তুখোড় অল রাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ নেতৃত্বে বাংলাদেশ কি পারবে শ্রীলংকার বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের টি ২০ সিরিজ জিতে নিতে? বাংলাদেশের প্রিয় ফরমেট ওডিআইতে সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের সময় ভালো যায়নি। অতি সম্প্রতি পাকিস্তান সফরে ধবল ধোলাই কলঙ্ক নিয়ে দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ দল। টেস্ট, ওডিআই, টি ২০ তিন ফরম্যাটে এখন তিন অধিনায়ক। দুইম্যাচের টেস্ট সিরিজের সদ্য শেষ হওয়া টেস্ট বাংলাদেশ ভালো খেলেও জয় পায়নি। তবে অর্জন আছে অনেক কিছু। ২৫ তারিখ থেকে শুরু হচ্ছে দ্বিতীয় টেস্ট। পূর্ণ শক্তির ওডিআই স্কোয়াড ঘোষণা করা হয়েছে। তাসকিন এবং মুস্তাফিজ ফিরে আসায় বোলিং ইউনিট অনেক সুসংহত। তানজিদ তামিম, হাসান মাহমুদ, নাহিদ রানা থাকায় বাংলাদেশ নিঃসন্দেহে পেস আক্রমণে এগিয়ে থাকবে। বিশেষজ্ঞ স্পিনার হিসাবে আছে রিশাদ হোসেন এবং তানভীর ইসলাম। সঙ্গে মেহেদী মিরাজের স্পিন যোগ করে শক্তিশালী বোলিং ইউনিট বাংলাদেশের। অপেক্ষাকৃত তরুণ দল ভালো বোলিং ফিল্ডিং করলে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কানদের চাপে রাখবে সন্দেহ নেই।
বাংলাদেশ চিন্তার জায়গা ব্যাটিং, টপ অর্ডার,মিডল অর্ডার। লেট্ অর্ডারে মানসম্পন্ন মেধাবী খেলোয়াড় থাকলেও চাপের মুখে ভেঙে পড়ে। ওডিআই ক্রিকেটেও স্ট্রাইক রোটেড করে বড় ইনিংস গড়া যায় যা টপ অর্ডারে তানজিদ তামিম, পারভেজ ইমন বা নাঈম শেখ অনেকটাই ভুলে যায়। সুসংবাদ প্রথম টেস্টে নাজমুল শান্ত, লিটন ফর্মে ফিরেছে। আশা করা যায় মেহেদী মিরাজ ব্যাটিং বোলিং দুই ক্ষেত্রেই অবদান রাখবে। লেট্ অর্ডারে জাকের, রিশাদ দ্রুত রান তুলতে পারবে। বাংলাদেশকে প্রতি ইনিংসে ২৭০-২৮০ করতে হবে। উইকেটের পরিস্থিতি বিবেচনা করে বাংলাদেশকে তিন পেসার দুই স্পিনার নিয়ে দল সাজাতে হতে পারে।
বাংলাদেশ স্কোয়াড: মেহেদী হাসান মিরাজ (অধিনায়ক), তানজিদ হাসান তামিম, পারভেজ হোসেন ইমন, নাঈম শেখ, নাজমুল হোসেন শান্ত, তাওহিদ হৃদয়, লিটন দাস, জাকের আলি অনিক, শামীম পাটোয়ারী, রিশাদ হোসেন, তানভীর ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান, তানজিম হাসান সাকিব, তাসকিন আহমেদ, নাহিদ রানা, হাসান মাহমুদ।
আমি আশাবাদী। বাংলাদেশ ভুল ত্রুটি সীমিত রেখে নিজেদের সামর্থ অনুযায়ী খেলতে পারলে সিরিজ জয় করতেও পারে। তবে শ্রীলংকা কঠিন দল। নিজেদের পরিচিত পরিবেশে শ্রীলংকা যে কোন দলের জন্য কঠিন প্রতিপক্ষ। একটি হাড্ডাহাড্ডি ওডিআই সিরিজ দেখার অপেক্ষায় রইলাম।