যুবরাজ খালেদ খানের জন্মদিন আজ

খালেদ খানের অভিনয় জীবনের হাতেখড়ি মঞ্চে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ছাত্রের মঞ্চে প্রথম নাটক নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়ের ‘দেওয়ান গাজীর কিসসা’, অনেক বছর পর্যন্ত এই নাটকের অনেকগুলো প্রদর্শনীতে অভিনয় করেছেন তিনি। আরো করেছেন গ্যালিলিও, নুরুলদীনের সারাজীবন, অচলায়তন- সহ বেশকিছু মঞ্চ নাটক, নির্দেশনাও দিয়েছেন। রক্তকরবীর ‘বিশু পাগলা’ করে তো আজীবন মঞ্চপ্রেমীদের কাছে প্রিয় হয়ে থেকেছেন।

খালেদ খান নিঃসন্দেহে এক শক্তিমান অভিনেতা, সব ধরনের চরিত্রেই মানিয়ে নেয়ার প্রতিভা ছিল, কন্ঠস্বর ছিল অন্যদের চেয়ে আলাদা, দারুণ আবৃত্তি করতেন। তবে দুঃখের বিষয়, নতুন প্রজন্মের কাছে তিনি বেশ অচেনা। তিনি এখন আর বেঁচে নেই, অদেখা ভুবনে চলে গেছেন ২০১৩ সালে, তারও অনেক বছর আগ পর্যন্ত টিভিতে অনিয়মিতই ছিলেন, তাই নতুন প্রজন্ম তার নাটক সেভাবে দেখেনি। সিনেমাও করেছেন খুব কম, অথচ সিনেমার একজন দুর্দান্ত অভিনেতা হতে পারতেন তিনি, হোক সেটা খল থেকে নায়ক কিংবা বৈচিত্র্যময় চরিত্রে।

মঞ্চের একনিষ্ঠ কর্মী ছিলে, টিভিতেও রয়েছে কালজয়ী অভিনয়। মরনোত্তর একুশে পদক পেয়েছেন এ বছর।

খালেদ খানের ডাকনাম ছিল যুবরাজ, তার কাছের মানুষেরা এই নামেই ডাকতো। সত্যিই অভিনয় গুণে তিনি বাংলা নাটকের একজন যুবরাজ। শিল্পী মিতা হক তার স্ত্রী।

বর্নাঢ্য অভিনয় জীবনে আরো দেখা গেছে ফেরা, ওথেলো এবং ওথেলো, মফস্বল সংবাদ, শীতের পাখি, দক্ষিনের ঘর, মৃত্যু ও একটি প্রশ্ন সহ অসংখ্য নাটকে। সিনেমায় দেখা গেছে মাত্র দুইটি ছবিতে, ‘পোকামাকড়ের ঘর বসতি’ ছিল প্রথম সিনেমা, এর অনেকদিন পর অভিনয় করেন এনামুল করিম নির্ঝরের ‘আহা!’ সিনেমাতে।

 

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

5 × 5 =