নেশন্স লিগের ফাইনালে স্পেনের বিপক্ষে জয়ের পর পর্তুগালের কোচ ও সতীর্থরা ক্রিস্টিয়ানো রোনল্ডোর নেতৃত্বের ভূয়শী প্রশংসা করেছেন। দুইবার পিছিয়ে পড়েও দারুনভাবে ম্যাচে ফিরে আসে পর্তুগাল। এর মধ্যে দ্বিতীয়বার রোনাল্ডোর গোলে সমতায় ফিরেছিল পর্তুগীজরা। বাসস।
পর্তুগালের কোচ রবার্তো মার্টিনেজ বলেছেন, ‘তার মত অভিজ্ঞতা সম্পন্ন একজন অধিনায়ক যেকোন দলের জন্য দরকার। সবসময়ই সে নিজেকে এমনভাবে উপস্থাপন করে যা অন্যকে উজ্জীবিত করে। স্পেন দুইবার এগিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু রোনাল্ডো সমৃদ্ধ অভিজ্ঞতা দিয়ে পুরো দলকে এগিয়ে নিয়ে গেছে। আমরা তার অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়েছি এবং প্রমান করেছি জয়ের জন্য আমরাও প্রস্তুত।’
৪০ বছর বয়সী রোনাল্ডো ম্যাচের শেষভাগে বদলী বেঞ্চে চলে যান। কিন্তু পর্তুগাল অতিরিক্ত সময়েও দারুনভাবে লড়াই করে শেষ পর্যন্ত ৫-৩ গোলে পেনাল্টিতে জয়ী হয়েছে।
সাইডলাইনে বসে রোনাল্ডো পেনাল্টি শটগুলো উপভোগ করেছেন, যদিও তার চোখেমুখে ছিল উৎকন্ঠা। রুবেন নেভেস শেষ পেনাল্টি শটটি নেবার পর পর্তুগালের অভিজ্ঞ এই ফরোয়ার্ড হাঁটু গেড়ে মাটিতে বসে পড়েন। সে সময় সতীর্থ খেলোয়াড় ও কোচিং স্টাফরা দৌড়ে এসে রোনাল্ডোকে জড়িয়ে ধরে।
জার্মানীর বিপক্ষে সেমিফাইনালে জয়সূচক গোলটি করেছিলেন রোনাল্ডো, এরপর ফাইনালে করলেন গুরুত্বপূর্ণ গোলটি। ফাইনালে প্রথম গোলটি করেছিলেন নুনো মেনডেস।
রোনাল্ডোর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে মেনডেস বলেছেন, ‘সে সবকিছুর যোগ্য। মাঠে রোনাল্ডো সকলকে সবদিক থেকে সহযোগিতা করে, এমনটি মাঠের বাইরেও। তার মধ্যে জয়ের মানসিকতা রয়েছে যা অনুকরণীয়। পর্তুগালের রোল মডেল রোনাল্ডো। তাকে দলে পেয়ে আমরা সবাই দারুন খুশী।’
মাত্র আটদিন আগে মিউনিখের এই আলিয়াঁজ এরেনাতেই পিএসজির হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয় করেছেন মেনডেস। কাল ফাইনালের সেরা খেলোয়াড় মনোনীত হয়েছেন।
২০০৩ সালে জাতীয় দলের হয়ে অভিষেক হয় রোনাল্ডোর। এ পর্যন্ত ২১৯ আন্তর্জাতিক ম্যাচে করেছেন রেকর্ড সর্বোচ্চ ১৩৮ গোল।