বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশের জনগণের চাহিদা ও আকাঙ্ক্ষার পরিপ্রেক্ষিতে প্রস্তাবিত বাজেট বাস্তবসম্মত ও বাস্তবায়নযোগ্য বলে মনে করে ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরাম (আইবিএফবি)। তবে সংগঠনটি বলছে, ২০২৬ সালে উন্নয়নশীল দেশে উত্তোরণের প্রাক্কালে এবারের বাজেটে কিছু মধ্যমেয়াদি সংস্কার কর্মসূচি থাকার প্রয়োজন ছিলো। মঙ্গলবার রাজধানীর তেজগাঁয়ে সংগঠনের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আইবিএফবি নেতৃবৃন্দ একথা বলেন।
সংগঠনটির সভাপতি হুমায়ূন রশিদ বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশের জনগণের চাহিদা ও আকাঙ্ক্ষা পূরণে সরকারের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের জন্য বাজেটের আকার বাস্তবসম্মত ও বাস্তবায়নযোগ্য। তবে উন্নয়নশীল দেশে উত্তোরণের প্রাক্কালে এবারের বাজেটে সংস্কার কর্মসূচির বলিষ্ঠ নির্দেশনা থাকার প্রয়োজন ছিলো।’ উল্লেখ্য, অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী গত ৬ জুন জাতীয় সংসদে আগামী অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বাজেট উত্থাপন করেন।
‘প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেট ২০২৪-২৫: প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি’ শীর্ষক লিখিত বক্তব্যে এই ব্যবসায়ী নেতা আরও বলেন, বাজেট বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য দরকার সুশাসন ও যথাযথ মনিটরিং। বাজেট বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে দক্ষতা,স্বচ্ছতা,জবাবদিহিতা এবং তদারকির মান ক্রমাগতভাবে উন্নয়নের জন্য সুস্পষ্ট দিক-নির্দেশনা ও পরিকল্পনা নিশ্চিত করা জরুরি। এছাড়াও বাজেট বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সরকারি এবং বেসরকারিখাতের অংশীদারিত্ব আরও জোরদার করতে হবে। তিনি বলেন, বর্তমানে ফিনিশড জেনারেটর আমদানি শুল্ক ১ শতাংশ প্রযোজ্য। প্রস্তাবিত বাজেটে জেনারেটর তৈরি কাঁচামালের উপর ১ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে, যা বর্তমানে শুন্য শতাংশ। তিনি বলেন, এই শুল্ক আরোপের ফলে দেশে জেনারেটর উৎপাদন খরচ বেড়ে যাবে এবং আমদানি পণ্য ও কাঁচামালের উপর একই হারে শুল্ক বহাল থাকলে স্থানীয় উৎপাদনকারি প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়বেন। ফলে দেশীয় শিল্পের বিকাশ বাঁধাগ্রস্ত হবে। হুমায়ূন রশিদ জেনারেটর তৈরির কাঁচামালের উপর প্রস্তাবিত শুল্ক প্রত্যাহারের দাবি জানান।
আইবিএফবি সভাপতি বলেন, বাজেটে মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিলো ৬.৫ শতাংশ। কিন্তু চলতি বছর মে মাসে মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৯.৮৯ শতাংশ। এই মূল্যস্ফীতির হার কমিয়ে এনে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা একটি বিশাল চ্যালেঞ্জ। মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বগতির লাগাম টেনে ধরতেই হবে। তা না হলে সাধারণ মানুষের কষ্ট ও ভোগান্তি বাড়বে। তিনি অগ্রিম আয়কর (এআইটি) এবং আমদানি পর্যায়ে অগ্রিম কর (এটি) বিলুপ্ত করার প্রস্তাব করেন।
সভায় এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান ও সংগঠনটির উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ আবদুল মজিদ বলেন, অপ্রদর্শিত আয় বৈধ করার সুযোগ নতুন করদাতাদের অনুৎসাহিত করবে।
বাসস