বিতর্কের মাঝেই শাকিবের ঈদের সিনেমার ঘোষণা

কয়েক দিন আগে চিত্রনায়ক শাকিব খানের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ এনে শিল্পী সমিতিতে চিঠি দেন ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ সিনেমার অন্যতম প্রযোজক রহমত উল্ল্যাহ। তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে শাকিবও অভিযোগ দিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) কার্যালয়ে। পাল্টাপাল্টি অভিযোগে শাকিবকে ঘিরে উত্তপ্ত ঢালিউড। চলমান এই বিতর্কের মাঝেই শাকিব খানের ঈদের সিনেমার ঘোষণা দিল প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান বেঙ্গল মাল্টিমিডিয়া। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, ঈদে শাকিব অভিনীত নতুন সিনেমা ‘লিডার: আমিই বাংলাদেশ’ মুক্তি দেবে তারা। এতে শাকিবের নায়িকা হিসেবে আছেন শবনম বুবলী।

তপু খানের পরিচালনায় সিনেমাটির শুটিং শুরু হয়েছিল ২০২১ সালের মে মাসে। ওই বছরই সিনেমাটি মুক্তির পরিকল্পনা থাকলেও বাদ সেধেছিল লকডাউন। এরপর গত বছরের কোরবানির ঈদে ‘লিডার’ আসার কথা থাকলেও গানের দৃশ্যের শুটিং বাকি থাকায় মুক্তি দিতে পারেনি বেঙ্গল মাল্টিমিডিয়া। গত বছর শাকিব খান যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফিরে বাকি কাজ শেষ করেন। ২৬ ডিসেম্বর সিনেমাটি সেন্সর বোর্ড থেকে ছাড়পত্রও পেয়েছে। ফলে ‘লিডার: আমিই বাংলাদেশ’ মুক্তি দিতে আর কোনো বাধা নেই।

পরিচালক তপু খানের প্রথম সিনেমা এটি। দীর্ঘদিন আটকে থাকার পর সিনেমাটির মুক্তির ঘোষণায় যেন স্বস্তি পেয়েছেন তিনি। তপু খান বলেন, ‘শাকিব খান, বুবলীসহ সবাই আমাকে যেভাবে সহযোগিতা করেছেন, তাতে আমি কৃতজ্ঞ। ঈদের মতো বড় উৎসবে সিনেমাটি দর্শকদের দেখাতে পারব, এটা ভেবে ভালো লাগছে।’

লিডার সিনেমার প্রযোজক সৈয়দ আশিক রহমান বলেন, ‘দর্শকদেরকে একটি মানসম্পন্ন চলচ্চিত্র উপহার দেওয়ার জন্যই কিছুটা দেরি করতে হয়েছে। সকল প্রস্তুতি নিশ্চিত করার পর আজ আমরা দর্শকদেরকে বলতে চাই, লিডার: আমিই বাংলাদেশ ঈদুল ফিতরে বাংলাদেশসহ আন্তর্জাতিক থিয়েটারে একযোগে শুভ মুক্তি পেতে যাচ্ছে।’ সিনেমার কাহিনি ও সংলাপ লিখেছেন দেলোয়ার হোসেন দিল। শাকিব খান, বুবলীর পাশাপাশি এতে অভিনয় করেছেন মিশা সওদাগর, শহীদুজ্জামান সেলিম, এল আর সীমান্ত, সুব্রত প্রমুখ।

মুখ খুললেন পরিচালক আশিকুর রহমান

অস্ট্রেলিয়ায় যে সিনেমার শুটিং করতে গিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছেন শাকিব খান, সেই ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ সিনেমার পরিচালক আশিকুর রহমান চলমান ইস্যুতে এত দিন চুপ ছিলেন। গতকাল তিনি ফেসবুকে দীর্ঘ এক পোস্ট দিয়ে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন। শাকিবের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ করেছেন প্রযোজক রহমত উল্ল্যাহ, সেগুলো ‘ত্রুটিপূর্ণ ও বাস্তবতার সাথে সাংঘর্ষিক’ বলে উল্লেখ করেছেন আশিকুর। তিনি লিখেছেন, ‘শাকিব খান ২০১৬ ও ২০১৮ সালে দুইবার অস্ট্রেলিয়ায় শুটিং করতে আসেন। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়, তিনি নাকি পালিয়ে গেছেন অস্ট্রেলিয়া থেকে, যেটা বাস্তবে হওয়া সম্ভব না। শুটিংয়ের বিশাল কর্মব্যস্ততার মাঝে সময় পাওয়া কঠিন। প্রতিদিন ১০-১২ ঘণ্টা বিরতিহীন শুটিং করার পর সবারই মূল লক্ষ্য থাকত বিশ্রাম নেওয়া ও পরের দিনের শুটিংয়ের প্রস্তুতি নেওয়া। শাকিব খান এবং আমরা যতক্ষণ এক সাথে শুটিং করেছি, কখনো আপত্তিকর কিছু চোখে পড়েনি।’

তবে অস্ট্রেলিয়ায় শাকিব খানকে যে পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়তে হয়েছিল, সেটা স্বীকার করেছেন আশিকুর। তিনি লিখেছেন, ‘২০১৮ সালে শাকিব খান ও অন্যান্য কলাকুশলী যখন হোটেল হলিডে ইন-এ অবস্থান করছিলেন, তখন অস্ট্রেলিয়া পুলিশের দুজন তদন্তকারী কর্মকর্তা তাঁর রুমে যান। প্রায় ২০-৩০ মিনিটের অবস্থান শেষে তাঁরা অন্যদের আরও কিছু সাধারণ প্রশ্ন করে চলে যান। এই ঘটনা ছাড়া শাকিব খানের সাথে পুলিশের আর কোনো ইন্টারেকশন আমার জানা নেই।’

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

20 − eighteen =