ভুল কৌশলে বিসিবি এখন বিপাকে

সালেক সুফী

এশিয়া কাপ ঘনিয়ে আসছে।  ঠিক একমাস পরেই শুরু হবে এশিয়া কাপ পাকিস্তান এবং শ্রীলংকায়।  বাংলাদেশ কিন্তু এখনো নিশ্চিত না তামিম ইকবাল ম্যাচ ফিট হয়ে দলে ফিরবে কি না।  বিশ্রাম দেওয়ার অজুহাতে দলের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় অভিজ্ঞ মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ কিভাবে দলে ফিরবে?

হেড কোচ হাতুরাসিংহের সঙ্গে তামিম ইকবাল বা মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের মানসিক দূরত্ব কমানোর বিষয়ে অনেক আগেই বিসিবির ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত ছিল। যদি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শে তামিমকে অস্ত্রপ্রচার করতে হয় তাহলে বাংলাদেশকে এশিয়া কাপ, বিশ্বকাপের জন্য নতুন অধিনায়ক নির্বাচন করতে হবে।

আমার মনে হয় না গুরুত্বপূর্ণ এই দুই বৈষয়িক টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ লিটনকে গুরু দায়িত্ব দেওয়া ঠিক হবে। সেই ক্ষেত্রে সেরা বিকল্প হবে সাকিব আল হাসান। আর তামিম ফিরে আসলে বিসিবি অবশ্যই হেড কোচ এবং অধিনায়কের দায়িত্বের পরিসীমা সুস্পষ্ট ভাবে নির্ধারণ করে দিতে হবে।

সবাই জানে বেশ কিছু দিন ধরেই দলের সিনিয়র খেলোয়াড়দের কারো কারো সাথে বিসিবির নীতি নির্ধারকদের বনিবনা হচ্ছে না। সিনিয়র বিসিবি কর্মকর্তার নানা কথায় খেলোয়াড়দের প্রতি তুচ্ছ তাচ্ছিল্য প্রদর্শন করা হয়েছে।

জানিনা হেড কোচ হিসাবে বিতর্কিত হাতুরা সিংহকে ফিরিয়ে আনার আগে সিনিয়র খেলোয়াড়দের মতামত নেওয়া হয়েছিল কি না? কোন কৌশলে দলের অটোমেটিক চয়েস মাহমুদুল্লাহ রিয়াদকে একের পর এক সিরিজ বিশ্রামের অজুহাতে অবজ্ঞা করা হলো? এই সময়ে আন্তর্জাতিক সিরিজ খেলে রিয়াদ নিজেকে আরো শাণিত করতে পারতো।

এশিয়া কাপে ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান সবাই কিন্তু তুখোড় প্রতিদ্বন্দ্বী।  অথচ বাংলাদেশ এখনো জানে না কে হবে অধিনায়ক, কি হবে মূল স্কোয়াড ? এই সুযোগে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা বিশেষজ্ঞরা নানা ধরনের মন্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার করে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করছে। আমি এই ধরনের পরিস্থিতির জন্য বিসিবিকেই দায়ী করবো।

ক্রিকেট খেলার একটা পর্যায়ে দক্ষতা, অভিজ্ঞতা চাপিয়ে মানসিক স্থিরতা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায়। বাংলাদেশ প্রস্তুত থাকলে কিন্তু দুটি টুর্নামেন্টেই  ভালো কিছু অর্জনের সুযোগ ছিল। কিন্তু বিসিবির ভুল কৌশলের কারণে এখনো বাংলাদেশ পুরোপুরি প্রস্তুত নয়।

সালেক সুফী: আন্তর্জাতিক ক্রীড়া বিশ্লেষক

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

seventeen − 12 =