মুগ্ধতা প্রকাশে নায়িকাকে অমিতাভের চিঠি

একটা সময় ছিল চিঠি লিখে মনের ভাব প্রকাশ করত মানুষ। পাঠিয়ে দিতে দূরে থাকা স্বজনের উদ্দেশে। শুধু কাছের মানুষকেই না, প্রিয় ব্যক্তিত্বদের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করতেও অনুরাগী আশ্রয় নিত চিঠির। পোস্ট করত প্রিয় ঠিকানায়। ওই সময়ের তারকাদের ডাকবাক্স ভরে থাকত ভক্তদের ভালোবাসাময় চিঠিতে। বলিউডের মহাতারকা অমিতাভ বচ্চনেরও এরকম অভিজ্ঞতা রয়েছে। তবে এবার যেটা ঘটেছে তা যারপরনাই অবাক করে দেয়। বি-টাউনের বিগ বি এক অভিনেত্রীকে চিঠি লিখে প্রকাশ করেছেন মুগ্ধতা। হ্যাঁ বিশ্বায়নের এই যুগে প্রযুক্তি মানুষকে নিয়ে এসেছে খুব কাছে। মুহূর্তেই সাত সমুদ্রের ওপারে থাকা মানুষের সঙ্গে ফোনে সংযুক্ত হওয়া যায়। অমিতাভ চাইলে সেটা করতে পারতেন। কিন্তু ডন ভাব প্রকাশের জন্য বেছে নিয়েছেন চিঠি লেখাকে।

সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে অভিষেক বচ্চনের ছবি ‘ঘুমার’। এতে তার বিপরীতে আছেন সাইয়ামি খের। ছেলের নায়িকার অভিনয় রীতিমতো মুগ্ধ করেছে অমিতাভকে। সেই মুগ্ধতা জানাতেই সাইয়ামির উদ্দেশে চিঠি লিখেছেন বর্ষীয়ান এ অভিনেতা। এদিকে সর্বভারতীয় মহাতারকার চিঠি পেয়ে উচ্ছ্বাস যেন বাঁধ ভেঙেছে সাইয়ামির। সামাজিকমাধ্যমে এই উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন তিনি। অমিতাভ স্বাক্ষরিত চিঠিতে লেখা, ‘ঘুমারে আপনার দৃঢ়তা, আপনার আন্তরিকতা, আপনার পারফরম্যান্স এবং আপনার উপস্থিতির উজ্জ্বলতার জন্য প্রশংসা জানাই।’

চিঠির ছবি নেট দুনিয়ায় প্রকাশ করে এক দীর্ঘ পোস্ট দিয়েছেন সাইয়ামি। তিনি লিখেছেন, আমার মনে আছে ‘অমিতাভের জন্য খুঁজছি’ নামে একটি শর্ট ফিল্ম দেখেছিলাম। সেখানে দেখেছি কীভাবে দৃষ্টি প্রতিবন্ধীরা এই আইকনকে উপলব্ধি করে। তার ট্রেডমার্ক ব্যারিটোন থেকে তার জুতার শব্দ বা তার পারফিউমের ঘ্রাণ পর্যন্ত উপলদ্ধি করে। আমরা মিস্টার বচ্চনকে দেখি না, কিন্তু এই সুপার স্টারের প্রভাব অনুভব করতে পারি।

এখানেই থামেননি সামাইয়া। তিনি জানিয়েছেন অমিতাভের শো ‘কৌন বানেগা ক্রোড়পতি’ তার পরিবারের সবার পছন্দের। মা-বাবা, দাদা-দাদির সঙ্গে টিভির সামনে এই অনুষ্ঠানটি দেখতে বসলে তিন প্রজন্মের বয়সের ব্যবধান ঘুচে যায়। বাড়ির সবাই মিলে উপভোগ করেন বিগ-বি সঞ্চালিত শোটি। সেই মানুষটির কাছ থেকে প্রশংসায় ভরা চিঠি পেয়ে সামাইয়ার সময়টা যেন সুখের সাগরে ভাসছে।

