সালেক সুফী
বৃষ্টি ভারত বাংলাদেশ কানপুর টেস্টের প্রথম দিনে মাত্র ৩৫ ওভার খেলার সুযোগ দিয়েছে। এরই মাঝে বাংলাদেশ টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে সংগ্রহ করেছে ৩ উইকেট হারিয়ে ১০৭ রান। ভাবতেই অবাক লাগছে এই টেস্ট ম্যাচের পর বাংলাদেশের হয়ে বিদেশের মাটিতে আর টেস্ট ম্যাচ খেলবে না বাংলাদেশের ক্রিকেট কিংবদন্তি সাকিব আল হাসান। উইকেটে শুরুতে যথেষ্ট সিম মুভমেন্ট ছিল। আকাশ দীপ, বুমরাহ, সিরাজ স্বস্তি দেয়নি বাংলাদেশকে। আকাশ দ্বীপ শুরুতেই দুই ওপেনারকে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে কোনঠাসা করে ফেলে। লড়াই করে তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৫১ রান যোগ করে অধিনায়ক নাজমুল শান্ত (৩১) এবং মোমিনুল হক। অশ্বিনের একটি আর্ম বল চকিতে শান্তকে পরাজিত করে উইকেটের সামনে পায়ে আগত্যা চ্যানেলে ফিরে যায় শান্ত। আলোক স্বল্পতা আর বৃষ্টির কারণে দিনের খেলা শেষ ঘোষণার সময় মোমিনুল ৪০ এবং মুশফিকুর ৬ রানে অপরাজিত আছে। বাংলাদেশকে দ্বিতীয় দিন পুরো সময় ব্যাটিং করে অন্তত ৩৫০ রান করতে হবে একটি সম্মানজনক পর্যায়ে পৌঁছাতে। মোমিনুল, মুশফিক ছাড়াও ব্যাটিং করবে সাকিব, লিটন, মিরাজ সঙ্গে লেজের ব্যাটসম্যানরা। উইকেটে দৈত্য দানব না থাকলেও ফ্লাট উইকেট বলা যাবে না। ম্যাচে আরো বৃষ্টি বিঘ্ন ঘটার পূর্বাভাস আছে। সাকিব অনুরাগীরা চাইছে বিদেশের মাটিতে এমনকি হয়তো ওর শেষ টেস্টে যেন জ্বলে ওঠে আপন মহিমায়। মঞ্চ প্রস্তুত হয়ে আছে। নানা বিতর্ক আছে মাঠের বাইরের সাকিবকে নিয়ে। কিন্তু মাঠের মাঝে সাকিবের সৌরভকে কেউ অস্বীকার করবে না কিছুতেই। সব কিছুরই শেষ আছে। বিদেশের মাটিতে সাকিবের খেলা শেষ ম্যাচটি রাঙিয়ে তুলতে সতীর্থরা চেষ্টার ত্রুটি করবে না বোঝাই যাচ্ছে। শান্তর ইনিংসে প্রত্যয় ছিল। আজ মধ্যাহ্ন বিরতির পর অশ্বিনের আর্ম বলে এলবিডব্লু হওয়ার আগে ভালো খেলছিল শান্ত। শুরুতে একটু নড়বড়ে থাকলেও ভালো ব্যাটিং করেছে মোমিনুল। মুশফিকের সঙ্গে লম্বা জুটি গড়ে দলকে স্বস্তিদায়ক অবস্থানে নিতে হবে। এখনো অনেক পথ যেতে হবে। প্রথম দিন শেষে বলা যায় সমানে সমান। বাংলাদেশকে টেস্ট ম্যাচে টিকে থাকতে হলে প্রথম ইনিংসে অন্তত ৩৫০+ রান করতে হবে। প্রথম দিনের ব্যাটিং দেখে সেটি অসম্ভব মনে হচ্ছে না। ধবল ধোলাই এড়াতে হলে বাংলাদেশকে চোয়ালবদ্ধ হয়ে লড়াই করতেই হবে। সাকিবের স্মৃতিময় টেস্ট বাংলাদেশ সহজে হারতে চাইবে না সেটি সহজেই বোধগম্য।