সালেক সুফী: চলমান আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির তিনটি ম্যাচ হয়ে গেলো। তিনটি ম্যাচে জয় প্রত্যাশী তিনটি দল নিউজিলল্যান্ড, ভারত এবং দক্ষিণ আফ্রিকা বড় ব্যাবধানে জয়লাভ করেই সেমী ফাইনালের পথে অনেকটাই এগিয়ে গেছে। আজ অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড খেলা থেকে দৃশ্যপট আরো পরিষ্কার হবে। বাংলাদেশ ভারতকে হারিয়ে দিবে সেটি হয়তো কট্টর অনুরাগীরাও ভাবেনি। টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানদের চিরায়ত ব্যার্থতার পর তাওহীদ হৃদয়, জাকের অনিক বীরত্বে লড়াকু পুঁজি পেয়ে ভালো বোলিং করে কিছুটা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও কোন পর্যায়েই জয়ের অবস্থানে ছিল না বাংলাদেশ। বাংলাদেশ এই টুর্নামেন্টে পাকিস্তান এবং নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে খেলবে। স্বাভাবিক বিশ্লেষণে আমি তুখোড় নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে জয়ের সম্ভাবনা দেখি না। বাংলাদেশ প্রাক টুর্নামেন্ট প্রস্তুতি ম্যাচে পাকিস্তান শাহীনের কাছেই শোচনীয় পরাজয় বরণ করেছে। পাকিস্তান প্রথম খেলায় হেরে টুর্নামেন্টে ফিরে আসার জন্য বেপরোয়া হয়ে আছে। পাকিস্তান অবশ্য ভারতের সঙ্গে যুদ্ধ করবে। যদি কোনো ভাবে পাকিস্তান ভারতকে হারাতে পারে তাহলে বাংলাদেশ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দাঁড়াতেই পারবে না দিব্য দৃষ্টিতে দেখতে পাচ্ছি। সেটি হলে শুন্য হাতেই ফিরতে হবে বাংলাদেশকে। এটি ভাবতে মনে করবেন না আমারও হৃদয়ে রক্ত ক্ষরণ হচ্ছে না। বাদ বাকি ৭ দলের প্রস্তুতির তুলনায় বাংলাদেশের প্রাক টুর্নামেন্ট কোন প্রস্তুতি ছিল না। সাকিবকে তুচ্ছ কারণে উপেক্ষা করা হয়েছে, তামিম শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত বিসিবিকে ঝুলিয়ে রেখে বাংলাদেশকে বঞ্চিত করেছে। লিটনকে শুরুতেই বাদ দিয়ে নিজেকে ফিরে আসার সুযোগ দেয়া হয় নি। এমনকি ম্যাচ প্রাকটিস করে নিজের ফর্ম ফিরে পাওয়ার সুযোগ পে নি নাজমুল লিটন। দুবাই উইকেটে বাংলাদেশের তরুণ গতিময় বলার নাহিদ রানাকে না খেলানো সঠিক হয় নি।
এতো কিছু সীমাবদ্ধতা নিয়ে অধারাবাহিক বাংলাদেশ টুর্নামেন্টে কি করতে পারে সেটি জানাতে আলবার্ট আইনস্টাইন হতে হয় না। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর সুযোগ পেয়ে ফারুক নেতৃত্বের বিসিবির নতুন পরিশোধ বাংলাদেশ ক্রিকেট প্রশাসনকে গুণগত পরিবর্তন করেছে বলতে পারবো না।
“ঘর পোড়া গরু সিঁদুরে মেঘ দেখলে ভয় পায় ” এমন বচন শুনেছি শিশুকাল থেকে। আশা করি বাংলাদেশ অবশিষ্ট দুটি খেলায় লড়াই করবে এবং অন্তত একটি জয় ছিনিয়ে আনবে। বিকল্প খুব একটা নেই, সৌম্য, শান্ত আবারো খেলবে, হয়ত মুশফিক রানে ফিরবে, রিয়াদ দলে আসবে। হয়তো পাকিস্তানকে পরীক্ষায় ফেলা যাবে। যদি বাংলাদেশ শুন্য হাতে ফিরে আসে বিসিবিতে গৃহদাহ শুরু হতে পারে। বিপিএল ২০২৫ কেলেঙ্কারি সমূহ এখনো ধামাচাপা দেয়া আছে. হয়তো সেগুলো মাথা চারা দিয়ে উঠবে।
বাংলাদেশ ক্রিকেটের অনন্ত শুভাকাঙ্খী হিসাবে চাইবো বাংলাদেশ যেন অন্তত একটি জয় নিয়ে ফিরে আসে। নাহলে যে রিকি পন্টিং বয়ান ” “বাংলাদেশ টুর্নামেন্টের সবচেয়ে দুর্বল দল “সেটি নিয়ে তর্কে জড়াতে পারবো না|