রহস্যময় গল্পে গাজী রাকায়েত ও সজল

একটা অন্ধকার ঘর। মেঝেতে আঁকা কিছু নকশা। চারপাশে জ্বলছে মোমবাতি। মন্ত্র পাঠ করছেন জওহরলাল। একটা পুরোনো ট্রাঙ্ক খুলে ভেতর থেকে মাথার খুলি ও কয়েকটি হাড়সহ কিছু জিনিসপত্র বের করে মেঝেতে রাখছেন। এই জওহরলালের বয়স নাকি ৩০০ বছর। ২০০ বছর সাধনার পর তিনি এক শিষ্য খুঁজে পান, যার বয়স ১০০ বছর। নাম তার মোহনলাল।

এই গুরু-শিষ্যকে নিয়ে তৈরি হয়েছে নাটক ‘জওহরলালের ডায়েরি’। এতে জওহরলালের চরিত্রে অভিনয় করেছেন গাজী রাকায়েত। তার শিষ্য মোহনলালের চরিত্রে রয়েছেন আব্দুন নূর সজল। তাঁদের সঙ্গে আছেন সুমাইয়া অর্পা। অনুপম দাসের রচনায় নাটকটি পরিচালনা করেছেন জামাল মল্লিক।

নাটকের গল্পে দেখা যাবে, রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে যায় কয়েকজন মেয়ে। তালিকায় থাকা অর্পা নামের এক মেয়েকে খুঁজতে গিয়ে বের হয়ে আসে অজানা রহস্য। কয়েকটি মৃতদেহ পাওয়া যায়, তাদের কপালে বিশেষ নকশা আঁকা। তান্ত্রিকের মেঝেতে আঁকা নকশার মিল খুঁজে পাওয়া যায় মৃতদেহগুলোর কপালে আঁকা বিশেষ নকশার সঙ্গে।

‘জওহরলালের ডায়েরি’ নিয়ে নির্মাতা জামাল মল্লিক বলেন, ‘এটি মূলত তান্ত্রিকের গল্প। যে সাধনা করে এক শিষ্য খুঁজে পায়। তবে শিষ্য তার কাছ থেকে মন্ত্র শিখে অপব্যবহার শুরু করে। এটা রহস্যময় থ্রিলার গল্প। আমাদের সমাজে অনেকেই তান্ত্রিক বা কালো জাদুতে বিশ্বাস করেন। তার বিরুদ্ধে একটা বার্তা দর্শক এই নাটকে পাবেন।’

সজল বলেন, ‘নাটকটিতে দর্শক আমাকে দুটি রূপে দেখতে পাবেন। আমি কখনো মোহনলাল, আবার কখনো ইমন। দুটি চরিত্রই দর্শকের খুব পছন্দ হবে।’ সম্প্রতি উত্তরায় শেষ হয়েছে নাটকটির শুটিং। প্রযোজনায় ক্রিয়েটিভ স্টেশন।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

11 − five =