সালেক সুফী
ছাত্র জনতার ঐতিহাসিক গণবিস্ফোরণের পর বাংলাদেশে শুরু হয়েছে সংস্কার। ২০০০-২৪ দীর্ঘ সময়ে দুর্নীতি , অপশাসনের কারণে অন্যান্য সেক্টরের মত ক্রীড়াঙ্গন ধ্বংসের প্রান্তে পৌঁছেছে। দেশজুড়ে প্রধান খেলা ফুটবল ক্রিকেটের অভূতপূর্ব জনপ্রীয়তা থাকলেও একশ্রেণির দুষ্ট চক্র বিএফএফ এবং বিসিবি চক্র দুটি চর দখল করে রাখায় আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশ তলানিতে পড়ে আছে। তরুণ নবীনদের প্রতিভা বিকাশের পরিবেশ নেই। তৃণমূল পর্যায় থেকে মেধা অনুসন্ধান করে পর্যায়ক্রমিক পরিশীলিত করার কোন সম্মত পরিকল্পনা নেই।
দেখলাম ক্রীড়া উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পাওয়া মেধাবী তরুণ ক্রিকেট নিয়ে কিছু উদ্যোগ নিতে শুরু করেছে। গত সময়ে বিসিবিতে ঘিরে একটি কায়েমী স্বার্থবাদী গোষ্ঠী সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় ক্রিকেটের ভ্রূণ হত্যা করেছে। পরিবর্তনের পর অধিকাংশ বিসিবি কর্মকর্তা পালিয়ে গেছে। যারা আছে তারা ধুম্রজাল সৃষ্টি করে ক্ষমতা ধরে রাখার চেষ্টা করছে। বর্তমান বিসিবির অধিকাংশ পরিচালক ধান্দাবাজ, দুর্নীতি পরায়ণ এবং অদক্ষ।এমনভাবে নির্বাচন পদ্ধতি কলুষিত করে রেখেছে যে নির্বাচন করে ওদের প্রতিস্থাপন অসম্ভব।
বর্তমান বিশেষ অবস্থা বিবেচনায় আইসিসির সঙ্গে আলোচনা করে বিসিবি পর্ষদ ভেঙে দেয়ার সুযোগ আছে। পাকিস্তান করেছে। অর্থর্বর্তীকালীন সরকার আইসিসিকে বাস্তব পরিস্থিতি জানিয়ে বিসিবি ভেঙে দিয়ে এডহক কমিটি করতেই পারে। বর্তমান বিসিবি ধরে রেখে কোনোভাবে ক্রিকেটকে রাহুমুক্ত করা যাবে না।
বাংলাদেশ থেকে মেয়েদের টি২০ বিশ্বকাপের আসর নিশ্চিতভাবে অন্যত্র চলে যাচ্ছে। আজ বা কাল চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানান হবে। আমি কোন কসমেটিক পরিবর্তনের পক্ষপাতী নই। যাদের নাম আলোচিত হচ্ছে তারা এক দুই জন কোন মৌলিক পরিবর্তন আনতে পারবেন না। উপদেষ্টা কিছুটা সময় নিয়ে সকল অংশীজনদের সঙ্গে আলাপ করে বিসিবি ভেঙে দিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন এডহক কমিটি গঠন করতে পারেন। ক্রিকেটকে অশুভ মহলের করালগ্রাস থেকে মুক্ত করার আর কোনো বিকল্প নেই।