বিদেশে অর্থসম্পদের যে ব্যাখ্যা দিলেন সাবেক ভূমিমন্ত্রী জাবেদ

বিদেশে অর্থসম্পদ থাকার বিষয়টি নির্বাচনী হলফনামায় দেয়ার বাধ্যবাধকতা না থাকায় সেসব সম্পদ দেখানো হয়নি বলে জানিয়েছেন সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ। শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে তাকে নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের বিষয়ে নিজের ব্যাখ্যা তুলেন ধরেন তিনি।

সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, রাজনীতিতে আসার আগে থেকেই বিদেশে তার ব্যবসা রয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় সেখানে সম্পদ বেড়েছে। তিনি বলেন, যেহেতু ট্যাক্স রিটার্ন অনুযায়ী হলফনামা জমা দিতে হয়। তাই বিদেশের ট্যাক্স রিটার্ন থাকা স্বত্বেও তিনি তা হলফনামায় জমা দেননি। তার দাবি, যেহেতু বাংলাদেশ থেকে তিনি কোনো অর্থ বিদেশে নেননি, তাই অনুমতির বিষয়টি অপ্রয়োজনীয়।

সাবেক ভূমিমন্ত্রী বলেন, ১৯৯১ সাল থেকে বিদেশে ব্যবসা করি। আর রাজনীতিতে এসেছি ২০১৩ সালে। সেই ধারাবাহিকতায় সেখানে সম্পদ বেড়েছে। টিআইবি বা লন্ডনের যেকোনো সংস্থা তদন্ত করতে চাইলে আমি সহায়তা করবো।

‘দেশে বিদেশে আমাকে নিয়ে খবর হয়েছে। অনেকে জানতে চেয়েছেন, কেনো এতোদিন নীরব ছিলাম। দেশের বাইরে থাকায় একটু দেরিতে সংবাদ সম্মেলন করা হচ্ছে’, বলেন তিনি। জাবেদ বলেন, দয়া করে ব্যবসা ও রাজনীতি মিলিয়ে ফেলবেন না। দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা করে আসছি। পারিবারিক ভাবেই আমরা ব্যবসায়ী।

হলফনামায় তথ্য লুকানোর মতো বেশ কিছু কথা এসেছে। ট্যাক্স রিটার্ন অনুযায়ী হলফনামা দিতে হয়। আমরাও সেভাবেই দিয়েছি। ‘হলফনামায় কোথায় বিদেশি সম্পদের বিষয়ে বলা নেই, সেজন্য বিদেশি সম্পদ হলফনামায় দেখানো হয়নি,’ বলেন তিনি।

সাইফুজ্জামান চৌধুরীর বাবা প্রয়াত আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু। তিনি ছিলেন একাধারে রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী ও শিল্পপতি। যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনা শেষে দেশে ফিরে পাকিস্তান আমলেই ব্যবসা শুরু করেন আখতারুজ্জামান বাবু। পরে রাজনীতিতে যোগ দেন এবং আওয়ামী লীগ থেকে চারবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

তিনি বলেন, ছোট বেলা থেকেই লন্ডন আমেরিকায় বাড়িঘর ছিলো। বাংলাদেশ থেকে টাকা না নিয়েও বাইরে ব্যবসা করা যায়; যদি অতীতে বিদেশে ব্যবসায় ভালো অবস্থান থাকে। সুনামের জন্য সেখান থেকে ঋণও পাওয়া যায়।

‘টিআইবি নির্বাচনের সাত দিন আগে রিপোর্ট দিয়ে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে। অনেকে বলেছে মন্ত্রী থাকা অবস্থায় আমি সুবিধা নিয়েছি। তবে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত হলে আমি খুশি হবো,’ যোগ করেন সাবেক মন্ত্রী। বলেন, ৫০ বছরের ওপরে আমরা বড় ব্যবসায়ী, এটা প্রমাণিত। বিদেশের ব্যাংকে যে লোন আছে, সেটা কেউ দেখলো না।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

twenty + two =