গামেন্টস পণ্যে যথাযথ দাম না দিয়ে ক্রেতারা মান উন্নয়েনর নানা দায় চাপিয়ে দিচ্ছে এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চালর্স হোয়ইটলি বলেছেন সঠিক দাম পাওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ব্যবসায়িদের করকষাকষি দক্ষতার ঘাটিত রয়েছে। আজ ২৩ জানুয়ারি ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরাম অফ বাংলাদেশ (আইবিএফবি) আয়ৈাজিত ডিউ ডিলিজেন্স আইন এর উপর একটি সেমিনারের তিনি এই কথা বলেছেন।
এই আয়ৈাজনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত ও প্রতিনিধিদলের প্রধান চার্লস হোয়াইটলি। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন জনাব হুমায়ুন রশীদ, সভাপতি, আইবিএফবি। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশের ইউরোপীয় ইউনিয়নের ডেপুটি চিফ জনাব বার্ন্ড স্প্যানিয়ার।
প্রধান অতিথি চার্লস হোয়াইটলি বলেন, বাংলাদেশ ২০২৬ সালের মধ্যে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হতে যাচ্ছে, যার জন্য বাংলাদেশকে এখন থেকে মানবিক পরিস্থিতিসহ পরিবেশের উন্নয়ন মেনে চলার প্রস্তুতি নিতে হবে।
অন্যান্যদের মধ্যে জনাব ফারুক হাসান, সভাপতি, বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ), জনাব মোহাম্মদ হাতেম, নির্বাহী সভাপতি, বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিকেএমইএ), জনাব মোহাম্মদ আলী খোকন, সভাপতি, বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ)। জনাব এম.এস. সিদ্দিকী, ভাইস প্রেসিডেন্ট, আইবিএফবি মনোনীত আলোচনাকারী হিসেবে অংশগ্রহণ করেছেন।
বিশিষ্ট আলোচকরা প্রতিপক্ষ (ইউরোপীয় ইউনিয়ন ক্রেতাদের) দ্বারা আরএমজি প্রস্তুতকারকের প্রতি নম্র হওয়ার জন্য তাদের মতামত ব্যক্ত করেছেন। দামের আলোচনার সময় ক্রেতাদের বিবেচনা করা উচিত যে “যুক্তি পরিশ্রম আইন” বাস্তবায়নে একটি সাশ্রয়ী মূল্য থাকবে।
জনাব হুমায়ুন রশীদ, সভাপতি, আইবিএফবি বলেন যে, বিজিএমইএ, বিটিএমএ এবং বিকেএমইএ-এর মতো বাংলাদেশের স্টেকহোল্ডারদের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রক্রিয়াধীন নতুন আইনটি যোগাযোগের ক্ষেত্রে আইবিএফবি একটি সহায়ক হয়েছে।
জনাব মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী, প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, আইবিএফবি সমাপনী বক্তব্য রাখেন যেখানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন আইবিএফবি এর উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ আব্দুল মজিদ। IBFB পরিচালক, সহ সদস্যগণ লিও টিটো এল. আউসান, জেআর., অ্যাম্বাসেডর এক্সট্রাঅর্ডিনারি অ্যান্ড প্লেনিপোটেনশিয়ারি, ফিলিপাইন প্রজাতন্ত্রের দূতাবাস, জনাব জিয়াদ হামাদ, ডেপুটি হেড অব মিশন, প্যালেস্টাইন দূতাবাস, জন ফে, ট্রেড কাউন্সেলর, ইউএস দূতাবাস, ঢাকা, মি. লীনা খান, লেবার অ্যাটাশে, ইউএস দূতাবাস, ঢাকা, ওলে আর জাস্টেসেন, সেক্টর কাউন্সেলর পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা, রয়্যাল ডেনিশ দূতাবাস, ঢাকা, ফাহিম আবরার, সহযোগী উপদেষ্টা – টেকসই উৎপাদন, রয়্যাল ডেনিশ দূতাবাস, ঢাকা, মিঃ ওয়ার্নার ল্যাঞ্জ, সমন্বয়কারী- জিআইজেড টেক্সটাইল ক্লাস্টার, কিম জিয়ং কি, কনসাল, কোরিয়া প্রজাতন্ত্রের দূতাবাস, মিঃ নূর-ই-খাজা, ডেপুটি সেক্রেটারি, শিল্প মন্ত্রণালয় মি. মোঃ খায়রুল হাসান, যুগ্ম সচিব, প্রধান আইন কর্মকর্তা, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, জনাব জিয়াউল হাসান চৌধুরী, সহকারী মহাসচিব, বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন, জনাব মোঃ ফজলুল হক মজুমদার, অতিরিক্ত নির্বাহী পরিচালক (বিনিয়োগ উন্নয়ন) ), বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষ, জনাব মো. খালিদ আবু নাসের, পরিচালক, বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন, জনাব মোঃ মকবুল হোসেন, গবেষণা কর্মকর্তা, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) সকলেই উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ডেপুটি চিফ জনাব বার্ন্ড স্প্যানিয়ারের দেওয়া মূল নোট পেপারটি আপনার রেফারেন্সের জন্য সংযুক্ত করা হচ্ছে।