প্রেসক্লাবে গাজীকে শেষ শ্রদ্ধা জানালেন সাংবাদিক, শুভানুধ্যায়ীরা

বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি ও দৈনিক সংগ্রামের প্রধান প্রতিবেদক রুহুল আমিন গাজীর প্রথম নামাজে জানাজা  আজ জাতীয় প্রেসক্লাব (জেপিসি) প্রাঙ্গণে জোহরের নামাজের পর অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরিবারের সদস্য, সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ, সুশীল সমাজের সদস্যসহ বিপুল সংখ্যক শুভানুধ্যায়ী প্রবীণ এ সাংবাদিককে শেষ শ্রদ্ধা জানান।

বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গাজীর মরদেহ আনা হলে, তারা তার কফিনে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন এবং ক্লাব প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত তার প্রথম নামাজে জানাজায় অংশ নেন।

তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা.শফিকুর রহমান, সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান  সম্পাদক মাহবুব মোর্শেদ, পিআইবি মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি কবি হাসান হাফিজ, সাবেক সভাপতি কামাল উদ্দিন সবুজ, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব ভূঁইয়া, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, ডিইউজে সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মো.খুরশীদ আলম, সাংবাদিক নেতা ও কবি আবদুল হাই সিকদার, ডেইলি অবজারভারের সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরী, বাসসের সাবেক এমডি আবুল কালাম আজাদ, বিএফইউজে-বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ওমর ফারুক, বিএফইউজে সাবেক সভাপতি এম আব্দুল্লাহ, বিএফইউজে সাবেক সভাপতি সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল ও মোল্লা জালাল, দৈনিক যুগান্তরের সম্পাদক সাইফুল আলম, ডিআরইউ সাবেক সভাপতি শাখাওয়াত হোসেন বাদশা ও মুরসালিন নোমানী, ডিইউজে সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আক্তার হোসেন, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সভাপতি সৈয়দ শুকুর আলী শুভ, সাধারণ সম্পাদক মো. মহি উদ্দিনসহ অন্যেরা জানাযায়  উপস্থিত ছিলেন।

গতকাল রাত ৯টায় রুহুল আমিন গাজী শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজেউন)। এর আগে  সোমবার থেকে তিনি রাজধানীর  বিআরবি হাসপাতালে আইসিইউ’তে চিকিৎসাধীন ছিলেন।  তিনি স্ত্রী, দুই মেয়ে, এক ছেলে, আত্মীয়-স্বজন, সহকর্মী, শুভানুধ্যায়ী ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি’তে তার দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে নিজ জেলা চাঁদপুরে তৃতীয় জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।

রুহুল আমিন গাজী কিডনি ও ডায়াবেটিসসহ নানা রোগে ভুগছিলেন। বিশিষ্ট এ সাংবাদিক ফ্যাসিবাদী আওয়ামী শাসনামলে দীর্ঘদিন কারাবরণ করেন, যার ফলে তিনি বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হন।

রুহুল আমিন গাজী চাঁদপুর সদর উপজেলার গোবিন্দিয়ায় এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম  মৌলভী কফিল উদ্দিন এবং মা আয়েশা খাতুন।

তিনি চতুর্থ মেয়াদে বিএফইউজে সভাপতির দায়িত্ব পালন করছিলেন। এর আগে প্রবীন এ সাংবাদিক বিএফইউজে মহাসচিব, ডিইউজে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।

সাংবাদিকদের মজুরি বোর্ড গঠন ও বাস্তবায়নে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন এবং সাংবাদিকদের অধিকার আদায়ে অনেক অবদান রাখেন। ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের শাসনামলে ১৭ মাসেরও বেশি সময় ধরে তিনি কারাগারে ছিলেন।

উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম তার বক্তব্যে বলেন, রুহুল আমিন গাজী দেশে সাংবাদিকতা অঙ্গনে একজন সুপরিচিত ব্যক্তি। তিনি সাংবাদিকদের কল্যাণে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি বলেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তী সরকার নতুন বাংলাদেশ গড়ার কাজ শুরু করেছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে নতুন বাংলাদেশ গড়তে গাজীর মতো নেতার প্রয়োজন ছিল। সাংবাদিক সমাজকে গাজীর পদাঙ্ক অনুসরনের  আহ্বান জানান তিনি।

বাসস

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

2 × 4 =