শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত হচ্ছে আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলন। এ উপলক্ষেই তৈরি করা হয়েছে বিশেষ গানটি। এটি রচনা করেছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারজয়ী গীতিকবি জুলফিকার রাসেল। গানটির সুর-সংগীত সাজিয়েছেন পাভেল আরিন। বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) রাতে আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে থিম সংটি উন্মুক্ত করা হয়েছে। সেখানে গানটি উপভোগ করে অনেকেই তাদের ভালোলাগার কথা জানাচ্ছেন।
কণ্ঠে আছেন পান্থ কানাই, চন্দনা মজুমদার, দিলশাদ নাহার কণা ও মাশা ইসলাম। এতে মোহনবীণা বাজিয়েছেন গ্র্যামিজয়ী ভারতের কিংবদন্তি শাস্ত্রীয় সংগীতজ্ঞ পণ্ডিত বিশ্ব মোহন ভাট। ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার পরিকল্পনা ও ইয়াসির মাহমুদ খানের সমন্বয়ে গানটির ভিডিও নির্মাণ করেছেন ইশতিয়াক মাহমুদ।
দেশের ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ। দীর্ঘ ৭৩ বছর ধরে সংগঠনটির পথচলা। মাতৃভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ আর স্বাধীনতা পরবর্তী দেশের উন্নয়নে দলটির ভূমিকা অসামান্য। এসব সাফল্যগাঁথা আর ইতিহাসের চুম্বকাংশ নিয়েই বানানো হয়েছে একটি থিম সং। যার শিরোনাম ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ’।
জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুমোদনক্রমেই তৈরি হয়েছে থিম সংটি। গানটির পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, ‘আওয়ামী লীগ একটি প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল, যার নেতৃত্বে স্বাধীন হয়েছে বাংলাদেশ। দলের দীর্ঘ ৭৩ বছরের ইতিহাসে অসংখ্য জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলেও এবারই প্রথম দলের দফতর বিভাগ থেকে থিম সং করা হয়েছে। এটি আমরা মানসম্পন্নভাবেই করার চেষ্টা করেছি। গানটির কথা যেমন সুন্দর, তেমনই এর অডিও ও ভিডিও উপস্থাপনাও মনোমুদ্ধকর হয়েছে বলে আমার বিশ্বাস।’
গানের রচয়িতা জুলফিকার রাসেল বলেন, ‘মাস তিনেক আগে ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া থিম সংটির পরিকল্পনার কথা জানান। এরপর পর্যাপ্ত গবেষণার পর গানটি লেখা শুরু করেছিলাম। আমি চেষ্টা করেছি দেশের সবচেয়ে প্রাচীন, ঐতিহ্যবাহী ও জনপ্রিয় এই দলটিকে গানের কথায় যথাযথভাবে ফুটিয়ে তুলতে। পাভেল আরিন সেই বাণীতে অসাধারণ সুর করেছেন। শিল্পীরাও চমৎকার গেয়েছেন। এরকম একটি ঐতিহাসিক উদ্যোগের অংশ হতে পেরে সত্যিই নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছি।’
সুরকার ও সংগীত পরিচালক পাভেল আরিনের ভাষ্য, ‘আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনের থিম সং! তাই বিষয়টি আমার কাছে বিরাট একটি চ্যালেঞ্জের মতো ছিল। সবাই গানটি শোনার পর থেকে প্রশংসা করছেন। মনে হচ্ছে আমি সফল।’