অবশেষে ঘূর্ণিঝড় ‘মিল্টন’ ক্যাটাগরি-৩-এ পরিণত হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার পশ্চিম উপকূলে সারাসোটা কাউন্টির সিয়েস্তা কীর কাছে আঘাত হেনেছে। এ সময় বাতাসের একটানা গতি বেগ ছিল ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২০৫ কিলোমিটার।
অপর একটি বড় মাত্রার ঘূর্ণিঝড় হেলেনের আঘাতের মাত্র দুই সপ্তাহের ব্যবধানে মিল্টন আঘাত হানলো। হেলেনের ভয়াবহ তা-বে ফ্লোরিডা ও দক্ষিণাঞ্চলের কয়েকটি রাজ্যে ২৩৫ জন প্রাণ হারিয়েছে। খবর বাসস
যুক্তরাষ্ট্রের সারাসোটা থেকে এএফপি জানায়, ঘূর্ণিঝড়টি ১৫ মাইল বেগে উত্তর-পূর্ব দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। মার্কিন হারিকেন সেন্টারের উদ্ধৃতি দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে এএফপি।
হারিকেন সেন্টার (এনএইচসি) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক ক্যাটাগরি-৩ এর হারিকেন ‘মিল্টন’ স্থলভাগে আঘাত হেনেছে। এর ফলে প্রাণঘাতি বড় বড় ঢেউ উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে।’
এছাড়া, হারিকেন সেন্টার সেন্ট্রাল ফ্লোরিডার উপদ্বীপে আকস্মিক বন্যা সতর্কতাও জারি করেছে।
এনএইচসি’র বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঘূর্ণিঝড়টি ১৫মাইল বেগে উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হচ্ছে। তবে এতে ব্যাপক প্রাণহানির আশঙ্কা করা হচ্ছে। বন্যার সতর্কতাও জারি করেছে হারিকেন সেন্টার। বিধ্বংসী ঝড়ের প্রভাবে একটি বড় এলাকাজুড়ে সর্বোচ্চ ১০ ফুটের বেশি জলোচ্ছ্বাস হতে পারে।
এছাড়া বেশ কিছু এলাকায় ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে এরইমধ্যে ভূমিসের খবর পাওয়া গেছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি।
ঘূর্ণিঝড়টির মাত্রা এরই মধ্যে দু’দফায় পরিবর্তিত হয়ে পাঁচ থেকে তিনে নেমে এসেছে। কিন্তু তারপরও এর আঘাতে বড় রকমের হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে চলে যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
স্থানীয় সময় বুধবার শেষরাত বা বৃহস্পতিবার সকালে ঘূর্ণিঝড়টি আঘাত হানতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছিল ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টার। ‘মিল্টন’ আঘাত হানার আগে ফ্লোরিডায় একটি টর্নেডো আঘাত হানে। সেখানে প্রবল বৃষ্টিপাত হচ্ছে।
ফ্লোরিডার গভর্নর রন ডিস্যান্টিস বলেছেন, ফ্লোরিডায় কয়েক ডজন আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রাণঘাতি এ ঘূর্ণিঝড়ের কবল থেকে স্থানীয় বাসিন্দাদের বাঁচাতে নিরাপদ এলাকায় এসব আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।