গত নয় বছরের মধ্যে ঢাকার মানুষ নির্মল বায়ু পেয়েছে মাত্র ৩১ দিন। এ সময়ের মধ্যে দুর্যোগপূর্ণ বায়ু ছিল ৯৩ দিন, খুব অস্বাস্থ্যকর বায়ু ছিল ৬৩৫ দিন। অস্বাস্থ্যকর বায়ু ছিল ৮৫৩ দিন।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) “বিশ্ব ধরিত্রী দিবস ২০২৫: বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে করণীয়” বিষয়ে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এমন তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) ও বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস)।
বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্রের চেয়ারম্যান আহমেদ কামরুজ্জামান মজুমদার এসব তথ্য তুলে ধরে বলেছেন, “গত ৯ বছরে ঢাকায় ৬২৪ দিন মাঝারি, ৮৭৮ দিন সংবেদনশীল, ৮৫৩ দিন অস্বাস্থ্যকর, ৬৩৫ দিন খুব অস্বাস্থ্যকর এবং ৯৩ দিন দুর্যোগপূর্ণ বায়ু ছিল। ঢাকার মানুষ এ সময়ে ৮৫৩ দিন অস্বাস্থ্যকর, ৬৩৫ দিন খুব অস্বাস্থ্যকর ও ৯৩ দিন দুর্যোগপূর্ণ বায়ু গ্রহণ করেছেন।”
গবেষণা তথ্য তুলে ধরে তিনি আরও বলেন, “২০২১ সালে খুব অস্বাস্থ্যকর দিন ছিল ৮৬ এবং ২০২৩ সালে অস্বাস্থ্যকর দিন ছিল ১৩৩। কিন্তু ২০২৩ সালে ৩৬৫ দিনের মধ্যে ১৪ দিন ছিল অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর বা দুর্যোগপূর্ণ যা অন্য বছরগুলোর তুলনায় বেশি ছিল।”
তিনি বলেন, “২০২৪ সালের ৩৬৬ দিনের মধ্যে অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর বা দুর্যোগপূর্ণ দিনের সংখ্যা বেড়ে গিয়ে দাঁড়িয়েছিল ৩৫ দিনে।”
২০২৪ সালে সবচেয়ে ভালো বায়ুমান ছিল মাত্র দু্ইদিন, আর সবচেয়ে খারাপ বায়ুমান ছিল ৩৫ দিন। দেশের সবচেয়ে দূষিত বায়ুর জেলা হিসেবে চিহ্নিত করা হয় গাজীপুর জেলাকে।
বাপা ও ক্যাপস-এর সুপারিশে বায়ুদূষণ বন্ধের লক্ষে মেয়াদউত্তীর্ণ ও ফিটনেসবিহীন যানবাহন বন্ধ করে বৈদ্যুতিক ও হাইব্রিড যানবাহনের ব্যবহার বৃদ্ধি, বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ করে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ব্যবস্থা করা এবং নির্মল বায়ু আইন প্রণয়নের ওপর জোর দেওয়া হয়।