ঘুমার ছবিটি একজন নারী ক্রিকেটারের গল্প নিয়ে তৈরি। চরিত্রটিতে অভিনয় করেছেন সাইয়ামি। এ ছবিতে কোচের ভূমিকায় দেখা গেছে অভিষেককে। মুক্তির আগে থেকেই ছেলের ছবি নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন অমিতাভ। দিয়েছিলেন পূজাও। আর মুক্তি পেতেই ছেলের ছবির নায়িকাকে চিঠি লিখে জানিয়েছেন মুগ্ধতা। বাল্কি পরিচালিত এ ছবির একটি ছোট্ট চরিত্রে অভিনয়ও করেছেন অমিতাভ। আরও অভিনয় করেছেন শাবানা আজমি, অঙ্গদ বেদী প্রমুখ।

 

টেইলর সুইফটের কনসার্টে ২ বিলিয়ন ডলারের টিকিট বিক্রি

মার্কিন পপ তারকা টেইলর সুইফট যেন এক উন্মাদনার নাম। বিশ্বজোড়া অনুরাগীর অভাব নেই এ গায়িকার। তার কনসার্ট মানেই ভক্তদের উপচে পড়া ভিড়। তবে এবার যা হলো তা যেন এক ইতিহাস! তার একটি কনসার্টে দুই বিলিয়ন ডলারের টিকিট বিক্রি হয়েছে। যা এই গায়িকার জনপ্রিয়তার এক অনন্য নজীর সৃষ্টি করেছে। নিজের মিউজিক্যাল ট্যুর এরাসের একটি কনসার্টে এ ঘটনা ঘটেছে। ১৭ মার্চ শুরু হয়েছে টেইলরের মিউজিক্যাল ট্যুর এরাস। প্রায় দেড় শ কনসার্টের পরিকল্পনা নিয়ে সাজানো হয়েছে এই ট্যুর। আমেরিকা, ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া ও এশিয়ায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে কনসার্টগুলো। এরইমধ্যে বেশকিছু কনসার্ট শেষ করেছেন গায়িকা। বিপুল পরিমাণ দর্শকের অংশগ্রহণ ঘটেছে সেসবে। এদিকে টেইলরের আগামী কনসার্টগুলো দেখতেও মুখিয়ে আছে তার অনুরাগীরা। অগ্রীম টিকিট বিক্রির ধুম যেন তাই বলছে। সুইফটের কনসার্টের টিকিট বিক্রি হচ্ছে মুড়ির মতো।

বিষয়টি নিয়ে গবেষণা প্রতিষ্ঠান কোয়েশ্চেনপ্রোর মতে এরাস কনসার্ট ট্যুরে কেবল উত্তর আমেরিকায় টিকিট বিক্রি থেকেই ২ দশমিক ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আসতে পারে। যার ফলে এটি হতে যাচ্ছে সংগীতের ইতিহাসে সর্বোচ্চ কালেকশন করা কনসার্ট ট্যুর। গবেষণা প্রতিষ্ঠানটিওর বরাত দিয়ে খবরটি জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা সিএনএন।

চলুন তাহলে দেখে নেই কনসার্টের আয়ের হিসাব। ১৪৬টি কনসার্টের লক্ষ্যে নেমেছেন টেইলর। এরমধ্যে ৬৮টি কনসার্টের আসর বসছে উত্তর আমেরিকায়। সম্পন্ন হওয়া কনসার্টগুলোতে টিকিটের মূল্য ছিল ৪৫৫ ডলার। গড়ে প্রত্যেক কনসার্টে উপস্থিত দর্শক শ্রোতার সংখ্যা ৭২ হাজার ৪৫৯ জন। উত্তর আমেরিকার ৬৮ কনসার্টের টিকিট বিক্রির পরিমাণ দাঁড়ায় ২ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি।

