ফুয়াদ আল মুক্তাদির বাংলাদেশের একজন সুরকার যিনি ফুয়াদ নামে পরিচিত ।
১৯৮৮ সালে আট বছর বয়সে তিনি বাংলাদেশ ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছিলেন এবং সেখানে গিয়ে জুনিয়র হাই স্কুলে ভর্তি হন । তিনি সেখানে সবসময় সঙ্গীতের সাথে ছিলেন এবং অবশেষে ১৯৯৩ সালে জেফিয়ার নামে একটি ব্যান্ড গঠন করেন রিচার্ড মধু, হিমেল, সুমন এবং ফ্রেড এর সাথে । তারা বেশ কিছু ট্র্যাক রেকর্ড করেন এবং ১৯৯৯ সালে ব্যান্ড ছেড়ে দেয়ার আগে তারা নিউ ইয়র্ক অধিবাসীদের বাংলাদেশী সম্প্রদায়ের মধ্যে মায়া ১ এবং ২ অ্যালবাম প্রকাশ করেন ।
অবসকিউর ব্যান্ডের কিবোর্ডইস্ট সোহেল আজিজ এর সাহায্য নিয়ে অ্যালবামটির কিছু রিমিক্স এবং মূল গান সহ ১৪ টি ট্রাক প্রকাশ করেন । তার সঙ্গীত পরিচালনায় প্রকাশ পায় লিটুর শিলহতি, আনিলা নায চৌধুরীর “ঝিলমিল”, আরমিনের “ভ্রমর কোইও”, এবং কিছু রিমিক্স ট্রাক “মন চাইলে মন” ওই অ্যালবাম এর কিছু গান ।
ফুয়াদ ভেরিয়েসন নং ২৫ তৈরি করেন ২০০৬ সালে, পরবর্তীতে ২০০৬ সালে আরও দুইটা গান তাতে যুক্ত হয় এবং সিডিটা আবার প্রকাশ পায় ভেরিয়েসন নং ২৫.২ এ একসাথে জি সিরিজ এবং আরশি এর ব্যানারে । ওই অ্যালবাম এর কিছু ট্রাক হল পুনাম এর “নবীনা”, রাজীব এবং ফুয়াদের “নিটোল পায়ে”, এবং বাপ্পা মজুমদারের “কোন আশ্রয়”।
২০০৭ সালে ফুয়াদের বন্ন অ্যালবামটি পুনরায় মুক্তি পায় জি সিরিজ এর ব্যানারে। ওই অ্যালবাম এর কিছু ট্রাক ছিল উপলের “তোর জন্য আমি বন্ন”, ফুয়াদ এবং বিশপের “বন্ন র্যপ”,ফুয়াদ এর “জংলী”, এবং সরাসরি “দ্যা দুষ্ট নাম্বার”,নিটল পায়ে।
তিনি সলো এবং মিশ্র অ্যালবামে সেরিন,আনিলা, তপু এবং সুমনের সাথে কাজ করেছেন ।
অনেক জনপ্রিয় গানের সুরকার ও সংগীত পরিচালক ফুয়াদ আল মুক্তাদির । সংগীতাঙ্গনে পার করে ফেলেছেন প্রায় পাঁচ বছর । অডিওর পর চলচ্চিত্রের জন্যও গান তৈরি করেছেন তিনি । তবে এবারই প্রথম চলচ্চিত্রের ব্যাকগ্রাউন্ড করেছেন তিনি । এ চলচ্চিত্রের নাম ‘লালটিপ’ । ছবিটি রচনা ও পরিচালনায় রয়েছেন স্বপন আহমেদ।
সঙ্গীতপ্রতিভা অন্বেষণের নতুন আয়োজন ‘রবি সেরা প্রতিভা’-তে বিচারক হিসেবে থাকছেন জনপ্রিয় সঙ্গীত পরিচালক ফুয়াদ আল মুক্তাদির । চূড়ান্ত পর্বে বিজয়ী সেরা আটজন ফুয়াদের পরবর্তী অ্যালবামে গান গাওয়ার সুযোগ পাবেন ।