প্রথমবার অংশ নিয়েই কান উৎসবে সৌদি আরবের ইতিহাস

কান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে ইতিহাস গড়ল সৌদি আরব। ৭৭ বছরের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো অংশ নিয়ে উৎসবের আঁ সাঁর্তে রিগার্ড বিভাগে স্পেশাল মেনশন অ্যাওয়ার্ড জিতেছে দেশটির নির্মাতা তৌফিক আলজায়েদির সিনেমা ‘নোরাহ’। গতকাল শুক্রবার (২৪ মে) স্থানীয় সময় রাত ৮টায় (বাংলাদেশ সময় রাত ১২টা) দক্ষিণ ফ্রান্সে পালে দে ফেস্টিভ্যাল ভবনের দ্যুবুসি থিয়েটারে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা ও পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

ইতিহাসে এবারই প্রথম সেখানে জায়গা পায় সৌদি আরবের সিনেমা। এই উৎসবে অন্তর্ভুক্তির সঙ্গে পুরস্কারের মধ্য দিয়ে সৌদি সিনেমা আরও অনেক ধাপ এগিয়ে গেল বলে মত সিনেমাসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের। গত বছরের ডিসেম্বরে জেদ্দায় আয়োজিত রেড সি ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে ‘নোরাহ’র প্রিমিয়ার হয়েছিল।

‘নোরাহ’র কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন মারিয়া বাহরাভি। এটি তাঁর প্রথম সিনেমা। ‘নোরাহ’ সিনেমায় অভিনয়ের পর থেকে সৌদি সিনেমার সম্ভাবনাময় মুখ হিসেবে আলোচিত হচ্ছেন মারিয়া। তাঁর বিপরীতে নাদির চরিত্রে অভিনয় করেছেন সৌদির জনপ্রিয় অভিনেতা ইয়াকুব আলফারহান।

সৌদির সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় প্রতিবছর চলচ্চিত্র প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। সেখানে তরুণ নির্মাতারা তাঁদের চিত্রনাট্য জমা দেন। সিনেমা নির্মাণের জন্য নির্বাচিত চিত্রনাট্যকে অনুদান দেয় সৌদি সরকার। ২০১৯ সালে এ প্রতিযোগিতায় জিতেছিল ‘নোরাহ’। সৌদি সরকারের অর্থায়নে পরবর্তী সময়ে সিনেমাটি নির্মাণের সুযোগ পান তৌফিক আলজায়েদি।

নব্বইয়ের দশকের সৌদি আরবের সমাজবাস্তবতার গল্প নিয়ে তৈরি হয়েছে ‘নোরাহ’। সংগীত, চিত্রকলাসহ সব রকমের শিল্প তখন নিষিদ্ধ ছিল সৌদিতে। সিনেমার মূল চরিত্র নোরাহ, এক নিরক্ষর গ্রামীণ কিশোরী। পারিবারিকভাবে তার বিয়ে হয়ে যায়। বিয়ের পর তার জীবনে আরও জটিলতা নেমে আসে। এ শৃঙ্খল থেকে মুক্তির চেষ্টা করতে থাকে নোরাহ।

এমন পরিস্থিতিতে নোরাহর সঙ্গে পরিচয় হয় নাদিরের। নাদির মূলত একজন চিত্রশিল্পী। সৌদিতে সব রকমের শিল্পকলা নিষিদ্ধ হওয়ার পর তাকে কাজ নিতে হয় এক স্কুলে। নাদিরের সঙ্গে পরিচয় হওয়ার পর শিল্পের প্রতি আগ্রহ বাড়ে নোরাহর। উন্নত জীবনের আশায় গ্রাম থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতে থাকে সে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

16 − 4 =