সালেক সুফী
এমন ঘটনা সম্ভব শুধু ক্রিকেটে। কিছু দিন আগে পূর্ণ শক্তির পাকিস্তান ক্রিকেট দল নিজেদের মাঠে বাংলাদেশের কাছে টেস্ট সিরিজে ধবল ধোলাই হয়েছে। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম টেষ্টের প্রথম ইনিংসে ৫০০ র বেশি রান করে ৮০০র বেশি রান কনসিভ করে ইনিংস পরাজয় বরণ করেছে। সেই পাকিস্তান আজ দ্বিতীয় টেস্টে দাপুটে ক্রিকেট খেলে ইংল্যান্ডকে ১৫২ রানে হারিয়ে দিয়েছে। এমন উত্থান পতন সম্ভব শুধু একটি মাত্র খেলায় যার নাম ক্রিকেট। তাইতো যুগে যুগে খেলাটিকে বলা হয় গৌরব উজ্জ্বল অনিশ্চয়তার খেলা।
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক টেস্ট সিরিজ জয় নিরুকুশ ছিল। সেই বাংলাদেশ ভারত সফরে হালে পানি পায় নি। টেস্ট এবং টি ২০ সিরিজে শোচনীয় ভাবে ধবল ধোলাই হয়েছে। ইংল্যান্ড সিরিজটি অনায়েসে জিতে নিবে বলে সবাই ভেবেছিলো। পাকিস্তান দল থেকে ছেটে ফেলা হলো দুই সেরা খেলোয়াড় বাবর আজম এবং শাহীন শাহ আফ্রিদিকে। প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ভালো খেলে ৫০০র অধিক রান করলেও ইংল্যান্ড করে ৮০০র অধিক রান। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং ব্যার্থতার কারণে ইনিংস ব্যাবধানে পরাজিত হয় পাকিস্তান।
দ্বিতীয় টেস্টে ঘূর্ণি উইকেট বানিয়ে তিন স্পিনার এবং এক পেসার নিয়ে খেলতে নাম পাকিস্তান। প্রথম ইনিংসে নবাগত কামরান গোলামের ( ১১৪) এবং নবীন সাইয়ুম আয়ুবের (৭৭) ভর করে ৩৬৬ করে পাকিস্তান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে বেন ডাকেট ১১৪ রান করলেও স্পিন যুগল সাজিদ খান (৭/১১১) এবং নোমান আলী (৩/১০১) মোকাবিলায় ২৯১ রানে গুটিয়ে যায়। বিশাল ঘূর্ণি এবং অসম বাউন্সের উইকেটে পাকিস্তান দ্বিতীয় ইনিংসে সালমান আগার সংগ্রামী ৬৩ রানের সুবাদে ২২১ রান করে ২৮৮ রানে এগিয়ে থাকে। কঠিন ইনংসে শেষ ইনিংসে ইংল্যান্ড নোমান আলী (৮/৪৬) এবং সাজিদ খান (২/৯৩) ঘূর্ণি বলের মোকাবিলায় ১১৪ রানে গুটিয়ে যায়। ১৫২ রানে জয়ী হয় পাকিস্তান। দেশের মাটিতে সারে তিন বছর পর টেস্ট জয়। তাও আবার শক্তিশালী ইংল্যান্ড দলের বিরুদ্ধে। সিরিজের এখন ১-১ সমতা। দেখা যাক রাওয়ালপিন্ডিতে অনুষ্ঠিতব্য শেষ টেস্টে কি হয়। ক্রিকেটে এমন ঘটনা অহরহ হয় বলেই টেস্ট ক্রিকেট ভালোবাসি।