রাবিতে সমাহিত হাসান আজিজুল হক

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন বরেণ্য কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক। মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটায় তার মরদেহ সমাহিত করা হয়।এর আগে বেলা ১১টায় মরদেহ বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগে আনা হয়। সেখানে বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। দুপুর ১২টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শেষ শ্রদ্ধা জানান শিক্ষক-বুদ্ধিজীবীসহ সর্বস্তরের মানুষ। দেড়টায় তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী মো. জাকারিয়া ও অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, তার ছেলে ইমতিয়াজ হাসান মৌলি উপস্থিত ছিলেন।বরেণ্য কথাসাহিত্যিক ও আগুন পাখির লেখক হাসান আজিজুল হকে সোমবার (১৫ নভেম্বর) রাত সোয়া ৯টার দিকে নিজ বাসভবনে মারা যান।

মৃত্যুর খবরে স্থানীয় সংসদ সদস্য, রাজনীতিবিদ, শিক্ষাবিদ, আইনজীবী, সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা, শিল্পী, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব থেকে শুরু করে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ শ্রদ্ধা জানাতে ছুটে আসেন।

হাসান আজিজুল হক ১৯৩৯ সালে ভারতের বর্ধমান জেলার যব গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৭৩ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে দর্শন বিভাগের শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। ২০০৪ সালে প্রফেসর হিসেবে অবসরগ্রহণ করেন।

সাহিত্যে অবদান রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৭০ সালে তিনি বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার পান। ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশ সরকার তাকে একুশে পদকে এবং ২০১৯ সালে স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত করে।সার্বজৈবনিক সাহিত্যচর্চার স্বীকৃতিস্বরূপ ২০১৮ সালে তাকে একটি বেসরকারি ব্যাংকের পক্ষ থেকে ‘সাহিত্যরত্ন’ উপাধি দেওয়া হয়। এছাড়া ‘আগুনপাখি’ উপন্যাসের জন্য তিনি ২০০৮ সালে কলকাতা থেকে ‘আনন্দ সাহিত্য পুরস্কার’ লাভ করেন।

জাগো নিউজ

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

seventeen − fourteen =