লীলাবতী নাগকে নিয়ে তথ্যচিত্র

বিপ্লবী লীলাবতী নাগের জীবন ও কর্ম ঘিরে নির্মিত হয়েছে তথ্যচিত্র ‘‌লীলাবতী নাগ: দ্য রেবেল’। এ তথ্যচিত্রের প্রিমিয়ার শো অনুষ্ঠিত হচ্ছে আজ। বিকাল ৪টায় ঢাকার আগারগাঁওয়ের মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর অডিটরিয়ামে দেখা যাবে তথ্যচিত্রটি। সাধারণের জন্য উন্মুক্ত এ প্রদর্শনী।

লীলাবতী নাগ ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী নারী শিক্ষার্থী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহশিক্ষা প্রচলনের সূচনাকারী হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তিনি ছিলেন একজন সমাজ সংস্কারক, নারী শিক্ষার প্রচলনকারী, নারীদের স্বাবলম্বী করে গড়ে তোলার সুদক্ষ কারিগর ও ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের পুরোধা নারী নেত্রী।

১৯২৩ সালে এ উপমহাদেশের প্রথম নারী সংগঠন ‘‌দিপালী সংঘ’ প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি ১৯৩১ সালে প্রকাশ করেন দিপালী সংঘের মুখপত্র ‘‌জয়শ্রী’। ঢাকা, মৌলভীবাজার, মানিকগঞ্জে লীলা নাগ প্রতিষ্ঠা করেন প্রায় ১২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে এখন টিকে আছে মাত্র চারটি।

লীলাবতী নাগকে নিয়ে নির্মিত তথ্যচিত্রটি প্রযোজনার পাশাপাশি গবেষণার কাজ করেছেন এলিজা বিনতে এলাহী। তথ্যচিত্রটি পরিচালনা করেছেন এআরএম নাসির ।

এ নিয়ে এলিজা বিনতে এলাহী বলেন, ‘‌বিস্মৃতপ্রায় নারীদের নিয়েই আমি কাজ করতে চাই। লীলা নাগের নাম এখন অনেকেই জানে না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ছাত্রী হিসেবে তাকে অনেকে চেনে। কিন্তু বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের সামাজিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে লীলাবতী নাগের অবদান আছে। তিনি স্কুল প্রতিষ্ঠা করেছেন, পত্রিকা প্রকাশ করেছেন। এগুলো আলোচনা থেকে হারিয়ে যাচ্ছে। লীলাবতী নাগের সে জীবন ও কর্ম আমরা এ তথ্যচিত্রে তুলে ধরতে চেষ্টা করেছি।’

লীলাবতী নাগকে নিয়ে বেশকিছু গবেষণা, প্রবন্ধ ও বই থাকলেও এটিই প্রথম তথ্যচিত্র বলে জানান এলিজা। তিনি আরো বলেন, ‘‌আমরা একটা পূর্ণাঙ্গ তথ্যচিত্র তৈরির চেষ্টা করেছি। লীলাবতী নাগের ছেলের সাক্ষাৎকার আছে এখানে। বাংলাদেশ ও কলকাতায় তার স্মৃতিবিজড়িত স্থানগুলোয় গিয়ে শুটিং করা হয়েছে। বিপ্লবী ও সংগঠক লীলাবতী নাগকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হয়েছে এ তথ্যচিত্রে।’

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

thirteen − 4 =