শিল্প সংস্কৃতির অমিত সম্ভাবনার পথে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ: স্পিকার

জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, শিল্প-সংস্কৃতির বিকাশের ওপর একটি জাতির আত্মপরিচয় ফুটে ওঠে। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে মহান মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে শিল্পীদের বলিষ্ঠ ভূমিকা বাংলার ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। তিনি বলেন, ‘শিল্প সংস্কৃতির অমিত সম্ভাবনার পথে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে লায়লা শারমিনের দ্বাদশ সলো এক্সিবিশন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’

স্পিকার আজ রাজধানীর অলিয়স ফ্রসেজে শিল্পী লায়লা শারমিনের ‘দ্বাদশ সলো পেইন্টিং এক্সিবিশন’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে এসব কথা বলেন। এসময় স্পিকার এক্সিবিশনের শুভ উদ্বোধন করেন।

ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, শিল্পী লায়লা শারমিনের শিল্পকর্মের মাঝে অপূর্ব রঙের সমাহার, এর মধ্য দিয়ে প্রকৃতিকে ফুটিয়ে তুলেছেন, পাশাপাশি কিছু বার্তা তিনি সমাজকে দিয়েছেন। জলবায়ু পরিবর্তনের যে বিরূপ প্রভাব জনজীবনে রয়েছে তা সম্পর্কে তিনি শিল্পকর্মের মাধ্যমে সকলকে সচেতন করেছেন। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব আমাদের জীবনে পরছে। সারা বিশ্বের পরিবেশ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে পরিবর্তন হচ্ছে। অনেক আলোচনা, সভা, সম্মেলন সারা বিশ্বে চলমান থাকলেও বৈশ্বিক উষ্ণতা সকলেরই বিবেচ্য বিষয়।

প্রকৃতিকে সংরক্ষণে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা জরুরি উল্লেখ করে তিনি বলেন, নিজেদের অবস্থান থেকে বায়ু দূষণ, শব্দ দূষণ রোধ ও বৃক্ষরোপণ প্রক্রিয়াকে শক্তিশালী করতে হবে। শিল্পী লায়লা শারমিন তার শিল্পকর্মের মধ্য দিয়ে জনসচেতনতা তৈরি করছেন। তার এই প্রয়াসকে স্বাগত জানিয়ে সকলে মিলে তাকে সহযোগিতা করা প্রয়োজন ।

স্পিকার বলেন, সৃষ্টিশীল জাতি গঠনে শিল্প-সংস্কৃতির চর্চা জরুরি। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বাসযোগ্য পৃথিবী নিশ্চিত করতে মানবিক সমাজ গঠন করা দরকার। উন্নয়ন অগ্রযাত্রার পাশাপাশি মানবিক সমাজ গঠনে শিল্পীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। এ প্রক্রিয়ায় সকলকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান স্পিকার।

অনুষ্ঠানে বিভিন্ন গণ্যমান্য শিল্পী, ব্যক্তিবর্গ ও গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

বাসস

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

eleven − 2 =