বোনের জন্য মেহজাবীনের চিত্রনাট্য বদল

বড় বোন মেহজাবীন চৌধুরীর দেখানো পথ ধরে এগোচ্ছেন মালাইকা চৌধুরী। মডেলিংয়ের পর পা রেখেছেন অভিনয়ে। মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজের ‘সন্ধিক্ষণ’ নাটক দিয়ে শুরু হয়েছে তাঁর অভিনয়ের জার্নি। মালাইকার ক্যারিয়ারকে বলতে গেলে নিজের হাতে গুছিয়ে দিচ্ছেন মেহজাবীন।

সর্বক্ষণ পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। অভিনয়ের প্রথম প্রশিক্ষণও বড় বোনের কাছেই পেয়েছেন মালাইকা। যে নাটক দিয়ে তাঁর অভিনয় শুরু হলো, সেটার গল্পও ভেবেছেন মেহজাবীন। এমনকি সংবাদমাধ্যমে মালাইকার প্রথম সাক্ষাৎকারেও তাঁর সঙ্গী হয়েছিলেন মেহজাবীন।

মালাইকার নাটকে যুক্ত হওয়া প্রসঙ্গে ওই সাক্ষাৎকারে মেহজাবীন বলেন, ‘নাটকের গল্প চূড়ান্ত হওয়ার পর রাজ ভাই আমায় বললেন, এই গল্পে নতুন কেউ হলে ভালো হয়। এরপর অক্টোবরে সে আমায় বলল, চিত্রনাট্য রেডি। মালাইকার কি সময় আছে? সে সময় ওর ছুটি ছিল। ওকে বললাম তুমি নাটক করছ। এভাবেই নাটকে যুক্ত হয়ে গেল।’

মেহজাবীন জানান, মালাইকার জন্য সন্ধিক্ষণ নাটকটির চিত্রনাট্যও পরিবর্তন করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘নাটক ও বিজ্ঞাপন এক নয়। নাটকে অনেক সংলাপ বলতে হয়। চিত্রনাট্য প্রস্তুত হওয়ার পর রাজ ভাইকে বলি, এত সংলাপ কি মালাইকা দিতে পারবে? তাঁকে বোঝালাম, ও হয়তো অনেক ডায়ালগ দিতে পারবে না। আপনি সেভাবে চিত্রনাট্য তৈরি করেন। রাজ ভাই আরেকটু সময় নিলেন। মালাইকাকে মাথায় রেখে চিত্রনাট্য পরিবর্তন করলেন।’

মালাইকা জানান, অভিনয়ের প্রথম রিহার্সেলটাও তিনি করেছেন বড় বোন মেহজাবীনের সঙ্গে। মালাইকা বলেন, ‘হঠাৎ একদিন আপু আমায় বলল, তুমি নাটক করছ। তাঁর কাছেই গল্পটি শুনলাম। চিত্রনাট্য পাওয়ার পর আপুর সঙ্গেই প্রথম রিহার্সেল করেছি।’

শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা জানিয়ে মালাইকা বলেন, ‘প্রথম দিন আমার কোনো ডায়ালগ ছিল না। এটা আমার জন্য অনেক ভালো হয়েছে। আমার সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে কান্নার দৃশ্যের শুটিং করতে। শুধু কাঁদব, আর কিছু করতে হবে না। এ ছাড়া রাগ হওয়ার দৃশ্যে অভিনয় করতে ভালো লেগেছে।’

এ নাটকে মেহজাবীনের অনেক পোশাকও ব্যবহার করেছেন মালাইকা। বিষয়টি অনেক স্পেশাল মেহজাবীনের কাছে। তিনি বলেন, ‘এ নাটকে মালাইকা যে পোশাকগুলো পরেছে, সেগুলো দিয়ে একটা সময় আমি শুটিং করেছি। ওর শুটিংয়ে একটি শাড়ির দরকার ছিল। তখন আমার শাড়িগুলো বের করলাম। তিনটি শাড়ি ওর সামনে রাখলাম, এর মধ্যে আমার দুটি শাড়ি ও আম্মুর একটি। অনেকক্ষণ ভেবে আম্মুর শাড়িটি দিয়ে ওকে যখন রেডি করছিলাম, খুব আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলাম দুই বোন।’

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

3 × three =