এদিকে প্রমাণ সংখ্যক এই টিকিট বিক্রি করে নিজের জনপ্রিয়তাই জানান দেননি টেইলর ভেঙেছেন পুরোনো রেকর্ড। এর আগে সর্বোচ্চ টিকিট বিক্রি হয়েছিল এল্টন জনের কনসার্টে। ২০১৮ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত উত্তর আমেরিকায় তার ‘ফেয়ারওয়েল ইয়োলো ব্রিক রোড’ ট্যুরে ৮৮৭ মিলিয়ন ডলারের টিকিট বিক্রি হয়। কিন্তু সে রেকর্ড ভেঙে দিতে বেশি সময় নিলেন না লাস্যময়ী টেইলর সুইফট।

জেমসের কনসার্ট, নিউ ইয়র্কে যানজট

দেশের আন্তর্জাতিক মানের রকস্টার মাহফুজ আনাম জেমস। ভালোবেসে অনুরাগীরা তাকে ‘গুরু’ বলে ডাকেন। দেশ-বিদেশে অসংখ্য অনুরাগী রয়েছে তার। এই গায়ক যেখানে গান ধরেন সেখানেই জনসমুদ্রে পরিণত হয়। সে হোক আমেরিকার জ্যামাইকায় কিংবা বাংলাদেশের শহর বা মফস্বলে। সম্প্রতি আবার বিষয়টি প্রমাণিত হলো। জেমসের গান শুনতে আসা শ্রোতাদের উপচে পড়া ভিড়ে যানজট লেগে গিয়েছিল মার্কিন মুলুকের রাস্তায়। ঘটনাটি গত জুনের। মাসের প্রথম রোববার জেমসের কনসার্ট ছিল নিউ ইয়র্কের জ্যামাইকার আমাজুরা হলে।

রাত নয়টায় মঞ্চে ওঠেন জেমস। দাড়ি গোঁফে মুখ ঢাকা নগরবাউল পরেছিলেন কালো টিশার্ট ও জিন্স। মাথায় শোভা পাচ্ছিল বেঁধে রাখা কাপড়। কাঁধে ঝোলানো গিটার। চিরচেনা রূপে গায়ককে দেখেই জোয়ার আসে দর্শকের মাঝে। গুরু গুরু ধ্বনিতে মুখরিত হয় চারপাশ। এদিন প্রিয় শিল্পীর গান শুনতে হলের ১৫শ আসন ভরে ওঠে কানায় কানায়। এছাড়া দাঁড়িয়ে ছিল শতশত মানুষ। এদিন দেশটির বিভিন্ন অঙ্গ রাজ্য থেকে ছুটে এসেছিল তার ভক্তরা। ফলে হল ছাপিয়ে ভক্তদের দীর্ঘ লাইন পড়ায় মুহূর্তেই জানযট লেগে যায় রাস্তায়। যা নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমশিম খেতে হয়েছিল সিকিউরিটি পুলিশকে।

গত মে মাসের শেষের দিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে দেশ ছাড়েন জেমস। আমেরিকায় এবার প্রথম গিটারের ঝংকার তোলেন নর্থ মিয়ামি বিচে আয়োজিত বৈশাখী মেলায়। কথা ছিল ১০টি শো’য়ের। কিন্তু প্রিয় তারকাকে দীর্ঘ পাঁচ বছর পর পেয়ে আমেরিকা প্রবাসীরা এত সহজে ছাড়তে চায়নি। আয়োজকরাও বসেন নড়েচড়ে। ফলে আসতে থাকে একের পর এক শো’র অনুরোধ। আজ মিশিগান তো কাল জ্যামাইকা। তাই আর সহসা ফেরা হয়নি। একমাস থাকার কথা থাকলেও প্রায় দুই মাস গান শুনিয়ে ২ আগস্ট দেশে ফেরেন নগরবাউল খ্যাত এ গায়ক।

লেখাটির পিডিএফ দেখতে চাইলে ক্লিক করুন: ফ্রেমবন্দি

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

fifteen − 13 =