রনির বিধ্বংসী বোলিংয়ে ডিপিএলের ইতিহাসে বড় জয়ের রেকর্ড মোহামেডানের

পেসার আবু হায়দার রনির বিধ্বংসী বোলিংয়ে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) বল বিবেচনায় বড় জয়ের রেকর্ড গড়েছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। আজ বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে গাজী টায়ার্স ক্রিকেট একাডেমির বিপক্ষে ২৬২ বল বাকী রেখে ৯ উইকেটের জয় পায় মোহামেডান। ২০১৩-২০১৪ সালে লিষ্ট ‘এ’ মর্যাদা পাবার পর ডিপিএলের ইতিহাসে বল বিবেচনায় এটিই সবচেয়ে বড় জয়।

প্রথমে ব্যাট করতে নেমে  রনি বোলিং  তোপে টুর্নামেন্ট ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্ব নি¤œ  মাত্র ৪০ রানে অলআউট হয় গাজী টায়ার্স। ৬ ওভারে ১ মেডেন ও ২০ রান দিয়ে ৭ উইকেট নেন রনি। এটি ডিপিএল ইতিহাসের দ্বিতীয় সেরা বোলিং ফিগার।

লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে তৃতীয় সর্বনিম্ন দলীয় রানের নজির গড়ে গাজী টায়ার্স। ২০০২ সালে জাতীয় ক্রিকেট লিগে (এনসিএল) ওয়ানডে সংস্করণে সিলেটের বিপক্ষে ৩০ রানে অলআউট হয়েছিলো চট্টগ্রাম বিভাগ। যা এখনও বাংলাদেশের লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেট ইতিহাসে সর্বনিম্ন দলীয় স্কোর।

চতুর্থ বাংলাদেশি বোলার হিসেবে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে ইনিংসে ৭ উইকেট শিকার করলেন রনি। ২০১৭-২০১৮ মৌসুমে ডিপিএলে আবাহনী লিমিটেডের বিপক্ষে ৪০ রানে ৮ উইকেট নিয়েছিলেন গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের তরুণ পেসার ইয়াসিন আরাফাত। তার ঐ বোলিং ডিপিএলে এবং সব মিলিয়ে বাংলাদেশের লিস্ট ‘এ’ ইতিহাসে সেরা ফিগার।

রনি ছাড়াও বাংলাদেশের ক্রিকেটে ৭ উইকেট নেওয়ার কীর্তি আছে জাতীয় দলের নির্বাচক প্যানেলের সদস্য ও সাবেক খেলোয়াড় বাঁ-হাতি স্পিনার আবদুর রাজ্জাকের এবং আরেক বাঁ-হাতি স্পিনার সাকলাইন সজিবের। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে রাজ্জাক ১৭ রানে ৭ এবং ২০১৬ সালে ডিপিএলে প্রাইম ব্যাংকের বিপক্ষে ৫৮ রানে ৭ উইকেট শিকার করেন আবাহনীর সাকলাইন।

২০১২ অনূর্ধ্ব ১৯ এশিয়া কাপে কাতারের বিপক্ষে ১০ রানে ৯ উইকেট শিকার করেছিলেন রনি। ঐ ম্যাচে ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন সৌম্য সরকার। কিন্তু ঐ ম্যাচটি লিস্ট ‘এ’ মর্যাদা ভুক্ত  ছিলো না।

রনির পাশাপাশি ৬ ওভার বল করে ২০ রানে ৩ উইকেট নেন বাঁ-হাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ। গাজীর পক্ষে মাত্র একজন ব্যাটার দুই অংকের কোটা পার করতে পারেন। আট নম্বরে নেমে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ১৬ রান করেন ইফতেখার সাজ্জাদ।

জবাবে রনি তালুকদারকে হারিয়ে সহজেই জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে মোহামেডান। অধিনায়ক ইমরুল কায়েস ১৯ ও মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ৫ রানে অপরাজিত থাকেন। রনি ১২ রানে আউট হন।

৬ দশমিক ২ ওভারে মোহামেডান জয় পাওয়ায় ম্যাচটির স্থায়ী ছিলো মাত্র ১৮ দশমিক ২ ওভার। যা ডিপিএলের ইতিহাসে এটি সবচেয়ে সংক্ষিপ্ততম ম্যাচ।

এর আগে, গত মৌসুমে বল বিবেচনায় বড় হারের লজ্জায় পড়েছিলো মোহামেডান। লিজেন্ডস অফ রূপগঞ্জের বিপক্ষে ৮০ রানে অলআউট হয়েছিলো মোহামেডান। এরপর ২৫০ বল বাকী রেখে জয়ের স্বাদ পেিেছলো লিজেন্ডস অফ রূপগঞ্জ।

বাসস

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

18 − three =