ভারত ও চীন নিয়ে শেখ হাসিনার প্রশংসায় ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ভিত্তিতে ভারত ও চীনকে একইসঙ্গে পাশে নিয়ে পররাষ্ট্রনীতিতে শেখ হাসিনা অভূতপূর্ব সাফল্য দেখিয়েছেন বলে মনে করছে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

ভারতের প্রভাবশালী এই সংবাদমাধ্যম লিখেছে, স্বাধীনতার ৫২ বছরের মধ্যেই অর্থনীতিতে ঈর্ষীয় পরিবর্তন এনেছে বাংলাদেশ। এ কারণে বাংলাদেশ চলে এসেছে দক্ষিণ এশিয়া ও ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের বড় শক্তিগুলোর আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে।

বিশ্লেষণধর্মী ওই লেখার শিরোনাম দেওয়া হয়েছে, ‘বাংলাদেশে নির্বাচন: কেন শেখ হাসিনাকে ভারত ও চীন উভয়ই সমর্থন দিচ্ছে’।

এতে তুলে ধরা হয়েছে, দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতির অন্যতম নিয়ামক হয়ে উঠেছে বাংলাদেশের নির্বাচন। ভারত ও চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়ন আন্তর্জাতিক মহলেও আলোচিত হচ্ছে।

ওই লেখায় বলা হয়েছে, ভারতের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক জন্মলগ্ন থেকেই এবং এ সম্পর্ক ঐতিহাসিক। অন্যদিকে, বর্তমান সরকারের আমলে চীনের সাথে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বেড়েছে বাংলাদেশের। বাংলাদেশের বেশিরভাগ মেগা প্রকল্পগুলোর অংশীদার চীন। তাতে অবকাঠামোগত উন্নয়নে এগিয়েছে বাংলাদেশ।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, কৌশলগত নীতির ওপরে জাতীয় স্বার্থকে স্থান দিয়েছেন শেখ হাসিনা। আর তাই বিপরীতমুখী দুই পরাশক্তির সাথে সুসম্পর্ক রেখেই দেশের পররাষ্ট্রনীতিকে পরিচালনা করতে পারছেন তিনি।

আর্থ-সামাজিক অংশীদারিত্বের পাশাপাশি বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা খাতেও ভারত ও চীনের অবদান প্রায় সমান বলে উল্লেখ করেছে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস। সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, চীনা অস্ত্রের দ্বিতীয় বৃহত্তম আমদানি কারক বাংলাদেশ। ভারতও বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা খাতে সহায়তার জন্য ৫০০ মিলিয়ন ডলার দিয়েছে।

বড় আঞ্চলিক শক্তিগুলোর সাথে সহযোগিতার মাধ্যমে ছোট প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর আত্ম-ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে শেখ হাসিনা একটি উদাহরণ তৈরি করেছে বলেও ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস লিখেছে।

এতে আরো বলা হয়েছে, বাংলাদেশে বড় অঙ্কের বিনিয়োগ আছে ভারত ও চীনের। আর তাই বাংলাদেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার বিষয়টিও এই দুই দেশের কাছে বেশ গুরুত্বপূর্ণ।

এ কারণে এবারের নির্বাচনও এশিয়ার দুই পরাশক্তির কাছেই আলাদা গুরুত্ব বহন করছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

একাত্তর টিভি

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

three × five =