প্রতিশ্রুতি পূরণে চিনের ‘উচ্চাভিলাষী’ জলবায়ু লক্ষ্য নির্ধারন প্রয়োজন: রিপোর্ট

চিনের উচিত আগামী মাস গুলোতে জলবায়ুর হালনাগাদ একটি ‘শক্তিশালী কিন্তু অর্জনযোগ্য’ রিপোর্ট জমাদানের আগে ২০৩৫ সালের মধ্যে গ্রীণ হাউস গ্যস নির্গমন কমপক্ষে ৩০শতাংশ কমিয়ে আনা। বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এই আহ্বান জানানো হয়েছে।

প্যারিস জলবায়ু চুক্তি ২০১৫-তে স্বাক্ষরকারী দেশগুলোকে অবশ্যই বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি সীমিত করার চুক্তির লক্ষ্য অর্জনে তাদের হালনাগাদ রোড়ম্যাপ আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে ঘোষণা দিতে হবে।

চিন বর্তমানে ২০৩০ সালের আগে কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমন এবং ২০৬০ সালের মধ্যে কার্বন নির্গমনের নিরপেক্ষতা বজায় রাখার লক্ষ্যে পৌঁছে গেছে।

ক্লাইমেট অ্যাকশন ট্র্যাকার প্রকল্প অনুসারে, বৈশ্বিক উষ্ণতাকে প্রাক-শিল্প স্তরের ওপরে ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ রাখার জন্য চিনের নীতি ও টার্গেটগুলোকে ‘অত্যন্ত অপর্যাপ্ত’ রেট দেওয়া হয়েছে।

জলবায়ুর অগ্রগতি ট্র্যাক সংক্রান্ত থিঙ্ক ট্যাঙ্ক দ্য সেন্টার ফর রিসার্চ অন এনার্জি (সিআরইএ) এন্ড ক্লিন এয়ার জানিয়েছে, বেইজিংয়ের উচিত ৩০ শতাংশ কার্বন নির্গমনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা।

সিআরইএ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বিশ্বের বৃহত্তম গ্যাস নির্গমনকারী হিসেবে চিন ‘তাদের জলবায়ুর এজেন্ডায় উচ্চাকাঙ্খা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সিদ্ধান্তমুলক ট্র্যাকে রাখা।’

সেই লক্ষ্য পূরণে বেইজিংকে বিদ্যুত খাতে ৩০ শতাংশ এবং শিল্প থেকে নির্গমন এক চতুর্থাংশ

কমাতে হবে।

গ্রুপটি বলেছে, এটি ৩৫ শতাংশের বেশি নন কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমন কমানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা উচিত।

প্রতিবেদনটির প্রধান প্রতিবেদক সিআরইএ’র বেলিন্ডা শেপে বলেছেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি স্থাপন থেকে বৈদ্যুতিক যানবাহন গ্রহণ পর্যন্ত সব কিছুতে চিনের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির কারণে এই ঘাটতিগুলো যথেষ্ট।

বেইজিং থেকে এএফপি এই খবর জানিয়েছে।

বাসস

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

2 × one =