ মিনিটে ৬০০ রাউন্ড গুলি ছুঁড়তে পারে ‘থম্পসন এম১৯২ মেশিনগান’। যা দেখে তাজ্জব বনে গিয়েছিল মার্কিন সেনাও। তবে এখনও পর্যন্ত নিরাপত্তা রক্ষার কাজেই এই বন্দুক বেশি ব্যবহার করা হয়। ‘এইচকে৪১৬ অ্যাসল্ট রাইফেল’ একটি মাস্টার পিস। আক্ষরিক অর্থেই কুখ্যাত মার্কিন এম৪ বন্দুকের জার্মান ভার্সন এটি। শুধু এই দশক নয়, গত কয়েক দশক ধরে মানবজাতির জন্য বড় হুমকি হয়ে দেখা গিয়েছে ‘একে ৪৭’। মাত্র এক মিনিটে ৫৮০ রাউন্ড ‘ফায়ার’ করতে পারে এই মারণ বন্দুক। অস্ত্রে¿র বাজারে একে বলা হয় ক্লাসিক ফায়ার আর্ম। আজও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা ও জঙ্গি সংগঠন এই বন্দুক ব্যবহার করে শুধুমাত্র এর নিখুঁত কারিগরির জন্য। কালাশনিকভ অ্যাসল্ট রাইফেলের (এ কে ফরটি সেভেন) উদ্ভাবক মিখাইল কালাশনিকভ। কালাশনিকভের অটোমেটিক রাইফেল এখনও বিশ্বের বহুল ব্যবহৃত একটি আগ্নেয়াস্ত্র। কালাশনিকভ রাইফেলের ডিজাইন খুব সরল হওয়ায় এটি তৈরি করতে খরচ পড়ে খুব কম এবং এটির রক্ষণাবেক্ষণও খুব সহজ।

লেখাটির পিডিএফ দেখতে চাইলে ক্লিক করুন: আবিষ্কার

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

15 − 13 =