সালেক সুফী: তরুণ উদীয়মান খেলোয়াড়পুষ্ট দল নিয়ে সাকিবের নেতৃত্বে টাইগার স্কোয়াড কাল ৯ মার্চ থেকে তিন ম্যাচ টি২০ সিরিজ শুরু করবে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন তুখোড় ইংল্যান্ড দলের বিরুদ্ধে। হারানোর কিছু নেই। এমনিতেই গত দুই টি২০ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের অর্জন বলতে কিছু নেই। দলের ডাই হার্ট অনুরাগীও স্বপ্ন দেখতে সাহস পায় না বাংলাদেশকে নিয়ে। কিন্তু টি২০ এমন খেলা একটি ভালো ওভার, একটি ভালো জুটি, একটি ভালো বোলিং স্পেল খেলার খোলনলচে পাল্টে দিতে পারে।
তবে ইংল্যান্ড দল কট্টর পেশাদার। ওরা প্রতিটি পা ফেলে অনেক হিসাব কষে। ওদের বিরুদ্ধে ভালো করতে হলে বাংলাদেশে পরিকল্পনা করে এগুতে হবে। সাকিবকে ম্যাচ পরিস্থিতি বিবেচনায় এনে তাৎক্ষণিক কিছু আউট অফ দি বক্স সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
ব্যাটিং অর্ডার পরিবর্তন, সঠিক বোলারকে নিশানার ব্যাটসম্যানের বিরুদ্ধে ব্যবহারের সঠিক সিদ্ধান্ত নিলে বাংলাদেশ অন্তত লড়াই করতে পারবে। ঢাকায় শেরেবাংলার কথা বলছি না সুযোগ দিতে হবে। কাল প্রথম ম্যাচে। শেষ ওডিআই জিতে মোমেন্টাম কিন্তু বাংলাদেশের সাথে। কিছুটা হলেও হকচকিয়ে গেছে সফরকারীরা।
বাংলাদেশ দল: সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), লিটন কুমার দাস, নাজমুল হোসেইন, মেহেদী হাসান মিরাজ, মুস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদ, নাসুম আহমেদ, নুরুল হাসান, শামীম হোসেইন, রনি তালুকদার , তৌহিদ হৃদয়, রেজাউর রহমান রাজা এবং তানভীর ইসলাম।
ইংল্যান্ড দল: জস বাটলার, ফিল সল্ট, জোফরা আর্চার, মার্ক উড, ডেভিড মালান, মঈন আলী, স্যাম কুরান, বেন ডাকেট, ক্রিস জর্দান, আদিল রাশিদ, রেহান আহমেদ, রিস টোপলি এবং ক্রিস ওকস।
বাংলাদেশ দলে অভিজ্ঞ তামিম, মুশফিক নেই। দুজনই ফরমেট থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে অবসর ঘোষণা করেছে। মাহমুদুল্লাহকে বিবেচনা করা হয়নি। ইয়াসির রাব্বি বা শরিফুল নেই। ২০২৩ বিপিএল ক্রমাগত ভালো খেলেই দলে প্রথম বারের মতো সুযোগ পেয়েছে তৌহিদ হৃদয়, রেজাউর রহমান রাজা আর তানভীর ইসলাম।
অভিজ্ঞ রনি তালুকদারকেও ফেরানো হয়েছে দলে। বিপিএলে ভালো ব্যাটিং করে ফিরেছে দলে ভালো ফিনিশার খ্যাত শামীম। সুযোগ হয়নি ভালো খেলেও একসময়ের অপরিহার্য খেলোয়াড় নাসির হোসেনের। দলের ব্যাটিং কিছুটা ক্ষীণ।
আমি মনে করি দলটি হওয়া উচিত: লিটন, হৃদয়, সাকিব, শান্ত, রনি, নুরুল হাসান, মেরাজ, নাসুম/তানভীর, তাসকিন, হাসান মাহমুদ এবং মুস্তাফিজ। টি ২০ ফরম্যাট। তাই সাকিব ৩ নম্বরে খেলাই যথার্থ হবে। দেখতে হবে ফিরে এসে ব্যাট হাতে হৃদয়ের অভিষেক আর রনি তালুকদারের ফিরে আসা কেমন হয়।
বাংলাদেশ বোলিং অনেকটাই নির্ভর করবে তাসকিন, সাকিব, মিরাজ, নাসুমের উপর। আশা করতেই পারি জ্বলে উঠবে মুস্তাফিজ। শামীমকে হয়তো সুযোগ দেওয়া হবে দুই একটি ম্যাচে। বাংলাদেশকে অন্তত ১৬০ করতে হবে ম্যাচগুলোতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হলে। কাজটি কিন্তু অনেক চ্যালেঞ্জিং হবে। ব্যাটিং, বোলিংয়ে তুখোড়, খেলায় কট্টর পেশাদার ইংল্যান্ড দলকে হারাতে হলে নিজেদের সেরাটা দিতেই হবে বাংলাদেশকে।
ইংল্যান্ড ব্যাটিং-বোলিং অত্যন্ত সমৃদ্ধ। ব্যাটিংযে কয়েকজন পরীক্ষিত থাকলেও তুখোড় বাটলার, মালান, কুরান, মঈন আলী, সল্ট যেকোনো দুই জন খেলার ধারা পাল্টে দিতে পারে। ব্যাটিং গভীরতা আছে ১ থেকে ১১। আর্চার। উড, জর্ডান, কুরান, ওকস কাকে রেখে কাকে খেলবে ওরা। মঈন, রশিদ, রেহান সামলাবে স্পিন আক্রমণ। বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জ সমাসন্ন।