ভারতের বিপক্ষে নেপালের সংগ্রহ ২৩০ রান 

ওপেনার আসিফ শেখের হাফ-সেঞ্চুরি ও লোয়ার অর্ডার ব্যাটার সোমপাল কামির দায়িত্বশীল ইনিংসের সুবাদে এশিয়া কাপে ‘এ’ গ্রুপের শেষ ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে প্রথমে ব্যাট করে ৪৮ দশমিক ২ ওভারে ২৩০ রানে অলআউট হয়েছে নেপাল। আসিফ সর্বোচ্চ ৫৮ রান করেন। আট নম্বরে নেমে ৪৮ রানের ইনিংস খেলেন কামি।

পাল্লেকেলে স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্বান্ত নেন ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা। ব্যাট হাতে নামা নেপাল  ইনিংসের প্রথম পাঁচ ওভারে তিনটি ক্যাচ ফেলে ভারতীয় ফিল্ডাররা। এই সুযোগে দলকে দারুন সূচনা এনে দেন  দুই ওপেনার আসিফ-কুশল ভুর্টেল। ৫৯ বলে ৬৫ রানের সূচনা গড়েন তারা।

দশম ওভারে ভুর্টেলকে ৩৮ রানে শিকার করে ভারতকে প্রথম সাফল্য এনে দেন পেসার শারদুল ঠাকুর। ভুর্টেলের বিদায়ের পর স্পিনার রবীন্দ্র জাদেজার ঘুর্ণিতে পড়ে ১০১ রানে চতুর্থ উইকেট হারায় নেপাল। এর মধ্যে  ৩ উইকেট নেন জাদেজা।

সতীর্থরা ফিরলেও অন্যপ্রান্তে দলের রানের চাকা সচল রাখেন আসিফ। ২৮তম ওভারে ওয়ানডে ক্যারিয়ারে দশম হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ন করতে ৮৮ বল খেলেন তিনি। হাফ-সেঞ্চুরির পর ইনিংস বড় করতে পারেননি আসিফ। ৩০তম ওভারে দলীয় ১৩২ রানে আসিফকে প্যাভিলিয়নে  ফেরান  পেসার মোহাম্মদ সিরাজ। ৫৮ রানের ইনিংস খেলার পথে ৯৭ বল মোকাবেলায় ৮টি বাউন্ডারি  আসিফ।

১৪৪ রানে ষষ্ঠ উইকেট পতন হলে দ্রুত গুটিয়ে যাবার শঙ্কায় পড়ে নেপাল। কিন্তু সপ্তম উইকেটে ৫০ রানের জুটি গড়ে নেপালের রান ২শর কাছে নিয়ে যান কামি ও দিপেন্দ্র সিং আইরি। ব্যক্তিগত ২৯ রানে আইরিকে শিকার করে ভারতকে ব্রেক-থ্রু এনে দেন হার্ডিক পান্ডিয়া।

এরপর নেপালের রান ২শ পার করেন কামি। হাফ-সেঞ্চুরির দোড়গোড়ায় গিয়ে ৪৮তম ওভারে অষ্টম ব্যাটার হিসেবে মোহাম্মদ সামির বলে আউট হন থামেন তিনি। ১টি চার ও ২টি ছক্কায় ৫৬ বলে ৪৮ রান করেন কামি। শেষ পর্যন্ত ১০ বল বাকী থাকতে ২৩০ রানে অলআউট হলেও সম্মানজনক সংগ্রহ পায় নেপাল। ভারতের জাদেজা ও সিরাজ ৩টি করে উইকেট নেন।

বাসস

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

eighteen − seven =