অভিনয়শিল্পী শিরিন বকুলের জন্মদিন আজ

গত শতকের নয়ের দশকের ঢাকার মঞ্চ কাঁপানো অভিনয়শিল্পী শিরিন বকুলের জন্ম ২৮ জুলাই। মঞ্চে ও টিভিনাটকে তাঁর ছিল সরব উপস্থিতি।  বাংলাদেশ টেলিভিশনের পরিচিত মুখ ছিলেন তিনি। তখনকার অভিনয়শিল্পীদের মধ্যে তিনি সুপরিচিতি লাভ করেন। পঁচিশ বছরের বেশি সময় ধরে অভিনয়ের সঙ্গে যুক্ত থেকে মঞ্চ, টেলিভিশন এবং চলচ্চিত্রের দর্শকদের তৃপ্ত করেছেন যিনি তার নাম শিরিন বকুল। শুরু থেকে মঞ্চে নিয়মিত কাজ করলেও পাশাপাশি টিভিনাটকেও নিয়মিত অভিনয় করেছেন এবং চলচ্চিত্রের সাথেও যুক্ত থেকেছেন। অভিনয়ে শিরিন বকুলের হাতেখড়ি ১৯৮৬ সালে ‘থিয়েটার’ নাট্যদলের (তোপখানা) হয়ে তারিক আনাম খানের নির্দেশনায় ‘পালাবদল’ নাটকে অভিনয়ের মধ্যদিয়ে। এরপর একই দলের হয়ে তিনি অভিনয় করেছেন ‘যুদ্ধ এবং যুদ্ধ’, ‘তোমরাই’, ‘বিষলক্ষার ছুরি’সহ আরো বেশকিছু নাটকে। এই দলের হয়ে মঞ্চ দাপিয়ে বেড়িয়েছেন টানা দশ বছর। এরপর তিনি ‘আরণ্যক’ এবং পরে ‘নাগরিক নাট্যসম্প্রদায়’র সাথে নিজেকে যুক্ত করেন।

অভিনয়ের শুরুতেই শিরিন বকুল আলোচনায় চলে আসেন টানা বেশ কয়েকটি ধারাবাহিক নাটকে অভিনয় করে। যার মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য হচ্ছে: শেখ রিয়াজ উদ্দিন বাদশা প্রযোজিত শিরিন বকুল অভিনীত প্রথম টিভি নাটক ‘আনোয়ারা’ ‘গ্রন্থিকগণ কহে’ আব্দুল্লাহ আল মামুনের ‘সংশপ্তক, আলাউদ্দিন আহমেদের ‘বারো রকমের মানুষেরা’ ইত্যাদি। চলচ্চিত্রে শিরিন বকুলের অভিষেক হয় জয়নাল আবেদীনের নির্দেশনায় ‘শত্রু শত্রু খেলা’ ছবিতে অভিনয় করে। এরপর তিনি চাষী নজরুল ইসলামের ‘রঙ্গিন দেবদাস’, দেবাশীষ বিশ্বাসের ‘ভালোবাসা জিন্দাবাদ’সহ বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। অভিনয়ের পাশাপাশি আবৃত্তিও করছেন শিরিন বকুল। ‘তোমাকে ভুলতে ভুলে যাই’ শিরোনামে একটি দ্বৈত আবৃত্তির অ্যালবামও প্রকাশিত হয়েছে তাঁর। শিরিন বকুলের স্বামী প্রখ্যাত প্রাবন্ধিক ও শিশুসাহিত্যিক আহমাদ মাযহার এবং তাদের একমাত্র সন্তান সুদীপ্ত প্রিয়দর্শন। বর্তমানে আমেরিকার নিউইয়র্কে আছেন গুণী এই শিল্পী। নিউইয়র্কে থাকলেও বাংলাদেশের রোদ-বসন্ত, প্রকৃতিকে খুব অনুভব করেন তিনি।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

thirteen − two =