বিদ্যা সিনহা মিম ইউনিসেফের শুভেচ্ছা দূত হলেন

অভিনেত্রী বিদ্যা সিনহা সাহা মিম বাংলাদেশে ইউনিসেফের নতুন জাতীয় শুভেচ্ছা দূত হিসেবে যোগ দিয়েছেন।বৃহস্পতিবার (১৯ মে) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে এক অনুষ্ঠানে এই ঘোষণা দেওয়া হয়। ইউনিসেফ জানায়, একজন জাতীয় শুভেচ্ছা দূত হিসেবে মিম সারা বিশ্বের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে যুক্ত হলেন, যারা নিজেদের জনপ্রিয়তা ও জোরালো কণ্ঠস্বর কাজে লাগিয়ে শিশু অধিকার রক্ষায় কাজ করছেন।

মিম বলেন, সারাদেশে শিশুদের জন্য, তাদের শিক্ষা, সুস্বাস্থ্য ও উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ইউনিসেফ আমাদের সঙ্গে আছে। আমি দীর্ঘদিন ধরে শিশুদের জন্য ইউনিসেফের কাজে মুগ্ধ। প্রতিটি শিশুর অধিকার প্রতিষ্ঠায় সেই কাজের অংশ হতে পেরে আমি কৃতজ্ঞ।

তিনি আরও বলেন, শিশু ও নারীদের অধিকারের জন্য সোচ্চার হওয়া আমাদের প্রত্যেকের দায়িত্ব। আমি সেই দায়িত্ব ইউনিসেফের সঙ্গে এক সঙ্গে পালন করতে উন্মুখ।

ইউনিসেফের মতে, পেশাগত জীবনে মিম নিজেকে নারীর অধিকারের জন্য একজন অনুপ্রেরণাদায়ী সমর্থক এবং সহিংসতার বিরুদ্ধে শক্তিশালী কণ্ঠস্বর হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। বাংলাদেশে ইউনিসেফের জাতীয় শুভেচ্ছা দূত হিসেবে মিম শিশুদের অধিকার সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে কাজ করবেন, বিশেষ করে যেসব শিশু সবচেয়ে অবহেলিত। বাংলাদেশে শিশু ও নারীরা যে ধরনের সহিংসতার মুখোমুখি হয় তার বিরুদ্ধে তিনি ইউনিসেফের পক্ষে কথা বলবেন।

মিম ইতোমধ্যেই কোভিড-১৯ প্রতিরোধে সচেতনতা বাড়াতে ইউনিসেফের সঙ্গে কাজ করেছেন। মহামারি শুরু হওয়ার পর থেকে তিনি জীবন বাঁচাতে টিকার গুরুত্বপূর্ণ অবদান এবং টিকাদান সেবায় আরও বিনিয়োগের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরতে বৈশ্বিক আহ্বানে কণ্ঠ মেলান।

বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি মি. শেলডন ইয়েট বলেন, মিম তার অসীম প্রাণশক্তি ও উদ্যম এবং বাংলাদেশের সবচেয়ে অবহেলিত শিশু ও নারীদের সুরক্ষিত রাখার দৃঢ় প্রতিশ্রুতি নিয়ে আমাদের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন। মিমকে সঙ্গে পেয়ে আমরা আনন্দিত এবং প্রতিটি শিশুর অধিকার ও সার্বিক কল্যাণের জন্য তার সঙ্গে কাজ করতে আমরা উন্মুখ।

বাংলা ট্রিবিউন

 

 

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

14 − 7 =