বায়ু দূষণ রোধে ঢাকায় বসবে ‘এয়ার পিউরিফায়ার’

বায়ু দূষণ ঠেকাতে ঢাকার অন্তত ৫০টি জায়গায় ‘এয়ার পিউরিফায়ার’ বসানো হবে। এসব পিউরিফায়ার বসাতে বিভিন্ন বেসরকারি কোম্পানির সঙ্গে আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করেপোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ। খবর বিডিনিউজ২৪.কম

সোমবার ডিএনসিসি নগর ভবনে ‘দূষণমুক্ত ন্যায্য নগর গঠনে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ভূমিকা’ শীর্ষক পলিসি ডায়ালগে তিনি এ কথা বলেন।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এবং বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস) যৌথভাবে এই সংলাপের আয়োজন করে।

মোহাম্মদ এজাজ বলেন, ঢাকায় বায়ু দূষণের বড় কারণ ২০ বছরের পুরোনো যানবাহন। এছাড়া নির্মাণকাজসহ নানা কারণে বায়ু দূষণ হচ্ছে।

“দূষণ ঠেকাতে পুরোনো যানবাহন উঠিয়ে দেওয়ার সুপারিশ করেছে ডিএনসিসি। নির্মাণকাজসহ অন্যান্য কারণে দূষণ কমিয়ে আনা যায় সে ব্যবস্থার দিকে যাওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি শহরের বিভিন্ন জায়গায় বসানো হবে এয়ার পিউরিফায়ার।”

তিনি বলেন, “এগুলো বিভিন্ন পাবলিক প্লেসে বসানো হবে। প্রায় একশটি গাছ বাতাসকে যেমন বিশুদ্ধ করে, ঠাণ্ডা করে একেকটি ডিভাইস বাতাসকে সে পরিমাণ বিশুদ্ধ করবে। এই ধরনের ইঞ্জিনিয়ারিং সল্যুশনের দিকে আমরা যাচ্ছি। দূষণ কমাতে কুইক সল্যুশন দরকার আবার পাশাপাশি দীর্ঘস্থায়ী সমাধান নিয়েও আমরা কাজ করছি।

“ডিভাইসগুলো একটু দামী, কিন্তু আমরা স্পন্সর পেয়েছি ৫০টি পিউরিফায়ার বসিয়ে দেওয়ার। এতে সিটি করপোরেশনের কোনো টাকা খরচ হবে না। এই মাসেই আমরা প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে চুক্তিতে যাব।”

মোহাম্মদ এজাজ বলেন, ব্যাটারিচালিত রিকশা চালাতে অনেক বিদ্যুৎ খরচ হয়। রিকশার ব্যাটারি লিথিয়াম না, তাই এটা নবায়নযোগ্য জ্বালানি নয়। এসব রিকশার কাঠামো, নিরাপত্তা ব্যবস্থা, অনুমোদন কোনো কিছুই নগরে চলার মত না। এ কারণে নতুন ধরনের রিকশার নকশা করা হয়েছে।

“প্রতিটি বাহনকে লিথিয়াম ব্যাটারিতে চলতে হবে। অন্য ব্যাটারি পুড়িয়ে পরিবেশের যেসব ক্ষতি করা হয়, লিথিয়াম এই ব্যাটারির কারণে তা অনেক কম হবে। ব্যাটারিচালিত রিকশার জন্য বিদ্যুৎ ব্যবহার অনেক কমে আসবে।”

ডিএনসিসির প্রশাসক বলেন, ঢাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশার অনুমোদনও দেওয়া হবে অনেক বিষয় মাথায় রেখে। একজন মালিক একটির বেশি রিকশার লাইসেন্স পাবেন না।

“আমাদের চিন্তা করতে হবে শহরে আমরা কতগুলো রিকশা অ্যালাও করব, কোন রুটে কতগুলো, এখানে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো আছে কি না। রিকশা কার লাগবে এটাও একটা বড় প্রশ্ন। রিকশার ব্যবসায়ীরা একটা বড় সিন্ডিকেট। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়ে একটি ন্যাশনাল আইডি কার্ডের বিপরীতে একটি রিকশার লাইসেন্স দেব।

“আমরা দুটির প্রস্তাব পেয়েছিলাম। এটাও একটি নির্দিষ্ট এলাকার জনসংখ্যা, রাস্তা কতটা চওড়া, রিকশার আলাদা লেইন আছে কি না সেগুলো হিসাব করে। এর বাইরে যারা পড়ে যাবে তারা ঢাকার বাইরে চলে যাবে।”

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ক্যাপসের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার। এতে পরিবেশ ও জলবায়ু নিয়ে কাজ করে বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

seventeen − 1 =