কয়েক বছর আগে রিয়াল মাদ্রিদে ফিরে এসে সনাতনী ৪-৩-৩ ফর্মেশনেই এতদিন দলকে খেলিয়েছেন কোচ কার্লো আনচেলত্তি। যেখানে আক্রমণভাগের নেতৃত্বে ছিলেন করিম বেনজেমা। দুই পাশে দুই ফরোয়ার্ড নিয়ে বেনজেমার নেতৃত্বে রিয়াল বেশ ভালই সাফল্য পেয়েছে। গত দুই বছরে কোপা ডেল রে, উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও লা লিগা শিরোপা ঘরে তুলেছে।
তবে আসন্ন মৌসুমের আগে বেনজেমা ক্লাব ছেড়ে চলে যাওয়ায় ফর্মেশনে কিছুটা পরিবর্তন আনতেই হচ্ছে আনচেলত্তিকে। বিশেষ করে জুড বেলিংহামের অন্তর্ভূক্তি এই পরিবর্তনকে আরো তরান্বিত করেছে। রিয়াল মাদ্রিদের ট্যাকটিকাল ফর্মেশনে কিছুটা হলেও পরিবর্তনের ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। কার্লো আনচেলত্তি হয়তোবা আগামী মৌসুমে বেলিংহামকে জায়গা করে দিতে ৪-৩-২-১ ফর্মেশনে চলে যেতে পারেন।
বরুসিয়া ডর্টমুন্ড থেকে সদ্য রিয়ালে যোগ দিয়েছেন বেলিংহাম। দুই ফরোয়ার্ডের পিছনে তাকে নাম্বার টেনের ভূমিকায় দেখা যাবার সম্ভাবনাই বেশী। বেনজেমার বিদায়ে আক্রমনভাগ সামলানোর দায়িত্ব স্বাভাবিক ভাবেই পাচ্ছেন ভিনিসিয়াস জুনিয়র ও রড্রিগো।
কিন্তু এবারের গ্রীষ্মে কিলিয়ান এমবাপ্পেকে দলে নিতে যদি রিয়াল সফল হয় তবে আক্রমণভাগে ভিনির পাশে অবশ্যই ফরাসি তারকাকেই দেখা যাবে। মধ্যমাঠে আনচেলত্তি দুই অভিজ্ঞ টনি ক্রুস ও লুকা মড্রিচের ওপরই আস্থা রাখবেন। তাদের অভিজ্ঞতা ও নেতৃত্বের গুনাবলী গত এক দশকে রিয়াল মাদ্রিদকে অনেকদুর এগিয়ে নিয়ে গেছে। সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে তাদের শেষ বছরে মাদ্রিদ অভিজ্ঞ এই দুই মিডফিল্ডারের কাছ থেকে যেকোন মূল্যেই সেরাটা বের করে নিয়ে আসবে। ডানি সেবালস ও ফেডেরিকো ভালভার্দের এই দুই পজিশনের জন্য লড়াইয়ে থাকবেন।
৪-৩-২-১ ফর্মেশনে অরেলিয়েন টিচুয়ামেনি ও এডুয়ার্ডো কামভিঙ্গা ডিফেন্সিফ মিডফিল্ড পজিশনের জন্য নিজেদের টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করবেন। তরুণদের জায়গা করে দিয়ে কখনো কখনো আনচেলত্তি মড্রিচ ও ক্রুসকে ঝেড়ে ফেললে অবাক হবার কিছুই থাকবে না। রক্ষনভাগে অবশ্য খুব একটা পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই।
বাসস