মুরাসের আক্রমণে বিধ্বস্ত আবাহনী, চ্যালেঞ্জ লিগ থেকে বিদায়!

২৬ দিনের প্রস্তুতি, নিজেদের মাঠে খেলার বাড়তি আত্মবিশ্বাস-সবই মিলিয়ে আবাহনী লিমিটেড স্বপ্ন দেখেছিল এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের মূল পর্বে ওঠার। কিন্তু জাতীয় স্টেডিয়ামে আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যার সেই স্বপ্ন ভেঙে চুরমার করে দিল কিরগিজস্তানের মুরাস ইউনাইটেড। শুরু থেকেই প্রতিপক্ষের আক্রমণের সামনে কোণঠাসা হয়ে পড়ে মারুফুল হকের শিষ্যরা, শেষ পর্যন্ত ০-২ গোলের হারে প্লে-অফ থেকেই বিদায় নিতে হলো তাদের।

ম্যাচের ষষ্ঠ মিনিটেই সতীর্থের ক্রসে ডামি হয়ে যায় বল, ডান প্রান্তে পেয়ে যান ওলেহ মারচুক। তার প্লেসিং শট অল্পের জন্য পোস্টের বাইরে যায়। তিন মিনিট পর কোদজো চাবেলের জোরাল শট ফিরিয়ে দেন আবাহনীর গোলরক্ষক মিতুল মারমা। ১৮ মিনিটে মালির ফরোয়ার্ড সুলেমানে দিয়াবাতে একক প্রচেষ্টায় বক্সে ঢুকে শট নিলেও বল ক্রসবারের ওপর দিয়ে উড়ে যায়।

ম্যাচের প্রথমার্ধে মিতুলের দৃঢ়তায় গোল এড়ালেও মুরাসের ধারাবাহিক আক্রমণ থামানো যায়নি। পাল্টা আক্রমণ থেকে ২৩তম মিনিটে আল আমিন ও ৩২ মিনিটে ইব্রাহিম শট নিলেও তা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।

বিরতির পরই ভেঙে যায় আবাহনীর প্রতিরোধ। ৪৮তম মিনিটে আন্দ্রে বাতসুলার ক্রসে ফাঁকা জায়গায় হেডে গোল করেন আত আই জুমাসেভ। ৫২ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ হওয়ার সুযোগ হারালেও, যোগ করা সময়ে দ্বিতীয় গোল পেয়ে জয় নিশ্চিত করে মুরাস। ইয়াসিন খানের পাস ভুলভাবে ক্লিয়ার করতে গিয়ে বল জুমায়েভের পায়ে তুলে দেন কামরুল ইসলাম; জোরাল শটে মিতুলকে পরাস্ত করেন এই ফরোয়ার্ড।

২০১৯ সালে সর্বশেষ এএফসি কাপে গ্রুপ পর্ব খেলেছিল আবাহনী। এরপর করোনা বিরতি ও প্রতিযোগিতার কাঠামো পরিবর্তনের কারণে এএফসি আসরে আর অংশ নেয়নি। এবারের চ্যালেঞ্জ লিগে নিজেদের মাঠে শুরু করেও মাত্র দুই বছর আগে যাত্রা শুরু করা মুরাস ইউনাইটেডের কাছে হেরে হতাশা নিয়েই বিদায় নিতে হলো বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটিকে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

5 × 2 =