ভক্তের মৃত্যুতে কনসার্ট স্থগিত টেইলরের

ভক্ত ও শিল্পী একে অন্যের পরিপূরক। ভক্তের ভালোবাসাই শিল্পীকে তার কাক্সিক্ষত সাফল্য ছুঁতে সহায়তা করে। তবে বিষয়টি অনেকেই মনে রাখেন না। অনুরাগীদের অবজ্ঞা করেন এমন উদাহরণও আছে। এখানেই ব্যতিক্রম অ্যাওয়ার্ড রানি বলে পরিচিত জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী টেইলর সুইফট। এক ভক্তের মৃত্যুতে কনসার্ট বাতিল করে নজির স্থাপন করেছেন তিনি। ঘটনাটি নভেম্বরের। রিও ডি জেনিরোতে তার ইরাস টুরের একটি কনসার্ট অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা শুরু হতে যাওয়ার কিছুক্ষণ আগে অকস্মাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় বেনেভিডেস নামের এক ভক্তের। কনসার্টস্থলেই হৃদরোগে আক্রান্ত হন তিনি। পরে তাকে তড়িঘড়ি করে সালগাদো ফিলহো মিউনিসিপাল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালেই মৃত্যু হয় তার।

এ ঘটনা মনে দাগ কাটে টেইলরের। বেদনার্ত গায়িকা কনসার্ট স্থগিত করে দেন। বিষয়টি নিয়ে সামাজিকমাধ্যমেও লিখেছেন তিনি। টেইলরের ভাষ্য, ‘আমার অনুষ্ঠানের রাতে একজন ভক্তকে হারিয়েছি আমি। আমি প্রকাশ করতে পারছি না যে এই ঘটনায় কতটা বিধ্বস্ত হয়েছি। যদিও তার সম্পর্কে আমার কাছে খুব একটা তথ্য নেই, তবে সে অবিশ্বাস্য সুন্দর এবং কম বয়সী ছিল।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি মঞ্চ থেকে এ বিষয়ে কথা বলতে পারব না কারণ আমি যখন এই বিষয়ে কথা বলার চেষ্টা করি তখন আমি প্রচণ্ড শোক অনুভব করি। আমি এখন বলতে চাই আমি এই ক্ষতি গভীরভাবে অনুভব করছি এবং তার পরিবার ও বন্ধুদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। যখন আমরা এই সফরটি ব্রাজিলে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম তখন আমি ভাবিনি এমন কিছু ঘটবে। কনসার্ট বাতিল হওয়া নিয়ে তিনি লেখেন, আমার ভক্ত, সহকর্মী এবং ক্রুদের নিরাপত্তা সবার আগে থাকতে হবে এবং সব সময়ই থাকবে।

যেভাবে ৪৫-এ ফিরলেন অনিল কাপুর

বয়সের গতিরোধ করা সম্ভব নয়। তবে প্রভাব দমিয়ে রাখা সম্ভব। তারকাদের হরহামেশা খেলা করতে দেখা যায় বয়সের সঙ্গে। তবে একটা বয়সে এসে এই কাজটি কেউ করতে চান না। কেননা ওতে খাদ্যাভ্যাস নিয়ত্রণ, কঠোর শরীরচর্চাসহ আর কিছু নিয়ম পালন করতে হয় যা বেশি বয়সীদের জন্যে কষ্টের। এবার সেই কাজটি করেছেন বলিউড তারকা অনিল কাপুর। ৬৫ বছরের অনিল এবার অভিনয় করেছেন ৪৫ বছর বয়সী এক চরিত্রে। মুক্তি পেতে যাওয়া ‘ফাইটার’ ছবিতে অনিলকে দেখা যাবে ৪৫ বছর বয়সী এক বিমান কর্মকর্তার চরিত্রে। এদিকে ১ ডিসেম্বর মুক্তি পেয়েছে ‘অ্যানিমেল’ সিনেমা। সেখানে অনিলকে দেখা গেছে ৬৫ বছরের প্রৌঢ়র চরিত্রে। অতএব বুঝতেই পারছেন সমস্যা কোথায় হয়েছে। খুব কাছাকাছি সময়ে ওজন বাড়াতে ও কমাতে হয়েছে সোনমের বাবাকে। নিশ্চয়ই প্রশ্ন জাগে ৬৬ তে দাঁড়িয়ে তিনি কীভাবে করলেন কাজটি। তার মুখ থেকেই শোনা যাক।

আগে যা ছিল টুইটার এখন তা এক্স। সেখানে অনিল লিখেছেন, একেবারেই বিপরীতধর্মী দুই চরিত্রে অভিনয়ের জন্য গত বছর আমাকে অনেক চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। যেটা একই সঙ্গে গৌরবেরও। আমি ‘অ্যানিমেল’-এ ৬৫ বছর বয়সী বলবীর চরিত্রে অভিনয় করেছি, আবার এই আমিই ‘ফাইটার’ সিনেমায় ৪৫ বছর বয়সী বিমানবাহিনী কর্মকর্তা রকি হয়েছি।

