বাগে  পেয়েও পারলো না বাংলাদেশ

অভিষেক শর্মা আর শুভমান গিলের ঝড় সামাল দিয়ে নিয়ন্ত্রিত বোলিং করে বাংলাদেশ ভারতের ইনিংস ১৬৮ রানে ধরা ছোয়ার আয়ত্বে রেখেছিলো। কিন্তু স্বল্প অভিজ্ঞ বাংলাদেশ পরিকল্পনাহীন তাড়াহুড়ো ব্যাটিং করে ১২৭ রানে গুটিয়ে ৪১ রানের বিশাল ব্যাবধানে পরাজিত হলো। কাল পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খেলাটি এখন সেমি ফাইনালে পরিণত হয়েছে।

বর্তমান মুহূর্তে ভারতের  বিশ্বসেরা ওপেনের অভিষেক শর্মা ৫ ছয় আর ৬ চারে ৩৭ বলে ৭৫ রান করে শুরুতেই খেলার গতিপথ নির্ধারণ করে দিয়েছিলো। শুভমান গিলের যোগাযোগে ওপেনিং পার্টনারশিপে ৬.২ ওভারে রান উঠেছিল ৭৭।

সেখান থেকে ভালো বোলিং করে বাংলাদেশ ক্রমান্বয়ে গিল, ডুবে, অভিষেক, সূর্য কুমার ও  যাদবের উইকেট তুলে নিয়ে ভারত ইনিংসকে ১৬৮/৬ সীমিত রেখেছিলো। তানজিম সাকিব, মুস্তাফিজ, রিশাদ নিয়ন্ত্রিত বোলিং করে ভারতের শক্তিশালী ব্যাটসম্যানদের বেপরোয়া হতে দেয়নি। বাংলাদেশ দলের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সের বিবেচনায় ভারতের দেওয়া টার্গেট বাংলাদেশের আয়ত্বের বাইরে ছিল না।

মানলাম কাল অধিনায়ক লিটন দাস ছিল না। কিন্তু বাংলাদেশ ইনিংস দেখে মনে হয়েছে ব্যাটসম্যানরা ভারত জুজুর ভয়ে গুটিয়ে ছিল। কুলদীপ, ভারুন আর বুমরাকে মোকাবেলায় বাংলাদেশ ব্যাটসম্যানদের আতঙ্কগ্রস্ত মনে হয়েছে।

সাইফ হাসান (৬৯) আর পারভেজ ইমন (২১) ছাড়া কেউ দাঁড়াতেই পারেনি। আবারো বার্থ হয়েছে শামীম হোসেন, জাকের আলী। যাদের উপর অনেক ভরসা করে দল। ১২৭ রানে ইনিংস গুটিয়ে ৪১ রানের বিশাল ব্যাবধানে পরাজিত হয় বাংলাদেশ।

কাল যদি বাংলাদেশ কৌশল পরিবর্তন করতে না পারে তাহলে উজ্জীবিত পাকিস্তানকে হারানো সহজ হবে না। আমি আজ নুরুল সোহানকে বিশ্রাম দেওয়া আদৌ পছন্দ করিনি। তাসকিনকে বিশ্রাম দেয়াও সঠিক হয়নি।

ভারত অনেক ক্যাচ ছেড়েছে। বাংলাদেশ কিন্তু সুযোগ নিতে পারেনি। ভারতকে বাগে পেয়েও সঠিক কৌশল এবং অভিজ্ঞতার অভাবে কাজে লাগাতে বাড়তো হলো বাংলাদেশ।

ভারতের কথা বলতেই হয়, দুর্দান্ত ফর্মে রীতিমত উড়ছে অভিষেক শর্মা।কুলদীপ, ভারুন, বুমরাকে খেলতে পারছে না স্বস্তিতে কেউ। ভারত টুর্নামেন্টে  অপ্রতিদ্বন্দ্বী বলতে কুণ্ঠা নেই।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

16 − nine =