বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের অধিনায়ক তিনি। দলের ব্যাটিং লাইনআপের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানও। সেই তামিম ইকবালই কিনা আসছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে সরিয়ে নিলেন নিজেকে! কেন আচমকা এই সিদ্ধান্ত?
দুয়ারে কড়া নাড়ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। সময় আর বাকি নেই দুই মাসও। এমনই এক সময়ে এল এই সিদ্ধান্ত।
ক্যারিয়ারের শুরুতে মারকাটারি ব্যাটিং দিয়ে নজরে আসা তামিম ইকবাল শেষ কিছু দিনে নিয়মিত ছিলেন না টি-টোয়েন্টি দলে। সবশেষ টি-টোয়েন্টিটা যখন খেলেছেন তখনো করোনার থাবায় থমকে যায়নি বাংলাদেশ ক্রিকেট। এরপর করোনাকালের স্থবিরতা কাটিয়ে বাংলাদেশ ফিরেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে, টি-টোয়েন্টি অঙ্গনে। কিন্তু তামিমকে দেখা যায়নি কুড়ি ওভারের ফরম্যাটে।
এই দেড় বছরে যে অনভ্যস্ততা তৈরি হয়েছে, সেটা তামিমের বিশ্বকাপ দলে না থাকার প্রথম কারণ। তামিম তার ভিডিওবার্তাতে বললেন, ‘সবচেয়ে বড় কারণ বেশ কিছুদিন ধরে আমি এই ফরম্যাটটা খেলছি না।’
শেষ এক-দেড় বছরে টি-টোয়েন্টিতে তার অনুপস্থিতির বড় কারণ চোট। সেটা নিয়ামক হিসেবে কাজ করেছে এখানেও। তবে তিনি জানালেন, সেটা বড় কারণ নয়। কারণ সেপ্টেম্বরেই পুনর্বাসন শেষে ফেরার কথা আছে তার, ‘দ্বিতীয়ত ইনজুরি। কিন্তু আমার মনে হয় না ইনজুরি এতো বড় সমস্যা। আমি আশা করি যে ওয়ার্ল্ড কাপের আগে ঠিক হয়ে যাবে।’
সেটা যদি না হয়, তাহলে কী কারণে দল থেকে নিজেকে সরিয়ে নিলেন তামিম? বাংলাদেশ ওপেনার জানালেন, তার অনুপস্থিতিতে যে যারা জায়গা পেয়েছেন দলে, দীর্ঘ দিন খেলার পর তাদের প্রতি অন্যায্য আচরণ হয়ে যেত সেটা। বললেন, ‘কিন্তু যে জিনিসটা আমার কাছে প্রধান মনে হয়, এই সিদ্ধান্ত নিতে যে ব্যাপারটা বড় ভূমিকা রেখেছে সেটি হলো- যেহেতু আমি সর্বশেষ ১৫-১৬টা টি-টোয়েন্টি খেলি নাই, এই সময়টাতে আমার জায়গায় যারা খেলছিল, আমার মনে হয় না এটা ফেয়ার হবে তাদের প্রতি। যদি আমি হঠাৎ করে এসে তাদের জায়গাটা আমি নিয়ে নেই, সেটা ন্যায্য হবে না।’
এই তিনের মিশেলেই এসেছে এই সিদ্ধান্ত। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন তামিম।
ঢাকাপোস্ট