‘বঙ্গবন্ধু সামিট স্কোয়াশ প্রতিযোগিতা’র পর্দা নামল

চূড়ান্ত পর্বের খেলা শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ‘বঙ্গবন্ধু সামিট স্কোয়াশ প্রতিযোগিতা ২০২৩’-এর পর্দা নেমেছে। আজ মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টায় ঢাকা সেনানিবাসের আর্মি স্কোয়াশ কমপ্লেক্সে জাকজমকপূর্ণ পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদশ স্কোয়াশ র‌্যাকেটস ফেডারেশনের সভাপতি ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান, এমপি। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সামিট গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান লতিফ খান।

এর আগে গত ১৪ জুলাই সকালে আর্মি স্কোয়াশ কমপ্লেক্সে ট্রফি উন্মোচনের মাধ্যমে প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বের খেলা শুরু হয়েছিল। চলতি মাসের শুরু থেকে ১০ তারিখ পর্যন্ত আঞ্চলিক পর্বে গোপালগঞ্জ, খাগড়াছড়ি, চট্টগ্রাম, বিকেএসপি, সিলেট, কুমিল্লা এবং ঢাকার ২০টি ক্লাব ও প্রতিষ্ঠানের ১৭৫ জন খেলোয়াড় অংশগ্রহণ করেছিলেন। আঞ্চলিক পর্বে বিজয়ী ৭০ জন নয়টি গ্রুপে শিরোপার চূড়ান্ত লড়াইয়ে অংশ নেন।

ফেডারেশনের সভাপতি ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান, এমপি বলেন, “গত তিন বছর ধরে একটি সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার আওতায় আমরা স্কোয়াশ খেলাকে একটা পর্যায় নিতে পেরেছি। এভাবে চলতে থাকলে আগামী দিনে আমরা আন্তর্জাতিক পর্যায়েও অনেক ভালো করতে পারব।”

সামিট গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান লতিফ খান বলেন, “স্কোয়াশ খেলার প্রচার-প্রসার ও এই খেলাকে জনপ্রিয় করার জন্য আপনারা (বাংলাদশ স্কোয়াশ র্যাকেটস ফেডারেশন) নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। আজকের এই সফল আয়োজন আপনাদের পরিশ্রমেরই ফল। কর্পোরেট সোশ্যাল রেস্পন্সিবিলিটির মাধ্যমে সামিট গ্রুপ এই টুর্নামেন্টের অংশ হতে পেরে আমি নিজেকে খুবই ভাগ্যবান মনে করছি।’’

তুমুল প্রতিযোগিতার পর উন্মুক্ত (পুরুষ) গ্রুপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাহাদৎ, উন্মুক্ত (মেম্বার) গ্রুপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন চট্টগ্রাম ক্লাবের সাজ্জাদ আরেফিন আলম, উন্মুক্ত (কোচ) গ্রুপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দিপক। এদিএক বয়সভিত্তিক খেলোয়াড়দের মধ্যে মেয়েদের অনুর্ধব-১২ ক্যাটাগরিতে কালশী স্কুলের রুনা ইসলাম চ্যাম্পিয়ন ও অনুর্ধব ২০ ক্যাটাগরিতে উত্তরা স্কুলের চাঁদনী চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছেন। এদিকে বিশেষ পুরস্কার পেয়েছে খাগড়াছড়ি স্কুলের রাফিয়া। এ ছাড়া ছেলেদের অনুর্ধ-১০ ক্যাটাগরিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন মিরপুর ক্যান্টমেন্ট স্কুলের রাফিয়ান, ১০-১৫ বছর ক্যাটাগরিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন  ভাষানটেক স্কুলের নিঝুম এবং ১৫-১৮ বছর ক্যাটাগরিতে ভাষানটেক স্কুলের সৈকত চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন।

পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সামিট পাওয়ার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মো. মোজাম্মেল হোসেন, বাংলাদশ স্কোয়াশ র‌্যাকেটস ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ব্রিগেডিয়ার জি এম কামরুল ইসলামসহ সামিট পাওয়ার লিমিটেডের উর্ধতন কর্মকর্তা, ফেডারেশনের নির্বাহী পর্ষদের সদস্যবৃন্দ, প্রাক্তন ও বর্তমান খেলোয়াড় এবং অভিভাবকেরা।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

eighteen − 6 =