এদিকে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে এই বডি ট্রান্সফর্মেশনের জন্য বেশ কিছু নিয়ম মানতে হয়েছে তাকে। চলতে হয়েছে পুষ্টিবিদের পরামর্শ অনুযায়ী। কঠোর ডায়েট করতে হয়েছে। খাদ্য তালিকায় রাখতে হয়েছে আঁশযুক্ত খাবার, তাজা ফল ও শাক সবজি। পাশাপাশি অল্প প্রোটিনের ওপর থাকতে হয়েছে। এ সময় অনিলকে এড়িয়ে চলতে হয়েছে বাইরের খাবার, ফাস্টফুড। নির্ভর করতে হয়েছে ঘরে তৈরি খাবারের ওপর। এছাড়া পরিমিত ঘুমের পাশাপাশি চিন্তামুক্ত থাকতে করতে হয়েছে ধ্যান। এছাড়া কার্ডিওভাসকুলার ব্যায়াম, ট্রেনিং, যোগ ব্যায়ামসহ অনেক রুটিন মেনে চলতে হয়েছে।

নীলচক্রে মন্দিরা-শুভ

ঢালিউডে আরিফিন শুভর স্থানটি সবার উঁচুতে না হলেও অন্যদের চেয়ে আলাদা। তার সিনেমাগুলো হয় মানসম্পন্ন। এজন্য তাকে স্যাক্রিফাইস করতে হয়। স্রোতের জোয়ারে না ভেসে বেছে বেছে ছবিতে যুক্ত হতে। ক্যারিয়ারের দীর্ঘ সময় ধরে এই ক্যালকুলেটিভ চলাফেরার পুরস্কারই হয়তো ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ সিনেমা। যা তাকে গোটা বিশ্বের বাংলা ভাষাভাষীদের মাঝে তুলে ধরেছে বঙ্গবন্ধুর চরিত্রে। তিনি পর্দার মুজিব। এদিকে শুভর এসব বৈশিষ্ট্য অনেক তরুণীর হৃদয়েই নিরবে ভূকম্পন তোলে। তাদের একজনের কথা বলি। মেয়েটি ছোটবেলা থেকেই পছন্দ করতেন আরিফিন শুভকে। রীতিমতো ক্রাশ ছিল যাকে বলে। ইচ্ছা ছিল কোনদিন সুযোগ পেলে ক্রাশের সঙ্গে পর্দায় রোমান্স করবেন। কে জানত কথাটি স্রষ্টারও মনে ধরবে। তাই হয়তো এবার ক্রাশের সঙ্গেই জুটি বাঁধছেন তরুণীটি।

বলছিলাম মন্দিরা চক্রবর্তীর কথা। এরই মধ্যে সুরভী ছড়িয়েছেন সৌন্দর্য ও অভিনয়ের। হয়েছেন গুণী নির্মাতা গিয়াসউদ্দিন সেলিমের ‘কাজল রেখা’র নায়িকা। মুক্তি পেতে যাওয়া এ ছবিতে ‘পরাণ’খ্যাত শরিফুল রাজের সঙ্গে অভিনয় করেছেন তিনি। সেই জার্নি শেষ করেই আরিফিন শুভর সঙ্গে বাঁধছেন ‘নীলচক্র’। এ ছবিতে যুক্ত হয়েই শুভকে নিয়ে নিজের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তিনি। তাকে ছেলেবেলার ক্রাশ উল্লেখ করে বলেছেন, ‘ছোটবেলা থেকে আরিফিন শুভকে আমার ভালো লাগে। একটা সময় তিনি আমার ক্রাশ ছিলেন। সেই ক্রাশের সঙ্গে এবার কাজ করতে যাচ্ছি। সত্যিই অন্যরকম ভালো লাগা কাজ করছে।’ এদিকে মন্দিরা বলেছেন শুভকে নিয়ে আর শুভ বলেছেন ছবিটি নিয়ে। তার ভাষ্য, ‘দর্শক সমসাময়িক একটি গল্প দেখতে পাবেন। গল্পের প্যাটার্ন ডার্ক, সঙ্গে আরও কিছু আছে।’

‘নীলচক্র’র গল্প কিন্তু সরলরৈখিক নয়। থ্রিলারধর্মী সিনেমা হতে যাচ্ছে এটি। ছবির নির্মাতা মিঠু খান। সামাজিকমাধ্যমে পোস্টার প্রকাশের মাধ্যমে তিনিই প্রথম জানান ছবির কথা। তবে শুভর মতোই গল্প খোলাসা করেননি। কেননা পুরো গল্পটা পর্দায়ই বলতে চান তিনি। তবে কিছুটা ইঙ্গিতে সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেছেন, ‘দর্শক সমসাময়িক একটি গল্প দেখতে পাবেন। গল্পের প্যাটার্ন ডার্ক, সঙ্গে আরও কিছু আছে। আপাতত এর বেশি কিছু না বলি। সব ঠিক থাকলে পর্দায় পুরোপুরি বলা হবে।’

অতএব মন্দিরা শুভর ‘নীলচক্র’র রহস্য জানতে সিনেমাপ্রেমীদের অপেক্ষা করতে হবে মুক্তি পর্যন্ত। বলে রাখা ভালো, ছবিটির প্রযোজনা সংস্থা ফিল্ম ফায়োস প্রোডাকশন। এতে শুভ-মন্দিরা ছাড়াও অভিনয় করছেন ফজলুর রহমান বাবু, দীপান্বিতা মার্টিন, শাহেদ আলী, টাইগার রবি, মনির আহমেদ শাকিল, প্রিয়ন্তী ঊর্বী, মাসুম রেজওয়ান, ডলার প্রমুখ।

লেখাটির পিডিএফ দেখতে চাইলে ক্লিক করুন: ফ্রেমবন্দি

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

five − 1 =